Earthquake Risks in Nepal: সরে যাবে মাটি? ভূকম্পন বলয়ে আটকে নেপালে, কতটা রিস্কে ভারত। কানেকশন পৃথিবীর অতলে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Earthquake Risks in Nepal: নেপালের তলা থেকে এক ঝটকায় সরে যাবে মাটি? ধরিত্রীর কাঁপুনি রাতারাতি ধসিয়ে দেবে একটা গোটা দেশকে? মাটির কত ফুট গভীরে লুকিয়ে ভারত-নেপালের কানেকশন? ৭২ ঘন্টার ডিফারেন্সে কেন কাঁপলো ভারতের রাজধানী? কতটা রিস্কি সিসমিক জোন? কোন ভয়ানক চক্রব্যূহে আটকে গেল ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ? তীব্র কম্পনের আশঙ্কা, পাত সরে গেলে নেপালের অস্তিত্ব থাকবে তো? সামনে এলো ভয়ানক ভবিষ্যদ্বাণী, কোন অভিশাপ লাগলো নেপালে? ৩রা নভেম্বর ফিরে এলে, কী ঘটবে এবার? ইমারজেন্সি অ্যালার্ট নেপালে? থরথরিয়ে কাঁপবে নেপাল? পৃথিবীর অতলে হারিয়ে যাবে?ভয়াবহ আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা। মিলে গেলে ভুগতে হবে নেপালকে। আফটার শক নয়, বড় ঝড় ধেয়ে আসছে নেপালের উপর। ফের বিরাট ভূমিকম্প হতে পারে নেপালে। তাহলে, এবার কি মাটির সঙ্গে মিশে যাবে নেপাল?

রিখটার স্কেলে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প। ৩রা নভেম্বর মধ্যরাত কখনো ভুলতে পারবে না নেপাল। দেড়শোর বেশি মানুষ নিহত, সাড়ে তিনশোরও বেশি আহত। হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া, খোলা আকাশের নীচে ঠান্ডার মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের ভূমিকম্পের আশঙ্কায় হিমালয়ের কোলের এই দেশটার বুক কাঁপছে। ভারতেও রিস্ক বাড়ছে। ৩ দিনের মাথায় ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী দিল্লি। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫.৬। ভূমিকম্পের উৎসস্থল সেই নেপাল। এখানেই ভারত নেপাল কম্পন এর কানেকশন। আর এটাই ভয়। ভূবিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, যা ঘটেছে নেপালে তার থেকেও বড় ও বিধ্বংসী ভূকম্প অপেক্ষা করে আছে নেপালের জন্য। যেটা শীঘ্রই আসতে পারে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, নেপালের সেন্ট্রাল বেল্টে এই ভূকম্প হয়েছিল। এটাকে সক্রিয়ভাবে শক্তি মুক্তকরণ সেক্টর বলে উল্লেখ করা যায়।

এখানে বিরাট ভূকম্প হওয়ার নজির রয়েছে, বলছেন ভূবিজ্ঞানীদের একাংশ। ইন্ডিয়ান ও ইউরেসিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে এখানে ভূমিকম্প হয়েছিল। এখন এই দুটো প্লেট কনস্ট্যান্ট ওয়েতে একে অপরকে ঠেলছে। আর এর জেরেই ভূত্বকে কম্পন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাহলে কি ২০১৫ সালের স্মৃতি ফিরছে নেপালে? ২০১৫ সালে ভয়াবহ ভূকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। সেবার প্রায় ৯০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অন্তত ৫০০,০০০ বাড়ি ভেঙে পড়েছিল।ভূবিজ্ঞানীদের মতে ২০১৫ সালের ভূকম্প নেপালের পশ্চিম ও পূর্ব বেল্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। সেন্ট্রাল বেল্টকে এফেক্ট করতে পারেনি কিন্তু ৩রা নভেম্বরের ভূকম্পে অল্প শক্তি নির্গত করেছে, তবে এরপর আরও শক্তি নির্গত হতে পারে। চান্স আছে।যার জেরে রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার উপর ভূকম্প যে কোনও সময় হতে পারে।

প্যানিক করবেননা। ভূবিজ্ঞানীরা স্থানীয়দের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারণ বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য হিমালয়ের নীচে ভূকম্পন বলয় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হিমালয় এলাকায় যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। সেটা ভারতের জন্যেও রিস্কের। তাছাড়া, বিরাট মাত্রায় ভূমিকম্প হলে বড় বিপর্যয় হতে পারে। সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকম্প হলে তা যেন দ্রুত মোকাবিলা করা যায়, প্রাণহানি কম হয় সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে। বুঝতে হবে, একটা দেশের সমস্ত মানুষকে সরানো সম্ভব নয়। গোটা নেপালটা সিসমিক জোনের মধ্যে পড়ছে। বাড়ি তৈরির প্ল্যানগুলো বদলানো যেতে পারে। যা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি কয়েকদিনে নেপালের ছবিটা সেকেন্ডে সেকেন্ডে বদলেছে। নিহতদের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। জাজরকোট অনাথ হয়ে গেছে। চিউরি গ্রামকে চোখে দেখা যাচ্ছে না। আর টেনশনের বিষয় হলো এরপরেও নেপালের ফাঁড়া কাটছে না।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version