৷৷ প্রথম কলকাতা ৷৷
Russia america: পুতিনের মহাবিনাশের টার্গেটে এবার আমেরিকা? একটা বিস্ফোরণ আর ১৫ মিনিটে খেল খতম৷ জেলেনস্কি ‘ক্রিমিয়া’ রণনীতির ফল হবে সাংঘাতিক প্ল্যান ‘বি’ নয় রাশিয়া প্ল্যান ‘সি’ রেডি করে ফেলেছে দাবি করা হচ্ছে রাশিয়ান সংবাদমাধ্যমে৷ যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বুদ্ধির পরিণাম এবার ইউক্রেনের ওপর নয় আঘাত সরাসরি আমেরিকার মাটিতে আশঙ্কা তেমনই৷ ভারতে জি-২০ বৈঠকে আগেই কি ঘটে যেতে পারে বড় কিছু? কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ বেড়ে যাবে৷ আমেরিকার সুপ্ত আগ্নেগিরিতেই তুলকালাম হতে পারে৷
পুতিনের তুরূপের তাস আইসিবিএম সারমাত! এই একটা মিশাইল ৬ থেকে দশটা ওয়ারহেড নিয়ে আলাদা আলাদা টার্গেটে হামলা করতে পারে৷ সহজ কথায় রাশিয়ার শত্রুদের যম৷ বাইডেন যেদিন কিয়েভে গেছিলেন সেদিন থেকেই অ্যাকটিভ রাশিয়ার স্ট্যাটেজিক নিউক্লিয়ার ফোর্স৷ কতটা মারাত্মক ইউক্রেনে এসে বাইডেনের উস্কানির পরিণাম? চিন এপ্রিলের শেষেই ১০০ পিস আত্মঘাতী 100 ZT-180 ড্রোন পাঠাবে ক্রেমলিনকে৷ ৩০-৩৫ কিলো ওয়ারহেড বহন করার দম রাখে৷ ইউরাএশিয়ান টাইমসের রিপোর্ট বলছে, জার্মানির ম্যগাজিন ‘ডের স্পিইগাল’ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে রাশিয়ার সঙ্গে নাকি চিনা কোম্পানির শিয়ান বিঙ্গে ইন্টালিজেন্ট অ্যাভিয়েশন টেকনলজির ডিল ফাইনাল হওয়ার পথে৷ এই ড্রোন নাকি ইরানের শাহিদ-১৩৬ ড্রোনের মতোই৷
মার্কিন সংবাদমাধ্যম মার্কা ডট কমের রিপোর্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, পুতিনের লক্ষ্য সরে যাচ্ছে ইউক্রেন থেকে আমেরিকায়৷ আমেরিকা ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ক যুগ যুগ ধরে সেখানে ফুটছে এক আগ্নেয়গিরি ৷ রিপোর্ট বলছে, রাশিয়া নাকি ভয়ঙ্কর আইসিবিএম সারমাত তাক করতে পারে সেখানেই৷ গোটা বিশ্বের সব মহলে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে এই খবর৷ পুতিন আগেই পরিস্কার বলে দিয়েছিলেন ২০২২য়েই মোতায়েন করা হবে আরএস ২৮ সারমাত ইন্টারকন্টিনেন্ট ব্যালিস্টিক মিশাইল৷ কূটনৈতিক মহল বলছে, জেলেনস্কি যেমন যেমন ক্রিমিয়াকে যুদ্ধের চক্রবুহ্য বানানোর চেষ্টা লেগে গিয়েছেন তেমন মস্কো প্ল্যান সি ডেভেলপমেন্ট বাড়ছে৷ আইসিবিএম সারমাত ইন্টারকন্টিনেন্ট ব্যালিস্টিক মিশাইল আমেরিকা একে শয়তান বলে ডাকে৷ ১১ থেকে ১৮ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে যে কোনও জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম৷
রাশিয়া যে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্ককে টার্গেট করতে পারে সে তথ্য ইউক্রেন এনেছে বিশ্বের সামনে৷ ইউক্রেনের মন্ত্রী অ্যানটন জেরাস্চেনকো টুইট করেছেন এক ভিডিও
সেখানেই নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড আইসিবিএম সারমাতে দাগা ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে৷ ভারত এবং চিন বাধা না দিলে ইউক্রেনকে পরাস্ত করতে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ সরাসরি পরমাণু হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন৷ কূটনৈতিক মহল বলছে, হুঁশিয়ারি পাল্টা হুঁশিয়ারির খেলা এক বছর ধরে চললেও রাশিয়া বা পুতিন পরমাণু যুদ্ধের হুমকি কিন্তু এখনও দেননি৷ সেখানে আমেরিকার ন্যাশনাল পার্কের ওপর টার্গেট করা নিয়ে ইউক্রেন যে তথ্য তুলে ধরছে তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে৷ কিন্তু রাশিয়া এনিয়ে কোনও ধরণের অফিশিয়াল বিবৃতি বা মন্তব্য করেনি৷ তাই কিয়েভের এই দাবির এই মূহুর্তে কতটা যুক্তিযুক্ত? সেখান প্রশ্ন রয়েছে৷ নাকি এটা আমেরিকার পাল্টা উস্কানোর ইউক্রেনের নয়া পন্থা?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম