।। প্রথম কলকাতা ।।
India book of records: বয়স মাত্র আড়াই বছর। তাতেই সব ঠোঁটস্হ। ইংরেজিতে মাস, সিজনের নাম, জাতীয় সংগীত, মহান ব্যক্তি, পশু-প্রাণীর নাম, বাংলা কবিতা সব গড়গড় করে বলে যাচ্ছে অহেঞ্জিতা। তার এই প্রতিভার স্বীকৃতি দিল ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস।অহেঞ্জিতার এই সাফল্যে গর্বিত তার বাবা মা, পরিবারের লোকজন।
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল নামখানার আড়াই বছরের শিশু কন্যা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নামখানা ব্লকের অন্তর্গত মদনগঞ্জ এলাকার শিশু কন্যা অহেঞ্জিতা মিস্ত্রি। ইতিমধ্যেই অহেঞ্জিতার বাড়িতে এসে পৌঁছেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের মেডেল সার্টিফিকেট সহ অন্যান পুরস্কার।
অহেঞ্জিতার মা বিজলী দেবী বলেন, মেয়েকে নিয়েএটা আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হল। আমি খুব খুশি। ও যখন খুব ছোট ছিল, তিন-চার মাস বয়স, তখন বড়দের মতো করে ওকে দেখতাম। ও ছোট বলে কিছু জানবে না, এটা না ভেবে ওর সঙ্গে গল্প করতাম, বিভিন্ন জিনিস চেনাতাম।
তিনি আরও বলেন, আমাকে অনেকেই ডেকে জিজ্ঞাসা করত সত্যিই ওর বয়স দেড় বছর কিনা। তখন থেকেই আমরা বুঝে গিয়েছি, ওর মধ্যে এই প্রতিভাটা আছে। ওর স্মৃতিশক্তি খুব উন্নত।
তারপর থেকেই ছোট্ট মেয়ের জন্য পরিশ্রম করতে শুরু করেন সকলেই। একাধিক ভাষায় বিভিন্ন জিনিস শেখাতে শুরু হয় অহেঞ্জিতাকে। আগামী দিনে মায়ের স্বপ্নপূরণ করার জন্য তাকে প্রস্তুত করা হবে বলে জানান অহেঞ্জিতার মা। এই বয়সেই ছবি দেখে ৩০টি প্রাণীর নাম বলতে পারে সে। কুড়িটি পাখির নাম বলতে এবং ছবি দেখে ২৫ জন মহান ব্যক্তিত্বের নাম মুখস্থ রয়েছে তার। এখানেই শেষ নয়। সেই সঙ্গে ছয়টি বাংলা কবিতা বলতে পারা, ইংরেজিতে ছয়টি সিজন ও বারোটি মাসের নাম এবং জাতীয় সংগীত গাইতে পারা সহ একাধিক দক্ষতার অধিকারী এই বয়সেই। সে কারণেই মাত্র আড়াই বছর বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠেছে নামখানার অহেঞ্জিতা মিস্ত্রির। মাত্র আড়াই বছর বয়সে গর্বিত সমগ্র নামখানা এলাকাবাসীও। এক বছর বয়স হওয়ার পর থেকেই অহেঞ্জিতা অনেকটা সড়গড় হয়ে যায়। অল্পক্ষণের মধ্যেই অনেক কিছু মনে রেখে দেওয়ার মতো ক্ষমতা তৈরি হয় ওর। দেড় বছর বয়স থেকেই বড়দের মতো করে কথাবার্তা, জিনিস চেনার ক্ষমতা চলে আসে অহেঞ্জিতার মধ্যে। পাড়া-প্রতিবেশী অনেকেই অবাক হয়ে যেতেন অহেঞ্জিতার প্রতিভা দেখে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম