অলক্ষ্মী বাসা বেঁধেছে পকেটে! কুমোরটুলিতে কেমন চলছে ঠাকুর বিক্রি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই শুরু লক্ষ্মী পুজোর তোড়জোড়। বিভিন্ন ধরণের লক্ষী প্রতিমা থেকে শুরু করে লক্ষী পুজোর নানান সামগ্রী কিনতে কুমরটুলি ছুটছে মানুষ। কুমোরটুলিতে ছাঁচের লক্ষী প্রতিমার চাহিদা এবছর তুঙ্গে। সেই সাথে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে সরাও।
বিভিন্ন দামের বিভিন্ন সাইজের লক্ষী প্রতিমা থেকে শুরু করে সুন্দর সুন্দর সরা,, সব সাজানো রয়েছে থরে থরে। দেখে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো। তবে এবছর সব জিনিসের দাম একটু বেশিই। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন ঘরে ঘরে পূজিত হন মা লক্ষ্মী। সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়ে থাকে। মা লক্ষ্মী হলেন ধন- সম্পদের দেবী। ধন, যশ, খ্যাতি, সুস্বাস্থ্যের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে বাংলার প্রায় প্রতিটা পরিবার।

এবছর কলকাতার কুমোরটুলিতে ছাঁচের লক্ষ্মী প্রতিমার চাহিদা তুঙ্গে। বিজয়া দশমীর পরের দিন বুধবার থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা কেনার প্রায় হিড়িক পড়ে গিয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে প্রচুর মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন সাইজের ছাঁচের ঠাকুর থেকে শুরু করে সব ধরণের ঠাকুর। এবার সব কিছুরই দাম একটু বেশি। এক বিক্রেতা জানিয়েছেন, যেহেতু সব জিনিসেরই দাম বেড়েছে, তাই প্রতিমার দামও বাড়াতে হয়েছে তাদের। দাম বাড়ায় প্রতিমা তৈরি করতে গিয়ে তাদের অনেকটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই অল্প দাম বাড়াতে হয়েছে। ৪৫০, ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০,সাড়ে চার হাজার টাকা দামের মূর্তি বিক্রি করছেন তারা। দাম বাড়লেও ক্রেতাদের ভিড় একটুও কমেনি। রমরমিয়ে চলছে বিক্রিবাটা।

দেবীকে ফল, মিষ্টি, আনাজ-সহ নৈবদ্য সাজিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে ঘরে ঘরে। তাই লক্ষ্মীপূজোর মূর্তি থেকে শুরু করে সমস্ত সামগ্রী কিনতে ভীর করছেন ক্রেতারা।কিন্তু পুজোর আয়োজন করতে গিয়ে পকেটে একটু টান পড়ছে মধ্যবিত্ত বাঙালির। তবুও সেসব অপেক্ষা করেই সমস্ত আয়োজনে নেমেছে বাঙালি। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর পরেও উৎসবের মরশুম শেষ হয়নি। এবার মা লক্ষ্মী ঘরে আসবেন। তার আয়োজনের তোড়জোড় দেখা যাচ্ছে কুমোরটুলি প্রাঙ্গনে।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version