Mysterious Pond: আশ্চর্য পুকুর, ডুব দিলেই রোগা থেকে হবেন মোটা! ঠিকানা জানেন তো?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mysterious Pond: আশ্চর্য পুকুর। পুকুরের জলেই রয়েছে জাদু। কেউ যদি রোগা থেকে মোটা হওয়ার আশায় পুকুরের স্নান করেন তাহলে তিনি নাকি মোটা হয়ে যান। এই অবিশ্বাস্য গল্প হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলায়। বিশ্বাসে ভর করে দলে দলে মানুষ মোটা হওয়ার আশায় সেই পুকুরে গিয়ে ডুবও দিচ্ছেন। এর পিছনে কতটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে তা বলা যাচ্ছে না, তবে ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর’ এই কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে। এই পুকুরের নাম মোটা পুকুর। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, মোটা পুকুরের জলে আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে। জলে স্নান করলেই জটিল রোগ থেকে সহজেই মুক্তি মেলে। জলের মধ্যেই নাকি লুকিয়ে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের রহস্য। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন শুধুমাত্র মোটা পুকুরে স্নান করার জন্য।

মোটা পুকুরে ডুব দিতে গেলে আপনাকে যেতে হবে কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে হাওড়া জেলার বাগানানে। এই এলাকার বাঁটুল গ্রামে রয়েছে প্রায় ১০০ বছরের পুরনো মোটা পুকুর। প্রত্যেক রবিবার গেলে চোখে পড়বে প্রচুর মানুষের ভিড়। বিশেষ করে কোনো পূর্ণিমা যদি রবিবার পড়ে সেই ভিড় চোখে পড়ার মতো। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, মা চণ্ডীর মন্দিরের সামনেই রয়েছে এই পুকুর। এখানে কোন ব্যক্তি যদি ভক্তি ভরে স্নান করেন তিনি মোটা হয়ে যান। আগে নাম ছিল চণ্ডী পুকুর, এখন তার পরিচিতি পেয়েছে মোটা পুকুর হিসেবে।

শুধু রোগা থেকে মোটা নয়, নানান রোগের ওষুধ রয়েছে এই জলে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন মোটা পুকুরে ডুব দিতে। এখানে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা একটু বেশি। স্থানীয়দের বিশ্বাস অনুযায়ী, মোটা পুকুরের স্নান করলে মানুষ নাকি কুমড়োর মতো মোটা হয়। তাই অনেকেই পুকুরের স্নানের শেষে মায়ের কাছে মানত করে কুমড়ো দিয়ে পুজো দেন। আবার কেউ বা পুজোর অর্ঘ্যে রাখেন চাল কুমড়ো কিংবা নুনের বস্তা। স্নানের সময় ভক্তদের হাতে রাখতে হয়, ছোট চালের পুঁটলি আর শোলা। সেগুলি জলে ভাসিয়ে মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো করে স্নান করতে হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, ওই চাল জলে ভিজে যত ফুলবে সেই ব্যক্তি ততই মোটা হবেন। যদি সত্যি কারোর মনের ইচ্ছা পূরণ হয়, তাহলে তিনি ঢাক ঢোল বাজিয়ে মায়ের কাছে আবার পুজো দিয়ে যান। এছাড়াও স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, মোটা পুকুরে নাকি স্নান করলে বাচ্চারা রিকেট রোগ থেকে সুস্থ হয়ে যায়। বহু বাবা মা রয়েছেন যারা এই বিশ্বাস নিয়ে পাঁচ দিনের বাচ্চা থেকে চার মাসের বাচ্চাকেও মোটা পুকুরে স্নান করান।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version