পুতিনের হাতে সব ভয়ঙ্কর যুদ্ধজাহাজ! টিকবে কী করে ইউক্রেন ? যে কারণেই রাশিয়ার ভয়ে কাঁটা বাকি দেশ

।। প্রথম কলকাতা ।।

নেভা নদী কাঁপালো পুতিনের ৩০ টা ভয়ঙ্কর যুদ্ধজাহাজ। আরো পাওয়ারফুল রুশ নৌ বাহিনী। ভয়ে তটস্থ পশ্চিমা বিশ্ব। এবার কী জলপথে মুখোমুখি হবে রাশিয়া ইউক্রেন? পুতিনের সামনে টিকতে পারবেন জেলেনেস্কি? জানেন, কোন কোন অস্ত্রে সুসজ্জিত রাশিয়ার নৌবাহিনী? যে কারণে কাছে ঘেঁষতে ভয় পায় যেকোনো দেশ। রাশিয়ার নৌবাহিনী দিবসে বড় ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুঝিয়ে দিলেন, রণাঙ্গনে কিস্তিমাত করতে রাশিয়া কোনোরকম ফাঁক রাখছে না।

সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত রাশিয়ার বার্ষিক নৌবাহিনী দিবসে উপস্থিত হয়ে পুতিন জানিয়ে দিলেন চলতি বছরেই নৌ বাহিনী ৩০টি নতুন যুদ্ধজাহাজ পেতে চলেছে। যে যুদ্ধজাহাজগুলো ধাপে ধাপে বহরে যুক্ত করা হবে। কারণ, সম্মুখ সারির আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ এখন রাশিয়ার খুব‌ প্রয়োজন। তাহলে কী ইউক্রেনকে ঘায়েল করতে নতুন করে প্ল্যান সাজাচ্ছে মস্কো? জানিয়ে রাখি, রুশ নৌবাহিনী অলরেডি খুব পাওয়ারফুল। রাশিয়ার নৌ বাহিনীতে এই মুহূর্তে ৩৫০র ওপরে বিভিন্ন ধরনের নৌযান আছে। এর মাঝে রাশিয়ার হাতে একটি বিমানবাহী রণতরী আছে, তবে এটা এখন অ্যাক্টিভ নয়। তাছাড়া আছে ৫ শক্তিশালী ব্যাটেল ক্রুজার, যা সোভিয়েত আমলে তৈরি। ফলে আধুনিক যুদ্ধে এসব ব্যাটেল ক্রু্লোজারের কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

বিশেষ করে ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ফ্ল্যাগশিপ যুদ্ধজাহাজ মস্কোভা, ইউক্রেনের জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ডুবে যাওয়ার পর এই প্রশ্ন আরো বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে ১০টি ডেস্ট্রয়ার, ১১ টি মাঝারি ফ্রিগেট, ৮০টি ছোট আকারের করভেট। মূলত এসব ডেসট্রয়ার, ফ্রিগেট আর করভেটই রাশিয়ার নৌবাহিনীর মেরুদন্ড। রাশিয়ার পারমাণবিক এবং প্রচলিত শক্তিচালিত ৬৫ টি সাবমেরিন বিশ্বের সব বড় নৌবাহিনীর জন্য ভীতির কারণ হয়ে উঠেছে। দেড় বছর ধরে চলতে থাকা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও এদিন প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কিন্তু যথেষ্ট কনফিডেন্ট দেখিয়েছে। সেন্ট পিটার্সবার্গ এর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়ার নেভা নদী এদিন যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন এবং নৌযুদ্ধযানের গর্জনে মুখরিত ছিল। নেভা নদীর এই প্যারেডে রাশিয়ান নৌবাহিনীর সাবমেরিন, করভেট, ব্রিগেড, ডেস্ট্রয়ার অংশ নিয়েছিল।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি ছোট পেট্রোল বোটে করে নেভা নদীর এই ভাসমান প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেড পরিদর্শন করে নাবিক এবং অতিথিদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন পুতিন। বলেন, আত্মবিশ্বাসের সাথে জাতীয় সামুদ্রিক নীতিমালার প্রয়োগ ঘটিয়ে যাচ্ছে মস্কো।ধারাবাহিকভাবে নৌ বাহিনী শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। শুধু ইউক্রেন নয়, রাশিয়ার শত্রু যেন এখন পুরো ন্যাটোই।তাই, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের সম্মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে রাশিয়ার নৌ বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প পথ নেই, সেটা বুঝে গিয়েছেন পুতিন, আর তাই তলে তলে মারাত্মক রণকৌশল সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, এদিন কুচকাওয়াজে রুশ নৌবাহিনীর প্রায় তিন হাজার সদস্য অংশ নেন। এছাড়া পুতিনের আমন্ত্রণে নৌবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। বিশেষ দিনটি উদযাপন এর লক্ষ্যে সেন্ট পিটার্সবার্গের নেভা নদীতে আয়োজন করা হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী নৌ প্রদর্শনীর। এতে রুশ নৌবাহিনীর পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন সহ ৪৫টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নিয়েছিল।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version