Israel-Hamas war: হামাসের পর্দা ফাঁস করলো আমশাত ইউনিট! টেকনিকেই সেরা, জেরিকো ওয়ালে কোন রহস্য ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Israel-Hamas war: হামাসের ডিজিটাল ডিভাইসই ফাঁস করল সবটা। আমশাত ইউনিটের চোখ এড়ায়নি এতোটুকু। কত বছরের প্ল্যানিংয়ের পর ইহুদী ভূমির উপর ডিরেক্ট অ্যাটাক চালালো হামাস? ইলেকট্রনিক ডেটাই ধরিয়ে দিচ্ছে হামাসের ধুরন্ধর মাথা? কারা আমশাতের কোর মেম্বার?এদের টেকনিকই আলাদা। পৃথিবীর বুকে দাগ কাটতে চেয়েছিল হামাস। ৭ই অক্টোবর ভুলবে না ইসরাইল। “জেরিকো ওয়াল” ছুঁতেই ফাঁস হল মাস্টারপ্ল্যান। কিভাবে ইসরাইলের হাত পৌঁছল এত দূর? ৭ই অক্টোবর, হামাস যে ইহুদি ভূমিকে নরক করে দেওয়ার প্ল্যান কি কয়েক দশকের? একটা ডিজিটাল ডিভাইস ইসরাইলকে কোথায় পৌঁছে দিল, আন্দাজ নেই। আর ইসরাইলের আমশাত ইউনিট এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে। হামাসের লড়াইয়ের পরিকল্পনা সাজানো ৪০ পৃষ্ঠার একটা নথি, যার কোড নেম ‘‘জেরিকো ওয়াল’’। সেটাই এখন ইসরাইলের এসেট।

মনে করে দেখুন হামাসের মুখপাত্র একবার বলেছিলেন, গত কয়েক দশক ধরে প্যালেস্টাইনিরা যা ভোগ করেছে, তার জবাব দিতেই হামাস আল-আকসা ফ্লাড শুরু করেছে। একটু তলিয়ে ভাবলেই এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ৭ই অক্টোবর হামাসের এতো বড় অপারেশনের প্ল্যান একদিন দুদিন বা একমাস দুমাসের নয়। বছরের পর বছর, দীর্ঘ পরিকল্পনা আর নিখুঁত প্রস্তুতির পর গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় গাজার জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। হামাস যোদ্ধাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডিজিটাল ডিভাইস আর নথি বিশ্লেষণ করে এমনই সব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ট্যাবলেট, জিপিএস ডিভাইস, গোপ্রো ক্যামেরা, মানচিত্র এবং নোটবুক থেকে পাওয়া তথ্যে ‘‘কীভাবে সামরিক ঘাঁটি এবং কিব্বুতের বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালাতে হবে’’ সে সম্পর্কে বছরের পর বছর ধরে পরিকল্পনার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এতদূর পৌঁছলো কি করে ইজরায়েল? কিভাবে পেল কনফিডেন্সিয়াল ডিজিটাল ডিভাইস বা নথি?

মৃত কিংবা আটকে রাখা হামাস যোদ্ধাদের কাছ থেকে এগুলো আদায় করেছে ইসরাইল। জানতে পেরেছে, মানুষের মনোবল ভেঙে দেওয়ার মতো একটি আকস্মিক ধাক্কা দেওয়াই ছিল হামাসের একমাত্র লক্ষ্য। হামাস যোদ্ধাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা অসংখ্য আরবি নথি, লাখ লাখ ইলেকট্রনিক ডেটার পাঠোদ্ধারে ইসরাইল নামিয়ে দিয়েছে আমশাত ইউনিটকে। আমশাত ইসরাইলের একটা সামরিক গোয়েন্দা ইউনিট। যাদের ক্ষমতা মারাত্মক। ইসরায়েল জেনে গেছে, হামাস একই সঙ্গে ‘‘একটি যুদ্ধের পরিকল্পনাও’’ সাজিয়েছিল। হামাসের নিখুঁত পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির মাত্রা সবচেয়ে বড় আশ্চর্যের বিষয়। তবে হামাসের এইসব কর্মকাণ্ডের কোনটাই চোখ এড়ায়নি আমশাত ইউনিটের। জানিয়ে রাখি ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ওই সময় মিসর ও সিরিয়ার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল ইসরায়েল। সেই সময়ও আমশাত ইউনিট চালু করেছিল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

এইসব কখন করা হচ্ছে যখন কিনা ইহুদি ভূমির উপর একটা বড় রকমের অ্যাটাক হয়ে গেছে। অথচ, এক বছরেরও বেশি সময় আগে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা হামাসের ৭ অক্টোবরের মতো হামলার একটা পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পেরেছিল। এতে হামলার বিশদ বিবরণ ধাপে ধাপে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনাকে ‘‘কাল্পনিক’’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। আর এখানেই বড় ভুল হয়ে গেছে নেতানিয়াহুর দেশের। তাই সব জানার পরও প্রাণঘাতী হামলা ঠেকাতে আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা ইসরায়েল নেয়নি। এই নিয়ে প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছে কেউ কেউ। কিন্তু ইসরাইল আপাতত সেসবে কান দিচ্ছে না। বরং কিভাবে হামাসমুক্ত গাজা গড়ে তোলা যায় সেটাকেই মূল টার্গেট করে, চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের গ্রাউন্ড অপারেশন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version