।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতকে নিয়ে গর্ব করে বাংলাদেশ। সত্যি কথাটা বলেই ফেলল। কানাডার সঙ্গে বিবাদে ভারতের পাশে দাঁড়াল বাংলাদেশ। বড় রিস্ক নিয়ে ফেলল দেশটা। কিন্তু কীসের জোরে? শিশু সুলভ আচরণ করছে কানাডা। এক ঘরে হয়ে যাচ্ছেন ট্রুডো। শেষমেষ সিংহাসন ধরে রাখতে পারবেন তো? ভারত বিরোধীতাই কি কাল হল?
হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যু ঘিরে ভারত-কানাডার সম্পর্ক তলানিতে। বিশ্বজুড়ে ভারত সমর্থন পেলেও কানাডার পাশে নেই পরাশক্তিগুলো। দিনের পর দিন চড়ছে উত্তেজনার পারদ। ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে বড় কথা বলে ফেলল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন স্পষ্টত বলেই দিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে কানাডা সরকারের অভিযোগ দুঃখজনক পর্ব। দুঃখ প্রকাশ করে মোমেন বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত জানি না। সেজন্য আমি কোন ধরনের মন্তব্য করতে পারি না। কিন্তু আমরা ভারতকে নিয়ে খুবই গর্বিত। কারণ তারা অপরিপক্ক কিছুই করেনা। ভারতের সঙ্গে আমাদের দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে। যেটা মূল্যবোধ ও নীতির উপর ভিত্তি করে গঠিত”।
কানাডায় কিন্তু বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ বসবাস করেন। কেউ রয়েছেন পড়াশুনার সূত্রে, আবার কেউবা কর্মসূত্রে। তার সত্বেও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন বাংলাদেশ ভারতের পাশেই আছে। তিনি কিন্তু কিছুটা হলেও রিস্ক নিলেন। তার মন্তব্যে কানাডা কি মনে করছে তা এখনো জানা যায়নি। মোমেন কি তাহলে পরোক্ষভাবে বলে দিলেন, ভারত পরিপক্ক অর্থাৎ ভেবেচিন্তে কাজ করে। আর কানাডার আচরণ শিশুসুলভ! কানাডা কি আগ পিছু না ভেবেই অযথা বিবাদে জড়িয়ে পড়ল? সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। একটু ভেবে দেখুন, জাস্টিন ট্রুডো সিংহাসন ধরে রাখতে মরিয়া। কিন্তু বড়সড় সাপোর্ট পাচ্ছেন না। জনপ্রিয়তার রাজনীতি করতে গিয়ে বিবাদ করছেন ভারতের সঙ্গে। এমনটাই মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ। ট্রুডো এক ঘরে হয়ে যেতে বসেছেন। কারণ কানাডায় দাঁড়িয়ে তাবড় তাবর নেতারা পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের। কানাডার বহু নেতাই এখন ট্রুডোর পাশে নেই। ধীরে ধীরে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে সম্পর্কের জটলা। কারণ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে কানাডার মিত্ররাই। কার্যত ভারতের সাথে মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার সময় ট্রুডো দাঁড়িয়ে রয়েছেন একা। প্রধান মিত্র দেশ, যাদের সাথে কানাডা নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড, এই দেশগুলোও শক্তপোক্ত অবস্থানে ট্রুডোর হাত ধরেনি। মিত্র দেশ গুলো এই বিবাদ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, কিন্তু ভারতের বিপক্ষে কোনো স্ট্যান্ড নেয়নি। শুধু তাই নয়, এক্কেবারে চুপচাপ যুক্তরাষ্ট্র। কয়েকদিন আগেই জাতিসংঘে বাইডেন ভারতের নিন্দা তো দূর, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য প্রশংসা করেছেন। একে একে সবাই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে ট্রুডোর।
এখন গোটা বিশ্বের হট টপিক হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারত কানাডার বিবাদ। ভারতের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। ভারত বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটা দেশ। হিসাব করলে জনসংখ্যার ক্ষেত্রে কানাডা তুলনায় প্রায় ৩৫ গুন বড়। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সুষ্ঠু সমাধানই কাম্য।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম