।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan Economic Crisis: পাকিস্তানের (Pakistan) পরিস্থিতি যে দিনের পর দিন জটিল হয়ে যাচ্ছিল তা গোটা বিশ্ব জানে। বারংবার বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা করছিল, হয়ত পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। দেউলিয়া হতে দেশটির বেশি বাকি নেই। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল। তার উপর অভ্যন্তরীণ ঝামেলা লেগেই রয়েছে। একের পর এক বিস্ফোরণ। সবকিছুর মিলেমিশে পাকিস্তানের অর্থনীতি রীতিমত ধসে পড়েছে। শিশুদের দুধ থেকে শুরু করে আটা, অগ্নি মূল্য দামে কিনতে পারছেন না অনেকেই। এর মাঝে প্রকাশ্যে পাকিস্তানের মন্ত্রী জানালেন “আমরা দেউলিয়া হয়ে যাওয়া দেশে থাকি”।
পাকিস্তানের শিয়ালকোটে খাজা আসিফ (Khawaja Asif) একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন, পাকিস্তান দেউলিয়া হতে চলেছে। দেশটির পরিস্থিতি এখন ধসে যাওয়ার মতো। দেশবাসী এখন একটা দেউলিয়া দেশে থাকছে। তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে পাকিস্তানের সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ এ। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী (Minister of Defence of Pakistan) দেশটির এই অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন, সংবিধান না মেনে চলার প্রবণতাকে। যার কারণে এ দেশটিতে নেমে এসেছে ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়। এছাড়াও তিনি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ীদের। পাকিস্তান এখন এত পরিমাণে হামলা সংখ্যা বেড়েছে, তার কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। খাজা আসিফের মতে, আড়াই বছর আগে পিটিআই সরকার পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের ঢুকতে দিয়েছে বলেই আজ এমন পরিস্থিতি। চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি রীতিমত রেকর্ড করেছে। দুধের দাম প্রায় ২৫০ টাকা। পাকিস্তান সরকার কোন ভাবেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইএমএফ এর শর্ত মেনে পাকিস্তান নতুন কর আরোপ করেছে, পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি করেছে। তার জেরেই এতটা মূল্যস্ফীতি। বর্তমানে পাকিস্তানে এক লিটার পেট্রোল কিনতে গেলে খরচ করতে হবে এই প্রায় ২৭২ টাকা। প্রতিদিনই দেশটিতে লাফিয়ে লাফিয়ে জিনিসের দাম বাড়ছে। হিসাব অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে গড়ে বাড়ছে খাবারের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হুরোহুড়ি করছে সাধারণ মানুষ। চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি পৌঁছেছে ৩৮.৪২ এ। ১ কেজি মুরগির মাংস কিনতে গেলে খরচ পড়বে ৭৮০ টাকা। আটা ময়দা থেকে শুরু করে খাবার জলের দামও পর্যন্ত লাগাম ছাড়া। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে মাথায় হাত দিয়ে ভাবতে হচ্ছে কি খাবে। দেশটি ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে।
পাকিস্তান আইএমএফ এর কাছ থেকে ২০১৯ সালে ৬০০ কোটি ডলারের অনুদান নিয়েছিল। ২০২২ সালেও ভয়াবহ বন্যার পরে পুনরায় আবার ১১০ কোটি ডলারের অনুদান পায়। কিন্তু ২০২২ এর নভেম্বর মাসে আইএমএফ অনুদান দেওয়া বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তানে এখন বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় নেই বললেই হয়। যদি পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়া না যায়, তাহলে মেনে নিতেই হবে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হতে বেশি দেরি নেই। শ্রীলঙ্কার চিত্র এখনো গোটা বিশ্বের কাছে টাটকা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম