ব্রিকসে বাংলাদেশ নেই! দিল্লি চরম ঘুঁটি, দুবার ভাবতে হবে ঢাকাকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

ব্রিকসে এবার ছিটকে গেল বাংলাদেশ কিন্ত তাতেও বড় সম্ভাবনা ভারত কী হঠাৎ ইউটার্ন নিল নেপথ্যে উঠে আসছে বিশেষ কারণ। বাংলাদেশকে দিল্লির মুখের ওপর কথা বলা আগে এখন দুবার ভাববে। চীনের অতিচালাকির সবক ব্রিকসের মঞ্চেই শেখানো হবে। যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে ভারত-চীনের মধ্যে। যুদ্ধ কূটনীতির, যুদ্ধ কৌশলের। বাংলাদেশ ব্রিকস নিয়ে একেবারেই আশাহত নয় বরং অনেকটা নেগেটিভের মধ্যে। কিছুটা পজেটিভই খুঁজে নিল ঢাকা সেটা পরিস্কার তাদের বার্তাতেই। ভারতের জন্যই কি বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হতে পারল না? তাতে কি বাংলাদেশের কোনও বড় ক্ষতি হয়ে যাবে? বাংলাদেশ সরকার কিন্তু একেবারেই তেমনটা মনে করছে না। তা সত্ত্বেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রিকস সম্মেলনে কেউ উপস্থিত থাকবে ঢাকা? চীন যে খেলাটা খেলবে ভেবেছিল সেটা দিল্লি রুখে দিল অনেকটা আগেই।

ব্রিকস নিয়ে এবার অনেক বেশি আলোচনা হবে কারণ বেজিংয়ের আগ্রাসনের রণকৌশল কীভাবে পরাস্ত করতে হয় সেটা ভারত করে দেখাবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২১ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা যাচ্ছেন ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান করতে। এবার তবে তার আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে বাংলাদেশকে এখন অপেক্ষা করতে হবে। সেসঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন এ মুহূর্তে ব্রিকসে যোগদান করতে না পারলেও এই সম্মেলনে যোগদানকে একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ।

আটলান্টিক কাউন্সিলের প্রতিবেদন বলছে আগস্টে চীন-রাশিয়া ব্রিকসের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষে থাকলেও এ পথে হাঁটতে নারাজ ভারত। দিল্লি কিন্তু সেই বার্তা দেয়নি। বরং দিল্লির দাবি ব্রিকস সম্প্রসারণ হলে এর সংস্কার হওয়াও অতি প্রয়োজন। শুধু ভারত নয় সূত্রের খবক অস্ট্রেলিয়াও সেই পক্ষেই তাহলে কি বাংলাদেশ এবার ব্রিকস নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলবে সরাসরি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই প্রশ্নই করা হয়েছিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনকে তিনি এর উত্তরে জানিয়েছেন কয়েকদিনের মধ্যে তো ভারত যাচ্ছি। বিশেষ কোনো আয়োজন আমরা সেখানে করবো নাকি ভারতে করা হবে, সেটা আমরা চিন্তাভাবনা করছি। একইসঙ্গে মোমেন বলেন ৭০টি দেশের প্রতিনিধি আসবে ব্রিকস সম্মেলনে আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় সবাই আসবেন আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে এখনও বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরালো হয়নি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করা যাবে।

এই মন্তব্যেই বিশেষজ্ঞদের দাবি বাংলাদেশের নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থেকে ভারত যে ভাবে বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে কাউন্টার করে যাচ্ছে এরপর ঢাকা কোনওভাবেই দিল্লির ওপর অ্যাটলিস্ট ব্রিকস নিয়ে চাপ তৈরি করবে না। আর ভারত কিন্তু একবারও বলেনি যে তারা চায় না বাংলাদেশ ব্রিকস জয়েন করুক কিন্তু যেহেতু চীন বাংলাদেশ নিয়ে একটু বেশিই মাতামাতি করছে তাই ভারত চাইছে একটু রয়ে সয়ে সমস্তটা বুঝে তবেই সম্মতি দিতে। না বুঝে চীনের কূটনৈতিক জালে পা দিলে পরে ভুগতে হতে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version