হামাসের হাতে পঙ্গপালের ঝাঁক? ইসরাইলের লৌহপ্রাচীর তছনছ! এই কৌশল গায়ে কাঁটা দেবে

।। প্রথম কলকাতা ।।

হামাসের হাতে খতরনাক পঙ্গপাল। কিভাবে ইহুদী ভূমিকে শুষে খাচ্ছে এই মনুষ্যবিহীন পতঙ্গ? ঝাঁকে ঝাঁকে কি ছুটে যাচ্ছে ওগুলো? ইসরাইলের লৌহ প্রাচীরকে ভেঙে চুরমার করা কি এতটাই সহজ ছিল? হামাসের কৌশলে লুকিয়ে কোন চমক? এবার ইসরাইলি ভূখণ্ডে ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক, কিভাবে যুদ্ধের হিসেব ঘুরিয়ে দিচ্ছে প্যালেস্টাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠী? না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেন না! পুরোটা শুনলে জানলে আপনার গায়ে কাঁটা দেবে। হামাসের সুড়ঙ্গে গিজগিজ করছে খতরনাক কতগুলো পতঙ্গ। এগুলো ইসরাইলকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এই যন্ত্রের ক্ষমতা সাঙ্ঘাতিক। ইসরাইলের রাডার ফাঁকি দিতে এক্সপার্ট হামাসের এই ক্ষুদ্রাকৃতির ড্রোন। ঝকঝক পঙ্গপাল এর মতো এই ড্রোনগুলোই ইজরাইলের রাতের ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে। ছোট ও তুলনামূলক সস্তা ড্রোন ব্যবহার করে ইসরাইলের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে হামাস।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সেটা গোটা বিশ্ব জানে। বার হামাসের ড্রোন মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের অ্যাঙ্গেল কিভাবে ঘুরিয়ে দিচ্ছে সেটা দেখছে গোটা দুনিয়া। ইসরাইলের তৈরি ‘স্কাইলার্ক’ ড্রোনের মতো খুব ক্ষুদ্রাকৃতির আকাশযান ব্যবহার করেছে হামাস। সীমানা টপকেছে প্যারাসুটে মোটর মানে প্যারাগ্লাইডার লাগিয়ে। আর এই কারণেই ইসরাইলের রাডার ওগুলোকে চিহ্নিত করতে পারেনি। হামাসের ড্রোন এতটাই খতরনাক যে মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধূলিস্মাৎ করে দিতে পারে। মেরকাভা বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ও ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ট্যাংকগুলোর একটি। তাহলে আন্দাজ করতে পারছেন হামাসের হাতে কি আছে? হামাসের এই ছোট্ট ড্রোন গুলো বিস্ফোরক ছড়িয়ে দিতে পারে। ভিডিও প্রকাশ করে সেই ছবি দেখিয়েছে হামাস। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রথম কলকাতা। কিন্তু এটা ফ্যাক্ট মেরকাভা ট্যাংকের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও হামাসের ড্রোনের বিরুদ্ধে কাজ করে না।

এর আগে ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক ব্যবহারের এই কৌশল ব্যবহার করেছে ইসলামিক স্টেট মানে আইএস। আর এবার এগুলো ব্যবহার করে ইহুদী ভূমিতে খেল দেখাচ্ছে হামাস। রাডারের নজরদারি এড়িয়ে হামলা চালাতে পারে এগুলো। ছুড়তে পারে হ্যান্ড গ্রেনেড ও মর্টার। তাই উপগ্রহ সংযোজক টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়ে রীতিমতো যোগাযোগ ছিন্ন করিয়ে দেওয়া ইজরায়েলি সেনার সঙ্গে, এটা এই ড্রোনের বাঁ হাতের খেল। তাই ইসরাইলের আইরন ডোমও ফেইল করেছে। নজরদারির কাজেও এসব ড্রোনের ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের পাশাপাশি বিশেষভাবে তৈরি গ্রেনেড ও বিস্ফোরকও রাখা যায় এসব ড্রোনে। এ ছাড়া ভারী অস্ত্রেও সাজানো যায় এসব মনুষ্যবিহীন ড্রোন। হামাসের এই রণকৌশল কিন্তু বিরল। তাই বিস্ফোরকবাহী ছোট ড্রোনের কেরামতি নিয়ে অলরেডি আলোচনা করছেন যুদ্ধ বিশারদরা।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আকাশপথে শত্রুদেশের রিস্ক বাড়াচ্ছে এই ড্রোন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রথম এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। তারপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর দুই বাহিনীই বিমানবাহিনীর বিকল্প হিসাবে এসব ড্রোন ব্যবহার করেছে। এখন গাজাতেও তা দেখা যাচ্ছে। তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার। বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার বিস্ময়কর ভাবে বেড়েছে। পুরো পৃথিবীতে ড্রোনের বাজার দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের। সব দেশি ড্রনের দিকে ঝুঁকছে কারণ আধুনিক যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে মনুষ্যবিহীন এই যান এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান সহ বিভিন্ন যুদ্ধে এখন মানববিহীন ড্রোন ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠছে।

বর্তমানে ১০০ টারও বেশি দেশ এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে এই মারাত্মক খতরনাক যন্ত্র রয়েছে। অনেক প্রতিরক্ষা সংস্থার কাছে ও সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহারের ছাড়পত্র রয়েছে। আর এখন এই ড্রোনে ভর করেই হামাস ইহুদি ভূমির টিকে থাকা কঠিন করে তুলছে। বাজারের সস্তা ড্রোনেই কুপোকাত হচ্ছে ইজরায়েলের ‘লৌহপ্রাচীর’।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version