।। প্রথম কলকাতা ।।
Bandel Station: হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখার সংযোগকারী একটি জংশন হল ব্যাণ্ডেল। এই স্টেশন প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যম। তবে পরিচিত ব্যাণ্ডেল স্টেশনের রূপ এবার বদলে যেতে চলেছে। বরং তাকে দেওয়া হবে বিশ্বমানের স্টেশন রূপে। ব্যাণ্ডেল স্টেশনে (Bandel Station) যাত্রীরা পাবেন উন্নত পরিষেবা এবং অন্যান্য সুবিধা। হুগলির বহু প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জুবিলি ব্রিজের (Jubilee Bridge) অনুকরণে ব্যাণ্ডেল স্টেশনটি নতুন করে তৈরি হতে চলেছে। আর নতুন করে ব্যাণ্ডেল স্টেশন সাজিয়ে তোলার কাজে ব্যয় হবে ৩৪৯ কোটি টাকা। এই টাকার অঙ্ক অবশ্যই কোন অংশে কম নয়। তাই কয়েকশো কোটি টাকা ব্যয় করে ব্যাণ্ডেল স্টেশনকে কিভাবে সাজিয়ে তোলা হয় তা দেখার জন্য উদগ্রীব বঙ্গবাসী।
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুসারে, ব্যাণ্ডেল স্টেশনকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও আধুনিক ব্যবস্থা দিয়ে গড়ে তোলা হবে। এই স্টেশনটি পরবর্তীতে হেরিটেজ তকমাও পেতে পারে, এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও শিয়ালদা এবং হাওড়া দুই শাখার আপ ও ডাউন লাইনের জন্যই আলাদাভাবে ফুট ওভার ব্রিজ (Foot Over Bridge) তৈরি করা হবে। স্টেশনে যাত্রীদের সুবিধার্থে থাকবে ডিজিটাল সাইনবোর্ড। সেই সাইনবোর্ডের মাধ্যমে কখন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন ট্রেন ছাড়বে , কোন প্ল্যাটফর্মে কোন ট্রেন ঢুকবে এই সমস্ত তথ্য লেখা থাকবে।
যাত্রীদের স্টেশনে প্রতীক্ষা যাতে বিরক্তিকর একঘেঁয়ে না হয় তার জন্য তৈরি করা হবে বাতানুকূল ওয়েটিং রুম (Air Condition Waiting Room)। স্টেশন চত্বরেই তৈরি হবে ছোট বড় ফুড প্লাজা। এছাড়াও বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান স্টেশনে তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুবিধা পেতে পারবেন যাত্রীরা। সম্প্রতি ২০২৩ এর বাজেট অধিবেশনে ভারতীয় রেলের জন্য বরাদ্দ করা হয় ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকা । এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করার নেপথ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের রূপরেখা। দেশের একাধিক স্টেশনকে আধুনিক প্রযুক্তিতে সাজিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে এটিকে অমৃত ভারত (Amrit Bharat) স্টেশন স্কিম নাম দেওয়া হয়েছে। আর এর অধীনে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ টি স্টেশনের। যারা আগামী বছর গুলিতে নতুন রূপ পেতে চলেছে। তালিকাতে অবশ্যই নাম রয়েছে ব্যাণ্ডেল জংশনের। তার আধুনিকীকরণের জন্য দুটি বিল্ডিং তৈরি করা হবে। বিল্ডিং গুলি এমন হবে তৈরি করা হবে যাতে তার মাধ্যমে প্রাকৃতিক আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে । এছাড়া থাকবে বহুতল, পার্কিং জোন, এটিএম সহ আরও একাধিক ব্যবস্থা। এই প্রকল্পটিকে কীভাবে বাস্তবায়িত করা হবে তার আলোচনার জন্য একটি বৈঠক হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া এবং শিয়ালদহ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ডিআরএম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম