Passion Fruit Farming: প্যাশন ফ্রুট চাষে দেখতে পাবেন লাভের মুখ, হাতে রাখুন ৬০ দিন সময়

।। প্রথম কলকাতা ।।

Passion Fruit Farming: বর্তমানে কৃষকরা বাণিজ্যিক চাষের জন্য বেশ আগ্রহী। কারণ চাল, ডাল ,গম চাষ করার তুলনায় এই বাণিজ্যিক চাষ তাদেরকে বেশি মুনাফা দিচ্ছে। এই কারণেই বিদেশি বিভিন্ন ফল শাকসবজি চাষ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বর্তমানে তেমনি একটি ফল ভারতে চাষ করার প্রচলন শুরু হয়েছে। প্যাশন ফল বা ট্যাং ফল নামে পরিচিত এই ফল সুগন্ধি পানীয় দ্রব্য তৈরি করার জন্য খুব উপযোগী। এছাড়াও জ্যাম, জেলি সহ বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রী তৈরি করতে বিদেশি কোম্পানিগুলি ব্যবহার করে প্যাশন ফ্রুট।

এই প্যাশন ফ্রুট চাষ করবেন কীভাবে ? এই ফল চাষ করার জন্য কী কী প্রয়োজন ? কেমন ব্যবস্থা রাখতে হবে এই ফল চাষের জন্য ?কতটা লাভজনক এই চাষ? এই সংক্রান্ত প্রশ্ন মনে উঠতেই পারে. যার উত্তর মিলবে আজকের প্রতিবেদনে।

* চাষের পদ্ধতি

প্যাশন ফ্রুট চাষ করা হয় মূলত দুভাবে .কাটিং এবং গ্রাফটিং এর মাধ্যমে।

কাটিং : তিন থেকে চারটি পর্ব বিশিষ্ট শাখা কেটে বংশবিস্তার করা হয় । এই গাছের কাটিং করার ক্ষেত্রে একটি শাখা এক থেকে দুই সেন্টিমিটার ব্যাঁকা করে কাটা হয়। আর তারপর বীজতলার মাটিতে ৪৫ ডিগ্রি কোণ করে রোপন করা হয় । খুব জোর ৩০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে এর সফলতা লক্ষ্য করা যায়।

গ্রাফটিং : প্যাশন গাছের গ্রাফটিং পদ্ধতিতেও বংশবিস্তারের জন্য প্রস্তুত করা যায়। কাটিং এবং গ্রাফটিং এর মাধ্যমে এই গাছের বংশবিস্তার করালে তার ফলন অত্যন্ত ভালো হয়।

* চারা রোপন এবং ব্যবস্থাপনা :

১. প্যাশন ফলের চারা রোপণের জন্য একেবারে উপযুক্ত সময় হচ্ছে মে থেকে অগাস্ট মাস

২. চারা রোপণের সময় অবশ্যই দুটি চারার মাঝে কিছুটা ফাঁকা জায়গায় রাখতে হয়।

৩. ফ্যাশন ফলের চারা রোপণ করার জন্য প্রথমে গর্ত তৈরি করে তাতে গোবর সার , ইউরিয়া এবং টিএসপি সহ এমপি সার মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হয়।

৪. এই চারারোপণের পর মাটি যাতে আর্দ্র থাকে তার জন্য নিয়মিত সেচ দিতে হবে।

৫. মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ রস থাকলে এই ফলের ফলন খুব ভালো হয়।

৬. বর্ষাকালে যেন এই গাছের গোড়ায় কোনভাবেই জল না জমে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

* কতটা লাভজনক এই ফলের চাষ ?

বছরে দুবার একটি গাছ থেকে এই ফলের ফলন হয়। প্রথমে মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল আসে আর তারপর জুন জুলাই মাসে তার থেকে ফল পাওয়া যায় একই রকম ভাবে জুলাই-আগস্ট মাসে আবার ফুল আসে এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে ফলন পাওয়া যায়। গাছে ফুল আসার পর ফল পরিপক্ক হতে এক্ষেত্রে সময় লাগে ৬০ থেকে খুব বেশি হলে ৯০ দিন। ১৮ থেকে ২০ মাস বয়সের একটি গাছে কৃষকরা প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টি ফল পেতে পারেন  অর্থাৎ প্রতি গাছ থেকে ৫-১০ কেজি ফল পাওয়া যায় আর ভারতের বাজারে এই ফলের চাহিদা যথেষ্ট । একইসঙ্গে বিদেশের বাজারেও রপ্তানি করা যেতে পারে এই ফল। অর্থাৎ সবমিলিয়ে প্যাশন ফ্রুটের চাষ কৃষকদের জন্য বেশ লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version