বিজেপির ফুল সাপোর্ট পেল বাংলাদেশ! হাসিনার দল দিল্লিতে কেন? চীনকে ঠেলে ভারতই আপন

।। প্রথম কলকাতা ।।

বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে বিজেপির হাত শক্ত করে ধরল আওয়ামি লিগ। ভারতের সাহায্য বড্ড প্রয়োজন চীনের থেকে দূরে সরছে বাংলাদেশ? একমাত্র মোদীই পারেন যুক্তরাষ্ট্রকে ঠেকিয়ে রাখতে জেপি নাড্ডার সঙ্গে বাংলাদেশের শাসকদলের বৈঠক ফলাফল কী হল? বিজেপির কীভাবে কাজ করে ফলো করছে আওয়ামি। নির্বাচনের আগেই কি ভারতকে একটু বেশি গুরুত্ব ঢাকার? ভারতে এলেন আওয়ামি লিগের প্রতিনিধিরা বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে এমন কি কথা হল
তারপরই বাংলাদেশের মন্ত্রী বললেন ভারতের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে চীনের কোনও আপত্তি নেই। এমনটা কি চীন স্বয়ং বলেছে বাংলাদেশকে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপ কি আরও বাড়ছে যত ভোট এগোচ্ছে বাংলাদেশের সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আসছে ভারতে, এই পয়েন্টটা মিস করলে একেবারেই চলবে না। অনেকেরই মতে এখন হাসিনার দেশ জানে এখন চীনকে নয় দিল্লির হাতকেই মজবুত করে ধরাটা খুব দরকার তাদের। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে ভারতে বিজেপি কীভাবে কাজ করে বা করছে জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কাছ থেকে জানলেন আওয়ামি লীগের নেতারা। বিজেপির এই কর্মসূচীর নাম ছিল বিজেপিকে জানো। কূটনীতিবিদরা বলছেন বাংলাদেশের নির্বাচনে আবহে বিজেপি-র সদরদফতরে এসে আওয়ামি লীগ নেতাদের নাড্ডার সঙ্গে আলোচনা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

বৈঠক শেষে নাড্ডা জানিয়ে দিলেন আওয়ামী লিগকে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বিজেপির, তাহলে এত বড় সুযোগকে হাতছাড়া করতেই কি আরও কোনও রিস্ক নেবেন না শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে রিস্ক মানে এই পরিস্থিতিতে বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার সখ্যতা বাড়ানো। এই অবস্থায় বাংলাদেশের তরফে বলা হয় ভারতের সঙ্গে তাদের জোট নিয়ে চীনের তরফে কোনও সমস্যা নেই। আগেও নির্বাচনের ইস্যুতে দিল্লির তরফ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বলা হয়েছিল এমন কোনও পদক্ষেপ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নেওয়া উচিত নয় যাতে সেখানে চীনের দবদবা বাড়ে চিনও অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে
প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু এখন প্রতিবাদের থেকেও বেশি প্রয়োজন প্রপার কূটনৈতিক দান। তাইতো শুধু নাড্ডা নয়
বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পরই ভারতের বিদেশমন্ত্রী ড. জয়শঙ্করের সঙ্গেও আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমূহুর্তে ভারতের এক একটা পদক্ষেপ ম্যাটার করছে বাংলাদেশের জন্য। দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বিজেপি। নাড্ডার এই মন্তব্য কিন্তু হেলায় উড়িতে দেওয়া যাবে না ভারতও চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত হোক। বাংলাদেশ থেকে চীনের সমস্ত ইনফ্লুয়েন্স ধীরে ধীরে কমতে থাকুক। এবার দেখার দিল্লি কোন পথে কতটা ছাপ ফেলতে পারে গোটা বিষয়টায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version