।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের প্রথম ধাক্কা অরুনাচলে বড় নির্মাণ দিল্লির সরাসরি এবার বেজিংয়ের সঙ্গে হবে সেতুর যুদ্ধ অরুনাচলকে বন্যায় ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বানচাল সাবধান! বেজিংয়ের মাতব্বরীর দিন শেষ হতে চলেছে। শুধুই দাদাগিরি আর কাজের সময় সর্বনাশের চেষ্টা। অরুনাচল যদি চীনেরই হত তাহলে কেন সেই এলাকাকে রক্ষা করছে না তারা? উল্টে অরুনাচলের ক্ষতি করার বড় চেষ্টা। ভারত স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে এবার বোঝাবে মজা। অরুনাচলের সিয়াং নদী এমূহুর্তে মারাত্মক ইমপরটেন্ট মনে রাখবেন নামটা।
অরুনাচলে যখন তখন বড় বন্যা আসতে পারে। তার ওয়ান অ্যান্ড ওনলি কারণ হল জিনপিংয়ের দেশ। অরুনাচলের ভৌগলিক অবস্থানই এই সুযোগ করে দেয় চীনকে। তাই এমন এক ব্রিজ তৈরি করেছে তারা তাতে বড় দুই ক্ষতি ভারতের। ভারতের অরুনাচল প্রদেশ সহ আরও এক রাজ্যের মারাত্মক বিপর্যয় আসতে পারে। প্রথমত হরপা বানে ভেসে যেতে পারে গোটা অরুনাচল ও অসম। শুধু তাই নয় সিয়াং নদীর জলও হয়ে যাচ্ছে রীতিমত কাঁদায় ভরা। ভারত কীভাবে এই বিপর্যয় আটকাবে জানেন? দিল্লি পাল্টা ব্রিজ তৈরি করছে, তাহলে এই ব্রিজে কী চীন ভাসবে বন্যার জলে? সিয়াং নদী যা তীব্বতে থেকে বয়ে আসছে এবং তীব্বতে এই নদীর নাম ইয়ারলুং সাংপো। চীনের সঙ্গে এর মারাত্মক কানেকশন সিয়াং আরও নীচে নেমে এসে অসমে নাম নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র।
ভালো করে বুঝুন বিষয়টা সীমান্তের অদূরেই তিব্বতের মেদং জেলায় বিশাল বাঁধ প্রকল্প শুরু করতে চলেছে বেজিং প্রশাসন। তাদের এই বাঁধের জেরে বন্যায় ভাসতে পারে অরুণাচল প্রদেশের বিশাল এলাকা। একবার যদি চীন এই সিয়াং নদীর ওপর বাঁধ দিয়ে দেয় ব্যাস তাহলেই কার্যত কেল্লাফতে। শুধু তাই নয় চীন যদি চালাকি করে জলের স্রোত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয় তাহলে একেবারে শুকিয়ে যাবে সিয়াং নদী। ভারত অঙ্ক বুঝে নিয়েছে এবার সিয়াং নদীর ওপর বড়সড় বাঁধ নির্মাণ করতে চলেছে দিল্লি। প্রথমে এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে রীতিমত আপত্তি করেছিল জনতা। তবে এবার তারা বুঝতে পারছেন এই ব্যারেজ না তৈরি হলে তারা ভেসে যাবে।
২০২২ সালে একটা খবর হয়েছিল তিব্বত থেকে অরুণাচলে বয়ে আসা সিয়াং নদীর স্বচ্ছ জলধারা হঠাৎ ঘোলা হয়ে গিয়েছে। জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে বিপুল পরিমাণ কাদা আর তার জেরেই হড়পা বানের আশঙ্কা বেড়েছে অরুণাচল ও অসমে। যার জেরে কার্যত ধ্বংসের মুখে পড়ত অরুণাচলের টুটিং, ইঙকিয়ং এবং পাসিঘাটের মতো শহরগুলি। বিশেষজ্ঞদের দাবি ভারত এখন এই ইস্যুতে অ্যাটাকের পরিবর্তে ডিফেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে আগে অরুনাচল এবং সেইসঙ্গে অসমকেও বাঁচানো যায়। এবার দেখার দিল্লি কতটা ভয়ানকভাবে নিজেদের ডিফেন্ড করতে পারে তাহলেই শত্রুদেশ বুঝতে ভারতের দম ঠিক কতটা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম