।। প্রথম কলকাতা ।।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির আকাশে ভয়ঙ্কর ছক ন্যাটোর। যুদ্ধবিমান নিয়ে ন্যাটোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু। রাশিয়ার মুখে ঝামা ঘষে সামরিক শক্তি প্রদর্শনই একমাত্র টার্গেট। ক্ষমতা দেখাবে অত্যাধুনিক জেট এবং পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম যুদ্ধবিমান। ‘এয়ার ডিফেন্ডার ২৩’ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাশিয়া। কি বোঝাতে চাইছে ন্যাটো? এই মহড়ার মধ্য দিয়ে দিতে চাইছে কিসের সংকেত? দীর্ঘ চার বছর ধরে চলেছে প্রিপেরেশন। অবশেষে, ইউরোপের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকাশ প্রতিরক্ষা মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের কোনো সদস্য আক্রান্ত হলে ন্যাটোর জবাব কিরকম হবে তা দেখানো হবে এই মহড়ায়। শত্রুপক্ষকে প্রতিরোধের একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা পাঠাতে জার্মানির আকাশে মহড়া শুরু ন্যাটোর।
সোমবার থেকে শুরু হওয়া মহড়ায় অংশ নিয়েছে বিমান বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য। তাছাড়াও ২৫টি দেশের ২৫০টি বিমান অংশগ্রহণ এর পাশাপাশি দু হাজার এয়ার ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য এবং ১০০টি বিমান থাকছে যুক্তরাষ্ট্রের। দুর্ঘটনা এড়াতে বেশিরভাগ উড্ডয়নই হবে বালটিক সাগরের উপরে, জানিয়েছে আয়োজক দেশ জার্মানি। হ্যাঁ, ন্যাটোর বাইরের রাষ্ট্র হিসেবে সুইডেন এবং জাপানও এই মহড়ার অংশ। ১২ জুন থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে ২৩ জুন পর্যন্ত। তবে, মহড়ার কারণে জার্মানির তিনটে অঞ্চলের আকাশসীমা বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হবে। জানিয়ে রাখি ইউরোপের আকাশ বিশ্বের ব্যস্ততম আকাশপথের একটি। ‘এয়ার ডিফেন্ডার-২৩’ এর পাশাপাশি বেসামরিক বিমান চলাচল যাতে প্রভাবিত না হয় তা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। ১০ দিনের সামরিক মহড়া চলাকালীন জার্মান বিমানবন্দরগুলো তাদের পরিচালনার সময়ও রাত পর্যন্ত বাড়িয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো বেসামরিক বিমান বাতিল হবে না, তবে বিমান চলাচলে দেরী হওয়ার চান্স থাকছে।
১৯৪৯ সালে সামরিক জোট গঠিত হওয়ার পর এটাই ন্যাটোর সবচেয়ে বড় মহড়া। জার্মানি এই মহড়ার আয়োজক এবং ‘লজিস্টিক্যাল হাব’ হিসেবে কাজ করবে। কিন্তু, কখন হচ্ছে এই মহড়া? সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ২০১৮ সালেই এই মহড়ার পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেন সহ পূর্ব ইউরোপে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে সেই আশঙ্কায় দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল পরিকল্পনাটি। তবে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর ২০২৩ এ এবার এগিয়ে এলো ন্যাটো। যখন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের খুব ক্রুশিয়াল টাইম চলছে, যখন বেলারুসে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের হুমকি দিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যখন ইউক্রেন পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে, প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ঠিক তখনই খেল শুরু ন্যাটোর। এই সামরিক মহড়ার মধ্য দিয়ে ন্যাটো নিজেদের সামরিক শক্তি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে রাশিয়াকে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার এই পদক্ষেপে গোটা বিশ্ব চমকে যেতে পারে, সাফ কথা ন্যাটোর।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম