বাংলাদেশের ভোটে লড়বে না বিএনপি! যুক্তরাষ্ট্রকে বেশি ভরসা, ভারত হস্তক্ষেপ করতে পারে গন্ডগোলে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিএনপি বাংলাদেশের নির্বাচনে লড়বে না। শেখ হাসিনাকে জব্দ করার নতুন কোন ছক? গত দুদিনে অশান্তি! ভারত কি কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে পরিস্থিতিতে? যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বেশি ভরসা করছে বাংলাদেশের বিরোধী দল? বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে অশান্তি শুরু। বাংলাদেশে ভোট যত এগচ্ছে ততই অশান্ত হচ্ছে দেশের পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক স্তরে ঠিক এই খবর এই হেডলাইনটাই পৌঁছচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবধানবাণীর মুখে আওয়ামি লিগের ওপর। নির্বাচনের আগে চাপ তৈরি করার এটাই কি তাহলে নতুন স্ট্র্যাটেজি বিএনপির? বাংলাদেশের কূটনৈতিক মহলের একাংশই তুলছেন সেই প্রশ্ন।

শনিবার বিএনপির ডাকা ঢাকার মহাসমাবেশে তুমুল গোলমাল হয়। পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ। এক পুলিশ কর্মী তাতে নিহত হন। তারপর থেকে টানা ধরপাকড় চলছে। গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি’র অনেক নেতা গা ঢাকা দিয়েছেন বলেও খবর।তবে তার মধ্যেই নতুন কর্মসূচীর ঘোষণা করে দিয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে লড়বে না হঠাৎ করে এমন হুমকি কেন? গোটা ঘটনায় আওয়ামী লিগের প্রতিক্রিয়া কী? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বা কী বলছেন? বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে অশান্তি যদি নির্বাচনের আগে বাড়ে তাহলে কি ভারত কোনওভাবে এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে? যদিও ভারতের তরফ থেকে প্রকাশ্যে তেমন কিছু ঘোষণা করা হয়নি।বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সারাদেশে দোয়া মাহফিল এবং রবি ও সোমবার (৫ ও ৬ নভেম্বর) বাংলাদেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ পালন করা হবে। এদিকে আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন অবরোধ দিলে দিক বিএনপি ক্লান্ত আসলে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে।

অনেকেই বলছেন ফের অবরোধ মানে কি ফের অশান্তি? বিএনপির দাবি বিরোধীদের ওপর যদি সরকারের অত্যাচার না থামে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার না আসে তাহলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। বিশ্লেষকেরা বলছেন এর নেপথ্যে তাদের অঙ্ক হল দেশের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে অংশ না নিলে সেই নির্বাচনের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। এই আবহে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশ সরকারের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। সেক্ষেত্রে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ আসতে পারে। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্পষ্ট বলছেন কোটআনকোট বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাকে নিরাপদ রাখতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। আবারও বাস ভাঙচুর, পোড়ানোর জন্য অবরোধের ঘোষণা করেছে বিএনপি। তাহলে কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে বাংলাদেশ সরকার উঠছে প্রশ্ন? অবশ্য আওয়ামি লিগের তরফ থেকে এটাও জানানো হয়েছে ‘বিএনপি এরই মধ্যে নিজেদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রমাণ করেছে। তাই এমন একটি সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। এবার দেখার পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোয়?

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version