Kolkata: হিপনোটাইজ করে মহিলাদের অপহরণের অভিযোগ, ক্ষুব্ধ জনতার রোষের শিকার অভিযুক্ত

।। প্রথম কলকাতা ।।

Kolkata : সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির ছবি ভীষণভাবে ভাইরাল হয়েছে। নেট নাগরিকদের একাংশের দাবি, ওই ব্যক্তি হিপনোটাইজ করার মাধ্যমে মহিলাদের অপহরণ করছেন। মহিলাদের কাছে সময় জিজ্ঞাসা করার মাধ্যমে এই ব্যক্তি কথাবার্তা শুরু করেন। তারপর তাদের হিপনোটাইজ করেন বলে অভিযোগ উঠে আসে নেট মাধ্যমে। এমনকি অনেক নেট নাগরিক ওই ব্যক্তির ছবিসহ সতর্কবার্তা পোস্ট করেন। শনিবার অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে রাস্তায় চিনতে পেরে বেশ কিছু ক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ধরে। যদিও সেই সময় সেখানে এসে উপস্থিত হয় ফুলবাগান থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয় ওই ব্যক্তিকে।

ইন্ডিয়া টু ডেতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েকদিন ধরেই বহু ফেসবুক, ইনস্টা ব্যবহারকারীরা ওই ব্যক্তির ছবি দিয়ে সতর্ক করছিলেন। তাদের দাবি, এই ব্যক্তি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন এবং তাদেরকে হিপনোটাইজ করে ফেলেন। এমনকি কোন মহিলাকে এই ব্যক্তির সঙ্গে আই কন্ট্যাক্ট পর্যন্ত না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল নেট মাধ্যমেই। ওই ব্যক্তির ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তায় তাকে দেখে চিনতে পারেন অনেকে। আর তারপরে সোমবার তাকে ঘিরে ধরে জনতা।

পুলিশ সূত্রে মারফত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তি হাওড়ার বাসিন্দা। নাম সঞ্জয় আগারওয়াল। হাওড়াতে তাঁর ছোট একটা ব্যবসা ছিল। তবে লকডাউনের জন্য সেই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের থানায় আসার নির্দেশ দেয় পুলিশ।

ডিসিপি প্রিয়ব্রত রায় ইন্ডিয়া টু ডে কে জানান, সঞ্জয় আগারওয়াল নামে ওই ব্যক্তি মানসিকভাবে স্থিতিশীল নন। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ এখনও পর্যন্ত দায়ের করা হয়নি। তবুও বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তাঁরা। নেট মাধ্যমে সঞ্জয় আগরওয়াল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তিনি ইতিমধ্যেই শহরের ভিন্ন দুই প্রান্ত থেকে দুটি মেয়েকে অপহরণ করেছেন । তবে এই সংক্রান্ত কোনো প্রমাণ নেই বলেই জানিয়েছে পুলিশ। যারা নেট মাধ্যমে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version