Saffron Colour: সাধুরা কেন গেরুয়া রঙের পোশাক পরেন? উত্তরে মিলবে মানসিক শান্তি

।। প্রথম কলকাতা ।।

Saffron Colour: সাধু সন্ন্যাসীদের কথা বললেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে জাফরান বা গেরুয়া রঙের (Saffron Colour) পোশাকধারী কিছু আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের কথা। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, ঋষি বা সাধুরা কেন এই রঙের পোশাক পরেন? অন্য কোন রঙের পোশাকও তো পরতে পারতেন। আসলে এই রঙের মধ্যে রয়েছে রহস্য। গেরুয়া বা কেশর রঙকে বলা হয় আলোর আগমনের প্রতীক। সূর্যের কেশর রঙের রশ্মি যেমন মানুষের জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটায়, তেমনি এই রং মঙ্গলের সূচনা করে। এছাড়াও গেরুয়া (Saffron) হল ত্যাগের প্রতীক।

অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে, পৃথিবীতে এত রঙ থাকা সত্ত্বেও কেন সাধু সন্ন্যাসীরা গেরুয়া রঙকে এত পছন্দ করেন? এই রং অনেকটা কমলা রঙের মতো। আসলে গেরুয়া রঙের যোগ রয়েছে পুরাণের সঙ্গে। আধ্যাত্বিক বিশ্বাস সহকারে সাধুরা এই রঙের পোশাক পরিধান করেন। বলা হয় অগ্নিদেবের রঙ্গ গেরুয়া। হিন্দু ধর্মের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেরও গেরুয়া রঙের পোশাক পরতে দেখা গিয়েছে। লাল হলুদের মিশেলে পাওয়া এই রঙকে বলা হয় সুখের প্রতীক। কথিত আছে, গেরুয়া রঙের সঙ্গে মানব শরীরের অঙ্গের বিশেষ যোগ রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে কিডনি, প্রজননতন্ত্র, মলাশয় এবং মূত্রথলি। এই রং নাকি শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখে তাই এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সুস্থ অসুস্থতার বিষয়।

সাধু সন্ন্যাসীদের কাছে শরীরের প্রথম চক্র হল মূলাধার, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে লাল রং। দ্বিতীয় চক্র স্বাধিষ্ঠান, সেখানে যোগ রয়েছে কমলা রঙের সঙ্গে। শরীরে গেরুয়া রঙের চক্র অবস্থান করছে ঠিক লাল আর হলুদ চক্রের মাঝে। বিশ্বাস করা হয়, গেরুয়া রঙের পোশাক পরিধান করলে মনের অশান্তি দূর হয় এবং ধীরে ধীরে আত্মচেতনা বৃদ্ধি পায়। মানব জীবনে এই রঙের প্রভাব সুদূর প্রসারী। আবার অনেকের কাছে গেরুয়া রং ভাগ্যের প্রতীক। হিন্দু সংস্কৃতি এবং ধর্মের চিরন্তনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় গেরুয়া রঙকে।

জগতের সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে নিজেদেরকে ঈশ্বরের কাছে সঁপে দেন সাধু সন্ন্যাসীরা। তাদের কাছে গেরুয়া রং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। গেরুয়া বা কমলা রঙকে বলা হয় পরিণত হওয়ার প্রতীক। যখন কোন ফল ধীরে ধীরে পাকতে শুরু করে তখন তা সবুজ রং থেকে কমলা রঙে পরিণত হয়। গোটা বিশ্ব প্রকৃতি মায়ের সমান। প্রকৃতি মা স্নেহের বন্ধনে সমস্ত জীবকে আগলে রেখেছেন। যেখানে স্বার্থপরতার কোন জায়গা নেই। তেমনি গাছ লোভ ছাড়াই জীবজগৎকে ফল প্রদান করে থাকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version