বিএনপি অবরোধ করে ভুল করছে না তো? দায় নেবেন হাসিনা!

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশ জুড়ে অবরোধ। বাতাসে সহিংসতার গন্ধ। অবরোধ আর গ্রেফতারের মাঝে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। কতদূর গড়াবে বিএনপির এই অবরোধের জল? সবটাই বেকার হয়ে যাবে না তো? কী বলছে অতীত? এভাবে কি আদৌ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়? খারাপ ফল ভুগতে চলেছে বাংলাদেশের মানুষ। শেষটা কি হবে জেনে নিন।

দেখুন, যেভাবে বাংলাদেশ জুড়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি চলছে, তা কিন্তু আর শান্তিপূর্ণ নেই। রূপ পাচ্ছে সহিংসতার। দায় কার? সরকারের না বিরোধীদের? প্রশ্ন করলে পাবেন হাজারো প্রতিক্রিয়া। নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার ঠিক আগে গ্রেফতার বিএনপির তাবড় তাবড় নেতারা। কিন্তু জারি রয়েছে অবরোধ। বর্তমান সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে অন্তরবর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এর আগেও কিন্তু বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল, আবার তা বাতিলও হয়ে যায়। সে নিয়ে রয়েছে বিস্তর বিতর্ক। সাম্প্রতিক সময়, বাংলাদেশের আমজনতার নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে অবরোধ আর হরতাল। সেটা কি কোনো ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বিষয়টা ভালোভাবে দেখছেন না। আসলে অবরোধ খারাপও নয়, আবার ভালোও নয়। এক্ষেত্রে দেখতে হবে কি উদ্দেশ্যে, কেমন ভাবে, কারা ব্যবহার করছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে, বাংলাদেশের আমজনতা ঠিক কতটা জড়িয়ে। মানুষ কি এসবের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত? বাংলাদেশের অতীতের ইতিহাস বলছে, এভাবে এর আগেও কেউ দাবি আদায় করতে পারেনি। ১৯৮৮ সালে রাজনৈতিক দলগুলো বলেছিল তারা নির্বাচনে যাবে না। তার পরেও কিন্তু নির্বাচন হয়েছিল। ১৯৯৬ তে দাঁড়িয়ে বিএনপি ছাড়া বেশিরভাগ দলই নির্বাচন সমর্থন করেনি। তারপরেও নির্বাচন আটকায়নি। ২০১৪ সালেও নির্বাচন আটকানোর জন্য লাগাতার কত অবরোধ, কিন্তু আটকানো গিয়েছিল কি? তাহলে বুঝতেই পারছেন, হরতাল করলে অবরোধ করলে যে নির্বাচন আটকানো যাবে এমন কোন অতীত অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই।

বিএনপির কাছে অবরোধ কর্মসূচি এক্কেবারে নতুন নয়। প্রায় আট বছরেরও আগে, এই দল একটানা অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছিল। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে যুক্ত করে হরতালকে। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে সহিংস হতে থাকে। একদিকে সরকার, আর একদিকে বিএনপি জামায়াত, দুই পক্ষ একে অপরকে করতে থাকে দোষারোপ। অবশেষে কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় বিএনপি হরতাল করেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসু হয়নি।

ওদিকে হরতাল অবরোধের প্রভাবে কোপ পড়ছে পর্যটনে। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটার ব্যবসা বাণিজ্য। সহিংসতার ভয়ে অনেকেই ভ্রমণ করতে অনিচ্ছুক। আসলে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে, মানুষ কি চাইছে। সাধারণ মানুষের লক্ষ্য একটাই। সুষ্ঠু নির্বাচন। যাতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সেই অনুকূল পরিবেশ টা কি রয়েছে? এরই মাঝেই হয়ত নির্বাচনটাও হয়ে যাবে। একদল জিতবে আর একদল ফুঁসবে ক্ষোভে। শান্তি পাবে কিছু মানুষ, আর কিছু মানুষ ফলাফলে অখুশি হয়ে ভুগবে অশান্তিতে। লাভ কার বলুন তো? আপনার কি মনে হয়, সত্যি কি এই অবরোধ করে কোন লাভ রয়েছে? এভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? জানান আমাদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version