Bangladesh: জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে জলের তলায় ভরসা বাংলাদেশের! এভাবে তৈরি হচ্ছে এলএনজি, আরও ভাসমান স্টোরেজের প্ল্যানিং

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: থেমেনেই বাংলাদেশ! কক্সবাজারের মহেশখালীতে তৈরি হচ্ছে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল। জ্বালানি ঘাটতি পূরণে শেখ হাসিনার দেশের বড় উদ্যোগ। কিন্তু, হাতে সময় কতদিন? খরচ হবে কত? প্রজেক্ট কমপ্লিট হলে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহে কতটাই বা সফল হবে বাংলাদেশ? কিভাবে তৈরি হয় এলএনজি? জানেন কি? জ্বালানি সমস্যার সমাধানে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে তৃতীয় ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ভাসমান টার্মিনালটি প্রতি দিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করতে পারবে। এখান থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের জন্য সরকারের ০.৪৫ ডলার খরচ পড়বে।

কিভাবে তৈরি হয় এই এলএনজি?

এলএনজি আলাদা কোনও জ্বালানি নয়, এটা প্রাকৃতিক গ্যাসেরই তরল রূপ। প্রাকৃতিক গ্যাস সাধারণ চাপ ও তাপমাত্রায় গ্যাসীয় অবস্থায় থাকে। শীতলকরণ বা রেফ্রিজারেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাসের তাপমাত্রা কমিয়ে -১৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নামিয়ে আনলে গ্যাস তরলে পরিণত হয়। এই তরল প্রাকৃতিক গ্যাসকেই এলএনজি বলা হয়। এলএনজির প্রধান উপাদান মিথেন, তবে, সামান্য পরিমান ইথেন, প্রপেন, বিউটেন, পেন্টেনসহ অন্যান্য হাইড্রোকার্বন মিশ্রিত থাকে। প্রাকৃতিক গ্যাস-কে এলএনজিতে রূপান্তর করলে এর আয়তন সংকুচিত হয়ে ৬০০ গুন কমে যায়। জানিয়ে রাখি, অনেক জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে এলএনজি ব্যবহারে দূষণ কম হয়। জ্বালানি হিসেবে এলএনজির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে ক্রমাগত বাড়ছে। আর বাংলাদেশে সেই এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য সামিট গ্রুপের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তি সই করে ফেলেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা।

কবে শুরু হবে নির্মাণ কাজ?

চূড়ান্ত চুক্তির পর সামিট গ্রুপের একটা প্রতিষ্ঠান ‘সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি’ ভাসমান এই টার্মিনালটি নির্মাণ করবে। এর জন্য ১৮ মাস সময় পাবে প্রতিষ্ঠানটা। কথা আছে, ১৫ বছর পরিচালনার পর এই টার্মিনালটিকে পেট্রোবাংলার কাছে হস্তান্তর করবে সামিট।

যে উদ্দেশ্যে তৈরি করা হচ্ছে তৃতীয় এলএনজি টার্মিনাল সেটা কতটা সফল হবে?

সামিট বলছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে নিরবিচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি সরবরাহ করতে চায়। ভাসমান এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপনের লক্ষ্যে অলরেডি সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এছাড়াও, ২ টো ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে বাংলাদেশে। হ্যাঁ, বাংলাদেশে বর্তমানে দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। মহেশখালীতে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট সক্ষমতার এই দুটি টার্মিনাল নির্মাণ করেছে ইউএসএ-এর এক্সেলরেট এনার্জি এবং সামিট গ্রুপ।

এর মধ্যে মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই পেট্রোবাংলার সঙ্গে চুক্তি করে এক্সিলারেট এনার্জি। নির্মাণ শেষে ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। ১৫ বছর মেয়াদি এই টার্মিনাল দিয়ে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি রয়েছে ২০৩২ সাল পর্যন্ত। তবে এরই মধ্যে এ টার্মিনাল চুক্তির মেয়াদ ২০৩৮ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছে। একই প্রযুক্তি মেনে মহেশখালীতে ভাসমান স্থানীয় জ্বালানি খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপ এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল চুক্তি সই করে। এরপর ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল গ্যাস সরবরাহ শুরু করে কোম্পানিটি। এই টার্মিনালের মেয়াদ রয়েছে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version