Weather Update: পুজোয় এ কোন ভয়ঙ্কর দুর্যোগ ? ফুঁসছে সাগর, বর্ষা শেষের ফাঁড়া বাংলায়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Weather Update: ফুঁসছে সাগর! সাইক্লোনিক সার্কুলেশনে আটকে বাংলা। নিম্নচাপের এফেক্ট দেখার মতো। বর্ষা শেষে এ কোন ভয়ঙ্কর দুর্যোগ? ভেসে যাবে বৃষ্টিতে কোন কোন জেলা? কোথায় কোথায় রেড অ্যালার্ট জারি?বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে জানুন আবহাওয়ার ফ্রেশ আপডেট।খাতায় কলমে বর্ষা শেষ, তারপরেও বঙ্গোপসাগরে শুরু তোলপাড়। চলছে ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে মাঝারি থেকে ভারী অবিরাম বৃষ্টি। নিম্নচাপের জেরে পুজোর আগে বাংলায় দুর্যোগের থাবা। পুজোয় কেনাকাটার একেবারে মোক্ষম সময় ঘা দিল অকাল বর্ষা। নিম্নচাপ সরবে কবে?

রবিবারের নতুন বুলেটিনে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিল, দক্ষিণবঙ্গে আগামী বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার দক্ষিণের চার জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ায় কমলা সতর্কতা জারি। দক্ষিণের আরও ছ’টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেই তালিকায় কলকাতা ছাড়াও রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া। সোম এবং মঙ্গলে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সবক’টি জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। বুধবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুধু দু’টি জেলায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতায় মূলত মেঘলা আকাশ রয়েছে-থাকবে। দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির চান্স। আসলে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, তার এফেক্টই অক্টোবরের শুরুতেও রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু।

এই নিম্নচাপের জেরেই বাংলা জুড়ে বৃষ্টি, সাগরে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে সমুদ্রের উপর। যে কারণে মৎস্যজীবীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাওয়া অফিস। রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছেন আবহাওয়াবিদেরা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই এক পরিস্থিতি। উত্তরে বৃষ্টি চলতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। রবিবার পাহাড়ের তিন জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পং ছাড়া দুই দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টি শুরু। বাকি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। সোমবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরের প্রায় সবক’টি জেলাতেই। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির দাপট কিছুটা কমতে পারে মালদহ, দুই দিনাজপুরে। তবে বুধবার আবার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে পাহাড় থেকে সমতলে। ওই দিন আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

এতো বৃষ্টি, তাহলে দেশে কি এবার স্বাভাবিক বর্ষা হল? এতো বর্ষার ঘাটতি মিটে গেল? ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল এ বছর বর্ষার শেষ দিন। এবার দেশজুড়ে ৯৪.৪ শতাংশ বর্ষা হয়েছে এই ৪ মাসে। সেক্ষেত্রে মনে হতে পারে যে একশো শতাংশ নয়, তাহলে স্বাভাবিক বর্ষাও নয়? কিন্তু আবহাওয়া দফতর বলছে এবার ভারতে বর্ষা স্বাভাবিক হয়েছে। কিভাবে? আবহাওয়া দফতরের হিসাবে ৯৪ শতাংশ থেকে ১০৬ শতাংশ সার্বিক বৃষ্টিপাত মানে স্বাভাবিক বর্ষা। এর কম হলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম, বেশি হলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। তবে, এবার দেশে ৯৪ শতাংশ বর্ষা হলেও দেশের সব অংশে কিন্তু সমান বর্ষা হয়নি। উত্তর পশ্চিম ভারতে ১০১ শতাংশ, মধ্য ভারতে ১০০ শতাংশ, দক্ষিণ ভারতীয় উপকূলীয় এলাকায় ৯২ শতাংশ, উত্তরপূর্ব ভারতে ৮২ শতাংশ বর্ষা হয়েছে জুন থেকে সেপ্টেম্বরে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version