Bangladesh: চোরাকারবারিদের দখলে বন্ধন এক্সপ্রেস, রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bangladesh: ট্রেনে যাত্রীদের থেকে চোরাকারবারিদের সংখ্যা বেশি। ধীরে ধীরে চোরাকারবারিদের দখলে চলে যাচ্ছে বন্ধন এক্সপ্রেস(Bandhan Express)। আর হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। প্রশাসন যথাযথ ভাবে চেষ্টা করছে যাতে চোরাকারবারিদের অপরাধ কমানো যায়। যার কারণে কম সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। অনেকে হয়রানির জেরে বন্ধন এক্সপ্রেসের পথ একটু এড়িয়ে চলছেন। অপরদিকে চোরাকারবারীদের কবলে বন্ধন এক্সপ্রেস থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে বাংলাদেশ(Bangladesh) সরকার।

ভারত(India) আর বাংলাদেশের(Bangladesh) মধ্যে যোগাযোগকে সহজ করে তুলেছে বন্ধন এক্সপ্রেস কিন্তু সেই ট্রেনটি এখন চোরাকারবারিদের দখলে। এই ট্রেনটিকে বহুযাত্রী আর নিরাপদ রুট বলে মনে করছেন না। অভিযোগ উঠছে, ট্রেনে করে নাকি লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ পণ্য চোরা চালান করা হয়। যেখানে যাত্রীদের থেকে এই চোরাচালানকারীদের সংখ্যা দ্বিগুণ। যাদেরকে আটকাতে বহুবার বিজিবি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে পণ্য আটক করেছে। কিন্তু সেভাবে আটকানো যাচ্ছে না। উপরন্তু বাড়ছে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য। কয়েকদিন আগেই খুলনা-কলকাতা বন্ধন ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৯১ লক্ষ টাকার পণ্য।

রবিবার আর বৃহস্পতিবার সপ্তাহে এই দুইদিন কলকাতা(Kolkata) থেকে খুলনা(Khulna) যাতায়াত করে বন্ধন এক্সপ্রেস। এক একবার যাত্রায় ট্রেনে থাকেন প্রায় ৫০৭ জন করে যাত্রী, তবে ট্রেনের সেবার মান নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এই ট্রেনে নাকি সেভাবে কড়াকড়ি কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। খুব সহজেই যাত্রীদের সিটের উপর চোরাই পণ্য রেখে দেওয়া হয়। এমনকি যাত্রীদের টাকা-পয়সা জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়। যার কারণে আতঙ্কিত সাধারণ যাত্রীরা। অপরদিকেই চোরাকারবারিদের ঠেকাতে বিজিবি এবং পুলিশ সাধারণ যাত্রীদের ব্যাগেজ স্ক্যানিং করে। যারা নিতান্তই যাত্রী এবং সাধারণ মানুষ। যারা এই তল্লাশিতে বেশ হয়রানি অনুভব করেন। যখনই বন্ধন এক্সপ্রেস বেনাপোল স্টেশনে আসে তখনই গোটা প্ল্যাটফর্মের চারিদিকে ভরে যায় বহিরাগত চোরাচালানি সদস্যরা। অভিযোগ অনুযায়ী, ট্রেনটির বেশিরভাগ বগি নাকি চোরাকারবারিদের দখলে। যেখানে এক একজন প্রচুর লাগেজ নিয়ে ট্রেনের সিটের উপর রেখে দেন। অপরদিকে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। নষ্ট হচ্ছে ট্রেনের পরিবেশ। যার জেরে ট্রেনটি যাত্রীদের চলাচল অনুপযোগী হয়ে উঠেছে।

যারা পাসপোর্টধারী যাত্রী টুরিস্ট কিংবা চিকিৎসা ভিসা নিয়ে খুলনা থেকে কলকাতা কিংবা কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করছেন তারা এই অব্যবস্থার কারণে চরম হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। যার কারণে যাত্রীরা দ্বিতীয়বার এই ট্রেনটিতে যাতায়াত করতে চাইছেন না। আসলে বহু চোরাকারবারি এই ট্রেন পথ কাজে লাগিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পণ্য খুব সহজেই বাজারজাত করছে। যদিও চোরাকারবারি আটকাতে সচেষ্ট বাংলাদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই বেনাপোল কাস্টমস পূর্বে এই বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version