।। প্রথম কলকাতা ।।
Sundarban: ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে এবার সুন্দরবন উপকূলের উপর বাড়তি নজরদারির জন্য একাধিক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর হাত থেকে এবার ছোট নৌকা কিংবা বড় জলযান কোনটাই নিরাপত্তার বেড়া টোপকে বেরিয়ে যেতে পারবে না। এবার থেকে আধুনিক হেলিকপ্টারের (Helicopter) মাধ্যমে আকাশ পথ ও সুন্দরবন উপকূলের উপরে চলবে কড়া নজরদারি। মূলত এই সুন্দরবন হয়ে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ করার জন্যই এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাহিনী।
ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে জানা যায়, জলপথে এসে যখন জঙ্গিরা মুম্বই হামলা চালিয়েছিল তারপর থেকে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ। এখন ভারতীয় উপকূলবর্তী বাহিনীর কাছে রয়েছে ১৫৮টি টহলদারি জাহাজ, নিজস্ব ষোলটি হালকা ওজনের হেলিকপ্টার, হোভারক্রাফট প্রভৃতি। বাংলা ছাড়াও উড়িষ্যার উপকূলেও নজরদারি করার জন্য ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী সর্বদা তৎপর। বর্তমানে আরও ছয়টি হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হয়েছে।
এবার থেকে বাংলাদেশ হয়ে নদীপথে উত্তর-পূর্ব ভারতে যে সকল মালবাহী কিংবা যাত্রীবাহী জলযান গুলি চলাচল করে সেগুলোর উপরে কড়া নজর রাখা হবে। আর সেই কাজটি করবে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। চোরাচালান বন্ধ করার পাশাপাশি যাতে বন্যপ্রাণী হত্যা করা বন্ধ করা যায় তার জন্য সচেষ্ট কোস্ট গার্ড (Coast Guard)। এর জন্য বাহিনীর Radar রয়েছে। গোপালপুর, পারাদ্বীপ, সুন্দরবন উপকূলবর্তী এলাকাতে জলপথে জাহাজের মাধ্যমে একদিকে যেমন নজরদারি চলবে, তেমনি আকাশ পথে বিশেষ হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও চলবে নজরদারি। কোন কিছু সন্দেহজনক মনে হলে তাঁরা যাচাই করতে পারবেন। Radar বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সুন্দরবনের (Sundarban) সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তবে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বসানো হবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফ থেকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম