আমেরিকা-রাশিয়া যুদ্ধে জড়াতে পারে, কিন্তু কী কারণে ? নতুন উত্তেজনা

।। প্রথম কলকাতা ।।

আমেরিকা-রাশিয়ার মধ্যে যে কোনওসময় যুদ্ধ লাগতে পারে। তবে ইউক্রেন নয় সোজা সিরিয়ার মাটিতে ক্ষোভ মেটাবেন পুতিন। গৃহযুদ্ধ বিদ্ধস্ত সিরিয়াতে রাশিয়া কী করছে? কেন সিরিয়া নিয়ে এত আগ্রহ মস্কোর। দামাস্কাসে আমেরিকার পাওয়ার প্লে সময় শেষ। ইজরায়েল- গাজা থেকে সোজা কাট টু সিরিয়ার মাটি। এখানে শুরু হয়ে গেল আলাদাই উত্তেজনা। আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে যে কোনও সময় এখানেই বাঁধতে পারে যুদ্ধ
কেন? কী কারণ রয়েছে নেপথ্যে সেই বিশ্লেষণে একটু পরে আসছি। তবে আগে জেনে নিন গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ায় রাশিয়া এবং আমেরিকার একসঙ্গে বিমানবহর হামলা চালিয়েছে। আর ঠিক এখান থেকেই আশঙ্কা বাড়ছে। এবার নতুন অশান্তির মেঘ পশ্চিম এশিয়ায়? ইউক্রেনের ক্ষোভ এবার সোজা সিরিয়ায় মেটাবেন পুতিন?

আসলে ব্যাপারটা ঠিক তা নয় সিরিয়া নিয়ে বেশ কিছু বছর ধরে অন্য অঙ্কই কষে আসছে রাশিয়া একবার আমেরিকাকে সিরিয়া থেকে বের করে দিতে পারলে মস্কো ক্ষান্ত। রাশিয়ার বা ভ্লাদিমীর পুতিনের মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের পাওয়ার বাড়ানোর
বিশাল স্বপ্ন এবার কি তাহলে সত্যি হতে পারে? সেটা জানতে গেলে কয়েক বছর পিছনে যেতে হবে। ২০১৫ সালে সিরিয়া মিশন শুরু করেছিল রাশিয়া। যে ঘোষিত উদ্দেশ্য নিয়ে মস্কো এই অভিযান শুরু করেছিল তা ছিল আসলে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলা করা। তার থেকেও বড় লক্ষ্য ছিল মস্কো গুরুত্বপূর্ণ মিত্র। বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রাখা এই প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে আবার সহ্য করতে পারে না আমেরিকা। রাশিয়ার সমর্থনের ফলেই বাশার আসাদের বাহিনী বিদ্রোহীদের মোকাবিলা করতে পেরেছিল। এদিকে ২০১১ সালে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিতে শুরু করেছিল আমেরিকা।

পরবর্তী সময়ে আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলায় পূর্ব সিরিয়ার ডেইর-এজ জাওয়ার প্রদেশ এবং উত্তর-পূর্বের হাসাকা-সহ বিভিন্ন এলাকায় সেনা মোতায়েন করেছিল পেন্টাগন। এখন যে হামলা আমেরিকা সিরিয়ার ওপর করেছে তথ্য বলছে তাতে পেন্টাগনের নিশানায় ছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত সেনার বিভিন্ন ঠিকানা। অন্য দিকে, রুশ বিমানবহর হামলা চালিয়েছে। আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীর একাধিক ডেরায় রুশ সেনা জানায় বিদ্রোহীদের সাতটি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে তারা। ইদিলিবে রুশ বিমানহানায় অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সংবামাধ্যম জানিয়েছে। এই ইদলিব এলাকার মারাত্মক গুরুত্ব রয়েছে। সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকার বিরোধীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিব। ২০১৫ সাল থেকে এ শহরের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে। মস্কো ঠিক সেখানেই নিশান করে গত কয়েক সপ্তাহে ধারাবাহিক ভাবে আসাদ বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছে। পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন আমেরিকার যুদ্ধবিমান। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া এই ক্ষমতার জাহির করা কি আমেরিকা সহ্য করবে? নাকি এবার সিরিয়ার মাটিতেই লাগতে পারে বড়সড় যুদ্ধ?

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version