Imran Khan: তরুণদের নিয়ে বড় ছক! কোন নীতিতে চলছেন? অকপট ইমরান খান

।। প্রথম কলকাতা ।।

Imran Khan: এখনই হাল ছাড়ছেন না প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতায় ফেরাই তাঁর টার্গেট। টার্গেট পূরণ করতে লড়বেন, চালিয়ে যাবেন আন্দোলন। যাঁরা দল ছাড়লেন তাঁদের জন্য এটা কি বললেন ইমরান? তরুণদের নিয়ে বড় প্ল্যান সাজাচ্ছেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান। ৯ই মে কিছু চেনা হিসেব বদলে দিয়েছে, পিটিআই এর কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে ওই দিনটা। বাকি হিসেব বদলাবেন কি ইমরান খান? ফের গারদে যেতে পারেন, কোন আশঙ্কা চেপে ধরছে ইমরানকে? কি বলছেন বিশ্লেষকরা? যারা ভাবছেন “পাকিস্তানে সব ঠিক হয়ে গেছে” তারা কি তাহলে ভুল ভাবছেন বিবিসির কাছে ইমরান খানের সাক্ষাৎকার এই প্রশ্নটা তুলে দিচ্ছে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভিতরে ভিতরে বড় ছক কষা হচ্ছে, তলে তলে চলছে প্ল্যানিং।

বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯ই মে’র সহিংসতার পর থেকে তিনি শুধু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, জল কোন দিকে গড়ায় তার জন্য ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ নীতি অনুসরণ করছেন। এদিকে বিশ্লেষকদের মতে, এটা একটা কঠিন সময়। ৯ই মে’র ঘটনাগুলো পিটিআই এর জন্য একট ‘দুঃস্বপ্ন’, দলটা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতিতে রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে সত্যিই তো। যেসব ইলেক্টবল রাজনীতিবিদ পিটিআই এর জনপ্রিয়তার কারণে ২০১৮ সালে যোগ দিয়েছিলেন দলে, এমন কী ধরনের চাপ তৈরি হলো যে দীর্ঘদিনের নেতারা মনোবল হারাতে বাধ্য হলেন? কেন ‘দলের মুখ’ হিসেবে পরিচিত অন্তত ৮৭ জন নেতা দ্রুত গতিতে দল থেকে নিজেদের সরিয়ে নিলেন?বিশ্লেষকরা দুটো দলের কথা বলছেন। একদল, যারা দল ছাড়ার পর যে বিবৃতি দিয়েছেন তা থেকে বোঝা যায় যে তাঁদের দল ছাড়ার জন্য কোনও চাপ ছিল না, স্পষ্টতই তারা ইমরান খানের আচরণে বিরক্ত ছিলেন তাই দল ছেড়েছেন। আরেকদল, ৯ই মে-এর ঘটনায় দুঃখিত। হ্যাঁ ইমরান খান পাকিস্তানের তরুণ প্রজন্মকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তাঁরা সেই স্বপ্নকে অর্জন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু বুঝতে পারেননি যে সেই স্বপ্ন অর্জনের জন্য তাঁদের তথাকথিত বিপ্লবের পথেও হাঁটতে হবে।

কিন্তু, এতো কিছুর পরেও ইমরান খান কিন্তু পেছনে ফিরে তাকাতে নারাজ। তাহলে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে দল চালাবেন তিনি? কি করবেন ইমরান? বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরান বলছেন, যারা দল ছেড়েছে তাঁদের জায়গায় তরুণ রাজনীতিবিদদের বসানো হবে। তারপর তরুণ নেতাদের সামনের সারিতে আনাই তাঁর ফার্স্ট প্রায়োরিটি। এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, কিন্তু তাঁরাও গ্রেফতার হতে পারেন। বলেছেন, সম্ভবত তাঁকেও জেলে ঢোকানো হবে। কিন্তু, ইমরান ভেঙে পড়ছেননা, মনোবল হারাচ্ছেন না। বরং তিনি বিবিসিকে বলেছেন বাকিদের মনে হতে পারে এটা একটা বড় সঙ্কট, কিন্তু তিনি নিজে তা মনে করছেন না।

গত ৯ মে ইমরান সমর্থকরা সামরিক বাহিনীর স্থাপনায় তাণ্ডব চালানোয় ইমরানের বিরুদ্ধে যে উস্কানির অভিযোগ আনা হয়েছে তা তিনি রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছেন। ইমরান এর দাবি, অতীতে কখনও তাঁর সমর্থকদের সাথে এমন কোন কথা বলেননি তিনি যার ফলে ৯ই মে’র মতো ঘটনা ঘটতে পারতো। কিন্তু, তারপরেও ঘটেছে। আপাতত, সরকার ও প্রশাসনের মনোভাব জানতে তিনি আলোচনায় বসতে চাইছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, বলেছেন তিনি জানতে চান তাঁকে সরিয়ে দিলে পাকিস্তান কী লাভবান হবে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন, যার উত্তর দেবে সময়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version