Paper Napkin: নতুন বছরে বড় কোন ব্যবসায় ইনভেস্ট করবেন ? চিন্তাভাবনা করতে পারেন টিস্যু পেপার নিয়ে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Paper Napkin: আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটা অতি প্রয়োজনীয় জিনিস হল টিস্যু পেপার। কারণ প্রতিদিনই প্রায় আমাদের লাইফ স্টাইল চেঞ্জ হচ্ছে। এখন রেস্টুরেন্ট, হোটেল, অফিস, হসপিটাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গাতেই অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে টিস্যু পেপার। কারণ টিস্যু পেপার কাছে থাকলে জলের খোঁজ করতে হয় না। তাই জলের তুলনায় খরচটাও কম হয়। আর টিস্যু পেপার যেহেতু একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয় সেই কারণে বাজারে সব সময় এটির চাহিদা থাকে। তাই বলাই বাহুল্য এই টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসা যারা সঠিক পদ্ধতিতে চালিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন তাঁরা এই পরিস্থিতিতে বেশ ভালো মুনাফা অর্জন করছেন।

* টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ:

টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসা (Paper Napkin Manufacturing Business) শুরু করতে গেলে আপনাকে হাতে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েই নামতে হবে। অবশ্য যারা ব্যবসা করার জন্য পুঁজি একত্রিত করেছেন এবং কী ব্যবসা করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের জন্য এটি দারুন বিকল্প হতে পারে। কমপক্ষে সাড়ে ছয় লাখ থেকে শুরু করে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসা। কারণ এর জন্য প্রয়োজন হবে অটোমেটিক মেশিন । যার দাম কম করে ৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রধান কাঁচামাল হিসেবে প্রয়োজন হবে পেপার রোল । যার কিলো প্রতি দাম দাঁড়াবে ৫০ থেকে ৬৫ টাকা।

* টিস্যু পেপার বানানোর প্রক্রিয়া:

টিস্যু পেপার বানানোর জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তবে সাধারণ জ্ঞান থাকাও প্রয়োজন। এর প্রধান কাঁচামাল পেপার রোলকে (Paper Roll) অটোমেটিক মেশিনের ঠিক জায়গায় সেট করতে হবে। আর তারপর পেপার রোলের একটি অংশ মেশিনের সাথে অ্যাটাচ করে দিতে হবে। মেশিন চলতে শুরু করলে ধীরে ধীরে পেপার রোল খুলতে থাকবে এবং মেশিন থেকে বেরিয়ে আসবে তৈরি হয়ে যাওয়া টিস্যু পেপার। আপনি যদি রঙিন টিস্যু পেপার তৈরি করতে চান সে ক্ষেত্রে রঙিন পেপার রোল কিনতে হবে।

* টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসাতে মার্কেটিং:

মনে রাখতে হবে এই ইন্ডাস্ট্রি ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করছে । যেহেতু এটি পরিবেশের কোনরকম ক্ষতি করে না তাই বর্তমান কিছু বছরে প্রায় ১২% চাহিদা ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে । এইজন্যেই খুব বুঝেশুনে মার্কেট রিসার্চ (Market Research) করে নিজের মার্কেট ধরতে হবে। সরাসরি আপনি হোটেল রেস্টুরেন্ট হসপিটাল এবং আরও অন্যান্য যেখানে টিস্যু পেপার ব্যবহার করা হয় সেখানে মাল বিক্রি করতে পারেন। অথবা হোলসেল পদ্ধতিতেও মাল বিক্রি করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে প্রচার করার কাজ খুবই সহজ। এটিও আপনার মার্কেটিং এর জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

* টিস্যু পেপার বানানোর ব্যবসা কতটা লাভজনক

এই ব্যবসাটি প্রথম দিকেই একটু মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে শুরু হয়। তাই মাসের শেষে যদি লাভের (Profit) পরিমাণ বেশি না হয় তাহলে ব্যবসায়ীর ব্যবসা টিকিয়ে রাখা মুশকিল। তবে সঠিকভাবে যদি ব্যবসা পরিচালনা করা যায় , তাহলে টিস্যু পেপার তৈরির ব্যবসা মাসে কম করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা উপার্জন হতে পারে। আরও মতো মার্কেটিং করতে পারলে বাজারে আপনার তৈরি করা টিস্যু পেপারের চাহিদা বাড়বে। তবে ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং নিজের ব্যবসাকে প্রসারিত হওয়ার সময় দিতে হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version