।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাসের বিষদৃষ্টিতে জড়িয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। পৃথিবীর অতলে এক ঝটকায় হারিয়ে যাবে গোটা দেশটা? হামাসের সুড়ঙ্গে রাশিয়া -চীনের গোপন কানেকশন? পুতিন – শি দিলেন মোক্ষম চাল। কতদূর জাল বিছিয়েছে প্যালেস্টাইনের এই সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী? ইসরাইলের জন্য হামাসের ভয়ানক চক্রব্যূহে আটকে গেল বাইডেনের দেশ। আমেরিকার মাটিতেই লুকিয়ে হামাস নিকেশের ফর্মুলা? জানেন? যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থেকে কী চাইছে আরব দেশগুলো? ইসরাইলের ৭ই অক্টোবর নেমে আসবে কি আমেরিকার বুকে? জাল বুনছে হামাস।ইসরাইল, আমেরিকা। দুটো দেশেকে তিষ্ঠতে দিচ্ছে না আর এবার যুক্তরাষ্ট্রের চোখে আঙুল দিয়ে, করলো ভয়ঙ্কর প্রেডিকশন। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মতোই পরিণতি হবে আমেরিকার। কি ঘটবে? ধসে যাবে গোটা দেশটা?
আমেরিকার বিরুদ্ধে পশ্চিম এশিয়ার একাধিক শক্তি একজোট হচ্ছে, একাট্টা হচ্ছে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা-বিরোধী সব শক্তি একজোট হয়ে যুদ্ধে অংশ নিলে, অতীতের পাতায় জায়গা হবে আমেরিকার। একদম স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে হামাস। আরো বিস্ফোরক দাবি করেছে প্যালেস্টাইনের এই জঙ্গি সংগঠন। গাজার মাটির নিচে সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের সাথে কি কানেক্টেড শি পুতিনের দেশ? হ্যাঁ রাশিয়া এবং চীনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে হামাস। কিভাবে? হামাসের দাবি, রাশিয়া প্রতি দিন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। হামাস নেতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কাতার, চিন এবং রাশিয়ায় কূটনীতিকদের পাঠিয়েছে চীনও। এতো বড় কথা? তলে তলে যাতায়াত শুরু হয়ে গেছে হামাসের সঙ্গে অন্যান্য দেশের? মস্কোর মতো বেজিংয়েও হামাসের একটি প্রতিনিধি দল যাবেন বলে জানিয়েছেন হামাসের শীর্ষ আধিকারিক।
তাহলে কি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হামাসের ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হয়ে যাবে? মনে করিয়ে দিই, সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো নিয়ে গড়ে ওঠা সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৯১ সালে ভেঙে যায়। একমেরু বিশ্বে নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আরও বৃদ্ধি করে আমেরিকা। কিন্তু, দিনে দিনে বাইডেনের কাছেও প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী যেভাবে বিরাট বড় অভিশাপ হয়ে উঠছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের টেনশন বাড়ছে। ওয়াশিংটন এর বুকে কাঁপুনি ধরছে। সবদিক দিয়ে ব্যাপক চাপে পড়ে গেছেন বাইডেন। যুদ্ধ থামাতে আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করছে আরব দেশগুলো। আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়াতেই আছেন। তাঁর কাছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে জর্ডন এবং মিশর। তবে আমেরিকার বিদেশ সচিবের গলায় শোনা গিয়েছে ইজ়রায়েলের সুরই। ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘‘যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার অর্থ গাজ়ায় হামাসের বশ্যতা স্বীকার করে নেওয়া, যা কখনওই করবে না ইজ়রায়েল।’’
আমেরিকা অবশ্য ইজ়রায়েলকে সাময়িক ভাবে যুদ্ধ থামাতে বলেছিল। গাজ়ায় যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ নাগরিকদের মাঝে ত্রাণ বিলি করতে নেতানিয়াহুর কাছে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়েছিলেন ব্লিঙ্কেন। কিন্তু ইজ়রায়েল সেই আবেদন উড়িয়ে দিয়েছে। তাই সে দিক থেকে ভাবতে গেলে আমেরিকার কথা কানে তোলেনি ইসরাইল। এতে আমেরিকার চাপ বাড়ালো বই কমলো না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম