কানাডার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আরও ৪ টে দেশ, ভারতকে ট্র্যাপে ফেলার কায়দা

।। প্রথম কলকাতা ।।

ভারত-কানাডার সম্পর্ক বিষিয়ে দিল ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স। এই “পাঁচ চোখ”কেই অন্ধবিশ্বাস ট্রুডোর। শুধু আমেরিকা নাকি, কানাডার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আরও ৪-৪ টে দেশ। একটা জঙ্গিকে সাধু প্রমান করতে, ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে কেন উঠেপড়ে লাগল “ফাইভ আইজ”? ট্রুডোকে কি দিল ফাইভ আইজ? সলিড প্রুফ আছে ভারতের হাতে। পাল্টা দিতে জানেন নরেন্দ্র মোদী।আর যাই হোক, আমেরিকা যে মধ্যস্থতা করাতে চাইছে না সেটা একপ্রকার স্পষ্টই হয়ে গেল। বরংবিতর্ক আরও উস্কে দিল “ফাইভ আইজ” পাঁচ চোখ”। কিন্তু, ভারত-কানাডার মাঝে কোথা থেকে উত্থান ফাইভ আইজের?  ভূমিকাই বা কী?

ফাইভ আইজ ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং অ্যালায়েন্স পাঁচটি দেশের একটি গ্রুপ। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যারা একে অপরের সাথে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করে। তাহলে কি এই ৫ দেশ খলিস্তানী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের মৃত্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে আনা ট্রুডোর অভিযোগ কে সত্যি প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছে? হ্যাঁ ট্রুডোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদান করেছে এই ৫-পাঁচটা দেশ।ভারত-কানাডা কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েনের মাঝে আমেরিকার এক শীর্ষ কূটনীতিকের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল। দুদিন আগেই কানাডার হয়ে ভারতকে বচন শুনিয়েছে আমেরিকা। আর এবার ফিল্ডে “ফাইভ আইজ”।

কানাডায় নিযুক্ত আমেরিকার ওই কূটনীতিক একটা সাক্ষাৎকারে বলেন, নিজ্জর মৃত্যুর ঘটনায় “পাঁচ চোখের” মধ্যে বিনিময় করা গোয়েন্দা তথ্য কানাডার হাতে তুলে দেওয়া দেওয়া হয়েছে। যা ট্রুডোর বিবৃতিকে ‘হেল্প’ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। যদিও পরে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর দাবি খারিজ করে দেন ওই কূটনীতিক। জানিয়ে রাখি আগেই, কানাডাকে নিয়ে কোনও খারাপ কথা শুনতে রাজী হয়নি ওয়াশিংটন। তাহলে কি আমেরিকার মতোই আরও ৪ দেশ এই গোটা কূটনৈতিক দ্বন্দ্বের সঙ্গে আষ্ঠেপৃষ্টে জড়িয়ে? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমনিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারে আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং কানাডা। কারণ এই ৫ দেশের মধ্যে ‘ফাইভ আই অ্যালায়্যান্স’ রয়েছে।

তবে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে ভারতেরও। ভারত মহাসাগরে চীনা আধিপত্য রুখতে চতুর্মুখী সমঝোতাও রয়েছে যার অংশ জাপানও। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, দিল্লি কী করবে? এরমধ্যেই আরও বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস ট্রুডো সরকারের মদতে অন্তত ২১ জন কট্টরপন্থী খলিস্তানী নেতা কানাডায় আশ্রয় নিয়েছে।‌ ২৫ সেপ্টেম্বর ওই দেশের ভারতীয় হাই কমিশন-সহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রে হাঙ্গামার ছক কষছে তারা। আর সেখানে জোর গলায় নিজ্জরের হয়ে সাফাই গাইছে কানাডা। খালিস্তানী মুভমেন্ট কে কি সাপোর্ট করছেন ট্রুডো? মুখে যাই বলুক কানাডা, যাই বলুন ট্রুডো। প্রমাণ ছাড়া কথা বলছে না মোদী সরকার। অভিযোগের প্রেক্ষিতে কানাডা সরকার ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য’ দিলেই বিষয়গুলো দেখা হবে সাফ জানিয়েছে ভারত। এবার দেখার কানাডা-আমরিকার সাথে ফাইভ আইজের আরও ৩ দেশ কোনো বাড়াবাড়ি করলে দিল্লি তার কী পাল্টা দেয়।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version