যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি হুঁশিয়ারি, আওয়ামী লীগ না থাকলে অন্ধকারে ডুবে যাবে বাংলাদেশ!

।। প্রথম কলকাতা ।।

নিষেধাজ্ঞার পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা। ভয়ও পান না। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রকেই হুঁশিয়ারি। বাংলাদেশের মাটি আছে, মানুষ আছে। তাতেই যথেষ্ট। আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ হতে বেশি দেরি নেই। জোর গলায় বললেন, আওয়ামী লীগ না থাকলে অন্ধকারে ডুবে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলে কেমন আছেন বাংলাদেশের মানুষ? যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি জানেনই না, শুধু বোঝেন ভর পেট খাবার। তারা কি চাইছে?

যুক্তরাষ্ট্রের এক মতবিনিময় সভায় চাঁচাছোলা ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিলেন শেখ হাসিনা। তার কথায়, বর্তমানে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন করছে, সেটা যাতে স্থায়ী হয় তারই ব্যবস্থা করবেন । তিনি কোন স্যাংশনকে ভয় পান না। কারণ বাংলাদেশের মাটি আছে, মানুষ আছে। যে মাটি আর মানুষ দিয়ে বঙ্গবন্ধু একদিন দেশ গড়েছিলেন। বাংলাদেশের জনগণ তার পরিবার। তিনি তার পরিবারের জন্য রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কথা দিয়েছিলেন, একদিন বাংলাদেশে ডিজিটাল যুগ আসবে। দিন বদলের সনদে আমূল বদলে গেছে দেশটা। যতদিন যাবে তত বদলাতে থাকবে। আজ বাংলাদেশ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানে নির্বাচন কিন্তু অত্যন্ত ভাইটাল। তবে তিনি আস্থা রাখেন বাংলাদেশের মানুষের উপর। মনে করেন, একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। তিনিও চান সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। বিশ্বাস করেন, মানুষ ভোটের মাধ্যমে তার আস্থার প্রতিদান দেবেন। শেখ হাসিনার কথায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের জায়গা ঠিক কতটা পোক্ত, কথার ইঙ্গিতে বোঝাতে চাইলেন তিনি।

খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার জট কিছুতেই কাটছে না। যদিও এমনটা নতুন নয়। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় ভুগেছে বহু দেশ। মানবাধিকার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে এখন পাখির চোখ বাংলাদেশ। নির্বাচন হতে হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। অনেকেই মনে করছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মডেল হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বারংবার ঢাকায় পাঠাচ্ছে প্রতিনিধি দল। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে থাকাকালীনই ভিসা নীতি কার্যকর করার কথা বলেছে দেশটা। যেন একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছে। তার কারণ যুক্তরাষ্ট্র অন্য যেসব দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলো নির্বাচনের পর, কিন্তু বাংলাদেশের বেলায় যুক্তরাষ্ট্র মাঠে নেমেছে কয়েক মাস আগেই।

একটা বিষয় লক্ষ্যনীয়, যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কোনোভাবে খারাপ করতে চাইছে না। কখনো সেলফি, কখনো বা নৈশভোজ, এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে বাইডেন এবং শেখ হাসিনাকে। বাংলাদেশ এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে নির্বাচনের আগেই নির্বাচনে বাধা হতে পারে এই অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ভিসার উপর। বিষয়টা কেউ দেখছেন ইতিবাচক রূপে, আবার কেউ বা নেতিবাচক রূপে। চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের প্রায় ৯০০ কোটি ডলারের বাজার রয়েছে। গত অর্থ বছরেই শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ৩৪৪ কোটি ডলার। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য, আর নির্বাচন। সবকিছু মিলিয়ে যেন তৈরি হয়েছে জটিল জটলা। তার মাঝেই হাঁসফাঁস করছে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। লাগামছাড়া দ্রব্যমূল্যে স্লথ হয়ে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। তারা চায় গণতান্ত্রিক নির্বাচন। বাঁচতে চায় সামাজিক, অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক স্বাধীনতায়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version