কানাডা নিয়ে আমেরিকা সংকটে! মোদী খেলা ঘুরিয়ে দিলেন, ট্রুডোর হার স্পষ্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

আমেরিকাকে উভয়সঙ্কটে ফেলে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। জয়শঙ্করের মিশন সাকসেস ট্রুডোর কূটনৈতিক চালের দফারফা যুক্তরাষ্ট্র বড় প্যাঁচে। ব্লিঙ্কনের সঙ্গে বৈঠকে জয়শঙ্কর কী বললেন জানেন? কানাডা টের পেয়ে গেছে কী ভুল তারা করেছে। কূটনীতির অতি সুক্ষ্ম সময় বারবার বলেছিলেন আন্তর্জাতিক ডিপ্লোমেটিকরা। ট্রুডো না চাইলেও খালিস্তানিদের চাপ বাড়ছে কেউ আটকাতে পারবে না ভারতকে বুঝিয়ে দিলেন জয়শঙ্কর। সঠিক টাইমিংটারই অপেক্ষা করছিল ভারত। কানাডা ভেবেছিল আমেরিকা তো তাদের পক্ষে তাহলে নো টেনশন, কিন্তু ঠান্ডা মাথায় মোদী যে চাল চাললেন তাতে মুখ থুবড়ে পড়ল ওটাওয়া।

কানাডায় নিজ্জরের মৃত্যু নিয়ে আমেরিকা কী সতর্ক করবে ভারতকে পাল্টা ভারত নালিশ করল একগুচ্ছ কানাডার বিরুদ্ধে। সোজা মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কনের কাছে ব্যস কার্যত মাথায় হাত জাস্টিন ট্রুডোর। এমনি এমনি কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রশংসা করছেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী। লেটস নট নরমালাইস কানাডা ইস্যু মানে কানাডা  ইস্যুকে সাধারণ ঘটনা হিসেবে দেখলে চলবে না। আমেরিকা থেকে বড় বার্তা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বললেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ্অ্যান্টনি ব্লিনকেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানকেও সব কথা জানিয়েছেন তিনি। এর মানে কানাডা পক্ষে আওয়াজ তোলা আমেরিকাকেই কানাডার বিরুদ্দে নালিশ।

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীদের জন্য নিরাপদ ‘স্বর্গরাজ্য’ হয়ে উঠছে কানাডা, যা দিন দিন দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে নয়াদিল্লির। যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাংক সংস্থা হাডসন ইনস্টিটিউটকে দেওয়া এক বক্তব্যে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুঝিয়ে দিয়েছেন এই দ্বন্দ্ব কোনও নতুন ঘটনা নয় জয়শঙ্কর বলেন, এটা আপনাদের বুঝতে হবে বহু বছর ধরে এই দ্বন্দ্বটা থেকে গিয়েছে সেটা সেই ১৯৮০ সাল থেকে রয়েছে। তবে এতদিন সেটা সুপ্তভাবে ছিল। আমরা দেখছি কানাডা গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদী যারা হিংসাকে আশ্রয় করে তাদের প্রতি একটু অন্য়রকম মনোভাব দেখাচ্ছে। কানাডার রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে তারা ওদের কানাডায় কাজ করতে দিচ্ছে।

কার্যত কোনও রাখঢাক না রেখে বিদেশমন্ত্রী বলে দেন আমেরিকানদের কাছে কানাডাটা অন্যরকম। আবার ভারতের জন্য অন্যরকম। যেখানে সংগঠিত দুষ্কৃতী যারা ভারত থেকে গিয়েছে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। আর আজ আমরা এমন একটা জায়গায় রয়েছি যে আমাদের কূটনীতিবিদরা কানাডার দূতাবাসে বা কনস্যুলেটে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না। প্রশ্ন উঠছে এরপর আমেরিকা কী বলবে? এরপরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বলবে নিজ্জরের হত্যার তদন্তে ভারত যাতে কানাডাকে সাহায্য করে, নাকি ট্রুডোকে কার্যত চাপবে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার প্রধানমন্ত্রী আগামী দিনের পথ যে খুব একটা ্মসৃণ একেবারেই হবে না সেটা ভারত বুঝিয়ে দিল ঠারেঠোরে। জয়শঙ্করের এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফর মারাত্মক তাতপর্যপূর্ণ হয়ে উঠল বলছেন বিশ্লেষকেরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version