Vastu Tips: পশ্চিমে শুভ দক্ষিণে অশুভ, দিকগুলি প্রভাব পড়তে পারে আপনার স্বাস্থ্যের ওপরেও

।। প্রথম কলকাতা ।।

Vastu Tips: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বিশ্বাস বাস্তু তাদের জীবনে একটা বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে । বাস্তু মতে, যদি প্রত্যেকটি জিনিস নিয়ম মেনে করা যায় তাহলে তার সুফল হাতেনাতে মেলে। আর বাস্তুর (Vastu) বিপরীতে গিয়ে কোন কাজ করলে জীবন হয়ে উঠতে পারে সমস্যায় ভরপুর। কাজেই আমাদের প্রতিদিনের চলার পথে এমন বহু জিনিস রয়েছে যা আমরা বাস্তু মেনে করে থাকি। তেমনই বাস্তুশাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন দিকের (Directions) খারাপ এবং ভালো বৈশিষ্ট্য গুলি। পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ এই দিক গুলি ব্যক্তি জীবনকে প্রভাবিত করে।

অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন, বাস্তু মতে উত্তর-পূর্ব কোণে যে কোন কাজ করা শুভ বলে বিবেচিত হয়। আবার বাড়িতে যদি কোন আগুনের কাজ করতে হয় তাহলে বেছে নেওয়া হয় পূর্ব দিককে। তেমনি বাড়ির কোন দিকে মুখ করে খেতে বসা হবে সেটাও কিন্তু বাস্তুতে উল্লেখ রয়েছে। কারণ এমন কিছু দিক রয়েছে যেদিকে খেতে বসলে স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। আর এমনও কিছু দিক রয়েছে যে দিকে মুখ করে খেতে বসলে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে । কারণ বাস্তুশাস্ত্রমতে যতগুলি দিক রয়েছে সবগুলি কোন না কোন শক্তির সাথে সম্পর্কিত। জানুন বাস্তু অনুসারে কোন দিকে বসে খাওয়া উচিত।

* পূর্ব দিক: কোন ব্যক্তি যদি পূর্ব (East) দিকে মুখ করে খেতে বসেন তাহলে তাঁর মানসিক চাপ কমে। মস্তিষ্ক আরও বেশি সক্রিয় হয়। খাবার হজম করার শক্তি বৃদ্ধি পায়। আর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

* পশ্চিম দিক: যারা ব্যবসায়ী তাদের জন্য পশ্চিম (West) দিকে বসে খাওয়া বেশ শুভ ,এমনটাই বলে বাস্তুশাস্ত্র।

* উত্তর দিক: অল্প বয়সী ছাত্র-ছাত্রী অথবা যুবক যুবতী যারা ভবিষ্যতে উন্নতির সিঁড়ি চড়তে চাইছেন তাঁরা অবশ্যই উত্তর ( North) দিকে মুখ করে খেতে বসতে পারেন। কারণ এতে ভবিষ্যতে উন্নতি করার পথ প্রশস্ত হয়। জ্ঞান এবং চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে।

* দক্ষিণ দিক: কারও জন্যেই দক্ষিণ (South) দিকে মুখ করে খাওয়া একদমই উচিত নয়। যাদের পিতা মাতা জীবিত রয়েছেন তাঁরা কখনই দক্ষিণ দিকে মুখ করে খেতে বসবেন না। কারণ এই দিকটিকে যমের দিক হিসেবে মনে করা হয় । কাজেই দক্ষিণমুখী খাদ্য গ্রহণ এড়িয়ে চলুন।

আজকের প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেকটি তথ্য একেবারেই সাধারণ বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রে এই সম্পর্কিত আর কী কী তথ্য বলা হয়েছে এবং সেগুলি কতটা বিশ্বাস উপযোগী তা জানতে কোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version