আগালেগা দ্বীপে রহস্যময় আজব ডেরা ভারতের! একটা সুইচেই অপারেট? চীনের পদে পদে কাঁটা

।। প্রথম কলকাতা ।।

এয়ারপোর্টের ভেতর ভিড়বে জাহাজ? আগালেগা দ্বীপের উপর ভারতের গোপন ডেরা রহস্যে ভরা। একটু একটু করে সামরিক জালে জড়িয়ে গেছে মরিশাস। নয়াদিল্লির হাত ধরে এই দ্বীপেই ধরা দেবে মহাকাশ। ভারতের নেটওয়ার্ক কিন্তু সাঙ্ঘাতিক। বিদেশের মাটিতে গোপন ডেরা, একটা সুইচেই অপারেট হবে? স্যাটেলাইটে ইমেজ বেইজিং এর প্যালপিটিশন বাড়াচ্ছে। চীনকে সবক শেখাতে সমুদ্রের জলে বড় ছক। জানুন  কিভাবে আগালেগা দ্বীপে কাঁটা বিছিয়ে দিল ইন্ডিয়ান নেভি। ভারত মহাসাগরের উপর ইন্ডিয়ান নেভির গোপন ডেরা কাল ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে লাল ফৌজের। চীনের স্ট্রিং অফ পার্লস’কেও টেক্কা ? বিভিন্ন দেশে বন্দর ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তুলছে বেইজিং। আর ভারত? বাইরে থেকে দেখে আন্দাজ করলে ভুল করবেন। এয়ারপোর্ট নাকি সামরিক ঘাঁটি? কি বলবেন এটা কে?

বিদেশের সামরিক ঘাঁটিতে চীনকে জব্দ করার ফুল প্রুফ প্ল্যান সারা ইন্ডিয়ান নেভির। মরিশাসের এই গোপন ডেরায় ভারত শত্রু নিধনের ছক সাজায়। অলরেডি, মরিশাসের আগলেগা দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করার কাজ প্রায়‌ শেষ। জানা যাচ্ছে, ওই আগলেগা দ্বীপে জেটি, রানওয়ে এবং বিমানের হ্যাঙ্গার-সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ করেছে ভারত। দ্বীপের সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট ইমেজও সেই কথা বলছে। মরিশাসের মূল দ্বীপ থেকে এটি ১১০০ কিলোমিটার দূরে আগালেগা দ্বীপে তিনশো বা তার কিছু কম-বেশি মানুষ থাকে। ২০২১ সালে আল-জাজিরার রিপোর্টে এই দ্বীপের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, ভারতের গোপন সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ হচ্ছে মরিশাসে।একটা বিমানবন্দর যে এত বড় হতে পারে তা আগা লেখা দ্বীপের মানুষ ভাবতেও পারেনা। উল্লেখ ছিল ওই রিপোর্টে।বিমানবন্দরটাই মূলত ইন্ডিয়ান আর্মির সামরিক ঘাঁটি। দু তিন বছর সময়ে ধরে সেখানে তৈরি করা হয়েছে রানওয়ে। ভারত সরকার সেখানে গোপনে একটি নৌ-ঘাঁটি ও তৈরি করছে। তখনই বড়োসড় দুটো জেটির নকশা তৈরি হয়ে গেছিল। তারপর সময়ের সাথে সাথে ভারতের ওই গোপন ডেরার পুরো কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। সেখানে উপকূলীয় নজরদারি রাডার সিস্টেম স্থাপন করেছে ভারত।

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে ইন্ডিয়ান নেভি সামুদ্রিক গোয়েন্দা এবং শত্রুপক্ষের ওপর নজরদারির কাজে দ্বীপটিকে ব্যবহার করবে। বিশেষ করে চীনের কার্যকলাপের উপর নজরদারি, চীনকে আফ্রিকা অঞ্চলে মোকাবিলা, প্রয়োজনে পাল্টা দেওয়ার উদ্দেশেই এই সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়েছে বলেও মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। হিসেবটা তো বুঝতে হবে, আফ্রিকার ছোট্ট দেশ জিবুতি। সেখানে চীন তার সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। মূলত আফ্রিকার দেশগুলোতে নিজেদের প্রভাব আরও শক্ত করা এবং বিনিয়োগ সুরক্ষিত করতে বেইজিং এই ঘাঁটি তৈরি করেছে। তারই পাল্টা দিতে আফ্রিকার আরেক দেশ মরিশাসে ভারতের এই নতুন সামরিক ঘাঁটি? মনে করিয়ে দিই, ২০১৫ সালে ভারত ও মরিশাসের মধ্যে আগালেগার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল। ২০১৮ র দিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে ভারতের এই গোপন সামরিক ঘাঁটি। মরিশাসের নিয়ন্ত্রণাধীন এই আগালেগা দ্বীপটি ভারত মহাসাগরে অবস্থিত। যেখানে ভারত শুধু সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেই থেমে থাকছে না। আরো বড় টেনশনের খবর রয়েছে চীনের জন্য।

সম্প্রতি, ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরন পোর্টলুইসে একটি সরকারি সফরে গেছেন। যেখানে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এবং মরিশাসের আইটি মন্ত্রী যৌথভাবে স্যাটেলাইট বিকাশের জন্য ইসরো এবং মরিশাস রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন কাউন্সিলের মধ্যে মউ স্বাক্ষর করে ফেলেছেন। এই নিয়ে ভারতের বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘আকাশের সীমানা ভেঙে এটি একটি রোমাঞ্চকর মহাকাশ অনুসন্ধান যাত্রার সূচনা। যে সমঝোতা পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।’ অতএব, আফ্রিকা এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনকে চাপে রাখতে নয়া দিল্লি যে বড়সড় জাল বিছিয়ে দিচ্ছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে শুধু মরিশাসেই নয়। ভারতের সামরিক জালে জড়িয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। বিদেশে তৈরি হচ্ছে একের পর এক ভারতের সামরিক ঘাঁটি। তালিকায় রয়েছে তাজিকিস্তান, নেপাল, ভুটান, উত্তর মাদাগাস্কার, মলদ্বীপ, ভিয়েতনাম, সেশেলস, সিঙ্গাপুর, ওমান, মোজাম্বিক এর মতো দেশ। দেশের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ওপর নজর রাখতে প্রভাব বিস্তার করতে চীনকে চাপে ফেলতে এক ইঞ্চিও ফাঁক রাখতে নারাজ আমাদের দেশ ভারত।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version