কানাডার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াল বাংলাদেশ! ট্রুডোর মুখোশ খুলল ভারত, ওটাওয়ায় অশনি সংকেত

।। প্রথম কলকাতা ।।

কানাডার ভালোমানুষির মুখোশ টেনে খুলে দিল ভারত। বড় বদলা, আমেরিকা নয় ফের বাংলাদেশই পাশে দাঁড়াল ভারতের। কানাডার সব ষড়যন্ত্রের পর্দা ফাঁস করে কড়া বার্তা দিল্লির। ট্রুডোর আবারও নিজের বিপদ নিজে ডাকলেন। কানাডার জন্য ভারতের মোক্ষম অস্ত্র রেডিই করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো শুরু করলেই একেবারে চুপ করিয়ে দেবে দিল্লি। বিশেষজ্ঞদের দাবি এবার আস্তে আস্তে কানাডার হাত ছাড়বে তাদের সমর্থন করা দেশগুলোও। ্এমনই চাল চালল নয়া দিল্লি। সঙ্গে সেই প্রেসার কার্যত বাড়িয়ে দিল বাংলাদেশ ও। ভারতের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ভারত কানাডাকে এমন জায়গায় এসে চরম পাল্টা দিল যেই বার্তা একা কানাডা নয় সকলের কানে যাবে। ‘ধর্মীয় স্থানে হামলা চালানো যাবে না, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে কানাডাকে কড়া বার্তা ভারতের। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অপব্যবহার করে হিংসা ্সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালানো যাবে না। এমন ঘটনা রুখতে যথাযথ ব্যবস্থা গড়তে হবে। কানাডাকে সাফ এই বার্তা দিল ভারত। গত কয়েকমাসে একাধিকবার কানাডার হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর ও খলিস্তানি স্লোগান লেখার ঘটনা ঘটেছে।

কানাডা ইস্যুতে ভারতকে নিয়ে বরাবর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা দু নৌকায় পা দিয়ে চলা অবস্থান দেখা গিয়েছে বরাবর। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডার বিরুদ্ধে যাবে সেই আশা করাও বৃথা। বরং বাংলাদেশ এক্ষেত্রে দাঁড়াল ভারতের পাশে
কানাডা রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ঢাকাও দিল জোর হুঁশিয়ারি। বাংলাদেশি কূটনীতিক আবদুল্লাহ আল ফরহাদ বর্ণবাদ, ঘৃণামূলক বক্তব্য, ঘৃণামূলক অপরাধ এবং অভিবাসী ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কানাডাকে আহ্বান জানান। কিন্তু কেন? কানাডা কি এমন ব্যবহার করা হয় বাংলাদেশি মুসলিমদের সঙ্গে? চলতি বছরই যখন জাস্টিন ট্রুডো প্রথমবার ভারতের ওপর নিজ্জর খুনের দায় চাপিয়েছিল তখনই বাংলাদেশ দাঁড়িয়েছিল ভারতের পাশে।

বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘খুনিরা আশ্রয় নেওয়ার জন্য কানাডায় চলে যায়। সেখানে তাঁরা নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকারীরা এখনও কানাডায় বসবাস করছে আমরা বহুবার কানাডার প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি তাদের যেন বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু তারা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। প্রতিবারই তারা কোনও না কোনও বাহানা দেখিয়েছে। খুনিদের আখড়া হয়ে ওঠা কানাডার জন্য কাম্য নয়।’

এর আগে কানাডা কাঁটায় ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সংঘাত নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি বলেছিলেন, জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কানাডা। শ্রীলঙ্কা কিন্তু অবস্থান বদলালো না। আবারও ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে কানাডাকে বিঁধল আন্তর্জাতিক মঞ্চে। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের রিভিউ বৈঠকে ভারতের পাশাপাশি হাজির ছিল কানাডা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা-সহ একাধিক দেশ। মানব পাচার আটকানো নিয়ে কানাডার রিপোর্ট পেশ করলে তাকে স্বাগত জানায় ভারত। কাউন্সিলে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি কে এস মহম্মদ হুসেন বলেন গঠনমূলক আলোচনার আবহে কানাডাকে বেশ কয়েকটি বিষয়ে সুপারিশ করতে চায় ভার‍ত। মূলত দুটি বিষয় তুলে ধরা হয় এই সুপারিশে।

প্রথমত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে হিংসা ছড়ানো এবং উগ্রপন্থার প্রচার করা। এই দুটি বিষয় রুখতে কানাডার অন্দরেই বিশেষ পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।্দ্বিতীয়ত, উপাসনাস্থল ও সংখ্যালঘুদের উপর হামলা থামাতে হবে। ঘৃণাভাষণ থামানোর জন্য কড়া আইন প্রণয়ন করতে হবে কানাডাকে। কিন্তু জানেন কি ভারতের বিরুদ্ধে এত বড় বড় কথা বলা ট্রুডো তবে ভারতের এই সুপারিশ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আর দেবেও কিনা তা নিয়ে বেশ সন্দেহ রয়েছে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version