Relieve Stress: মুহূর্তে সাজানো জীবন ওলটপালট করে দেয় দুশ্চিন্তা! মুক্তি পাবেন কীভাবে?

 

।। প্রথম কলকাতা ।।

Relieve Stress: মুহূর্তে সবকিছু উলটপালট করে দিতে পারে দুশ্চিন্তা(Stress)। সাজানো গোছানো পরিকল্পনা বানচাল হতে বেশিক্ষণ সময় লাগে না। ইন্টারভিউ(Interview) কিংবা অফিসের(Office) প্রেজেন্টেশন, সবকিছু এক লহমায় গুলিয়ে দেয় এই দুশ্চিন্তা(Stress)। দুশ্চিন্তাকে মানুষের জীবনের সবথেকে বড় শত্রু(Enemy) বললে খুব একটা ভুল হবে না। অনেকেই আছেন যারা দুশ্চিন্তা যে হচ্ছে সেই বিষয়টি বুঝতে পারেন না। দিনের পর দিন দুশ্চিন্তা গ্রাস করলে সেই ব্যক্তি মানসিক অবসাদে(Depression) চলে যেতে পারেন। শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানান জটিলতা। দুশ্চিন্তাকে কেউ বলে টেনশন, কেউ বা স্ট্রেস। এটা মূলত দুই ধরনের হয়। একটি মৃদু আরেকটি তীব্র। মৃদু দুশ্চিন্তা হঠাৎ করে তীব্র আকার নিতে পারে। যার জন্য রক্তে কর্টিসল হরমোন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। যার কারণে বিঘ্ন ঘটে নিউরো ট্রান্সমিটারের কাজে। ব্যাহত হয় স্নায়ু কোষের তথ্য আদান-প্রদানের কাজ।

• দুশ্চিন্তার কারণ

পৃথিবীর প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ লোক মানুষ চিন্তার নেশায় আসক্ত। মাত্র ১০ সেকেন্ড কোনরকম চিন্তা না করে চুপচাপ থাকাটা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই বেশ অস্বস্তিকর। যতই কঠিন পরিস্থিতি থাকুক না কেন মানুষ চিন্তা করতে ভোলেন না। সেই অতিরিক্ত চিন্তা থেকে জন্ম নেয় দুশ্চিন্তা। অনেকে কাজের চাপে দুশ্চিন্তা করেন, আবার অনেকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। নিজেরাই নিজেদের জীবনে ডেকে আনেন মানসিক অশান্তি। দুশ্চিন্তার পিছনে অনেকগুলি কারণ রয়েছে। পারিবারিক কিংবা অফিস সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি প্রাত্যহিক জীবনের এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা দুশ্চিন্তাকে বহু গুনে বাড়িয়ে দেয়। সেই তালিকা রয়েছে অতিরিক্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার, মদ্যপান, একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম না করা, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশিক্ষণ সময় কাটানো প্রভৃতি।

•আপনি দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বুঝবেন কীভাবে?

কোন কাজে হঠাৎ করেই আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দেবে। কাজটি অত্যন্ত সহজ অথচ আপনি করতে ভয় পাবেন। সেভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন না। হঠাৎ করে ঘাবড়ে যেতে পারেন। যার কারণে হার্টবিট বেড়ে যাবে। বুকে ব্যাথা হবে। মানসিক ভাবে অস্বস্তি বোধ করবেন। রাতে ঘুম আসবে না। কাজ করতে গেলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। সামান্য কিছুতেই নার্ভাস ফিল করবেন। সারাদিন মনে হবে যেন বড্ড ক্লান্ত অথচ ঘুমাতে চাইলে ঘুম আসবে না। পাশাপাশি চোখে ঝাপসা দেখতে পারেন কিংবা মাথা যন্ত্রণা হতে পারে।

• দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে

দুশ্চিন্তা এমন একটি বিষয় যাকে প্রথম থেকে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে পরবর্তীকালে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুশ্চিন্তা কাটাতে প্রতিদিন অন্তত ২৫ মিনিট করে মেডিটেশন করুন। নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখুন, যাতে দুশ্চিন্তা আপনাকে গ্রাস করতে না পারে। ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে অন্তত গান শুনতে শুনতে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এর ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং কাজে নতুন উদ্যম পাবেন। খাবারের তালিকায় রাখবেন পুষ্টিকর খাবার। ফাস্টফুড এবং অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবারকে বাদ দিন। চা, কফি বাদ দিলেও ভালো। কারণ এগুলি অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যার ফলে মানসিকভাবে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। একা একা বেশিক্ষণ থাকবেন না। বন্ধুদের সাথে সময় কাটান। প্রাণ খুলে হাসুন, গল্প করুন। মনের কথা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করুন। দুশ্চিন্তাকে একেবারে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। দেখবেন দুশ্চিন্তা অনেকটা কেটে গিয়েছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version