Cyclone Michaung: চলতি বছরের শেষে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ এর আশঙ্কা ! অবশ্যই মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি

।। প্রথম কলকাতা।।

Cyclone Michaung: দক্ষিণবঙ্গে হালকা শীতের আমেজ থাকবে সতর্কতা ছিলই। আর দিনকয়েকের নিম্নচাপের ফলে আপাতত শীতের মুখে ছাই। তবে মনে করা হচ্ছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে পড়তে পারে শীত। আর এই শীতের মাঝেই ভয় ধরেছে নয়া ঘূর্ণিঝড়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর , ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাব কাটতে না কাটতেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টির হওয়ার কথা। তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কতখানি প্রভাব ফেলবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা ৷ তবে নিম্নচাপের ফলে মেঘলা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ ৷ মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা হিসাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সমুদ্রে।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সবশেষ ঘূর্ণিঝড়টির নাম ছিল ‘মিধিলি’ যা মালদ্বীপের দেওয়া নাম। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের।

সূত্র বলছে, বর্ষার পরে অর্থাৎ অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় প্রবণ থাকে বাংলাদেশের উপকূল। এই সময়ে বঙ্গোপসাগরের সন্নিকটে গভীর নিম্নচাপের মাধ্যমে সাইক্লোনে পরিণত হয়ে থাকে। সাধারণত দুই সময়ে দেশে এমন ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। এককথায় , বর্ষার আগে ও পরে যাকে পোস্ট ও প্রি মনসুন বলা হয়ে থাকে। তবে বর্ষার পরের ঝড়গুলোর মাত্রা ও তীব্রতাও থাকে বেশি।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর মিলেছে, আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পরেও ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। যদি পরবর্তী পর্যায়ে সেটি বঙ্গোপসাগরে যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে তার অভিমুখ কোন দিকে থাকবে ? সেইদিকে নজর রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।

উল্লেখ্য বিষয়, ডিসেম্বরে এই ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে মিগজাউম (Migjaum)। এই নামটি দেওয়া মায়ানমারের। এই ঘূর্ণিঝড় হলে এবছর এটি চতুর্থ ঘূর্ণিঝড় হবে। এর আগে অক্টোবরে দেখা মিলেছে ‘তেজ’ ও ‘হামুন’। নভেম্বরে দেখা মিলেছে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির। মিগজাউম এর প্রভাব যদি পরে তার আগে অব্শ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। দেখে নেওয়া যাক কি করবেন কি করবেন না।

কি করবেন ?

১) ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ির বাইরে থাকা একেবারেই নিরাপদ নয়। তাই বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে হাতের কাছে রাখুন প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম।

২) ঘূর্ণিঝড় মানেই বিদ্যুৎবিভ্রাট! তাই আগে থেকে প্রয়োজনীয় কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা রাখুন হাতের কাছে । হারিকেন বা চিমনিতে কেরোসিন ভরে রাখুন। এ ছাড়াও হাতের কাছে রাখুন টর্চ ছাড়াও অন্য কেনো আলোর ব্যবস্থা।
৩) গৃহপালিত পশু রাখার চেষ্টা করুন বাড়ির ভেতর নিরাপদে কিংবা কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে ।
৪) বাড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানীয় জল মজুত করে রাখুন।
৫)হাতের কাছে প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন। ফাস্ট এইড বক্স রাখতেও ভুলবেন না।

 কি করবেন না ?

১) কোনও রকম গুজবে কান দেবেন না৷
২) কোথাও কোনো বৈদ্যুতিক খোলা তার ঝুলতে দেখলে তাতে হাত দেবেন না।
৩)ঝড়ের সময় বৈদ্যুতিক লাইন এবং গ্যাস সরবরাহের মেন সুইচ বন্ধ রাখুন৷
৪) দরজা জানলা বন্ধ রাখুন৷
৫) ঘূর্ণিঝড়ের সময় মোবাইল ফোন চার্জ দেবেন না

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

Exit mobile version