ফ্রান্স- চিন চুক্তিতে কেন সাঁড়াশি চাপে আমেরিকা? ম্যাঁক্রো সাহস থেকে অবাক ইউরোপ।

।। প্রথম কলকাতা ।।

চিন ফ্রান্স ডিল প্যাকেজ। ইউরোপ আর বোকামী করছে না চিনের দরবারে সোজাসুজি সমর্পন! চিনে পৌঁছে ম্যাঁক্রো যা করে দিলেন অনেকেই সাহস দেখাবেন না। ভারত ফ্রান্সের লেনদেন হয় কিসে জানেন তো। সেখানে কোপ পড়বে? যুক্তরাষ্ট্রর চিনকে ডোবানোর নীতি ক্ষতি করে দিচ্ছে ফ্রান্সের মতো দেশগুলোর। আমেরিকা না চিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবার কোন দিকে?

গোটা ইউরোপ যা ভাবছে ফ্রান্স তার থেকে বেশি ভেবে ফেলেছে। মোট ২১ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি মূল্যের চুক্তি সই হয়ে গেছে ফ্রান্স-চিনের মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা সাফ বলে দিচ্ছেন চিন-ফ্রান্স নয়া চুক্তি তছনছ করতে পারে আমেরিকা-ইউরোপের সম্পর্ক। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে তাহলে হাত তুলেও নিতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রশ্ন হল হঠাৎ করে ফ্রান্স এতটা ডেসপারেট কেন হয়ে গেল বেজিংয়ের সঙ্গে মাখামাখি করতে? ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো চিনে গেলেন আর সেখানে করে এলেন দুঃসাহসীক কিছু কাজকর্ম৷

চিনের এত গুণগান এর আগে কি কোনওদিনও গেয়েছে ফ্রান্স? ফ্রান্সের পার্লামেন্টে চিনের বাহ বাহ করা হত রীতিমত। কিন্তু এই তথ্যগুলো জেনে আপনার আমার লাভই বা কি? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্টের কথা শুনুন। এই অ্যাক্ট বলে এটা যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যবৃদ্ধিকে কন্ট্রোলে রাখে কিন্তু আসলে সেটা নয়। ভিতরে রয়েছে চরমতম পলেটিক্স। যুক্তরাষ্ট্র চায় চিনের যা কম উৎপাদন হচ্ছে তা এখানে বিক্রি হোক। এর প্রভাব পড়ছে ইউরোপের ওপর। চিন এরপরই ইউরোপকে বলে দিল দুজনেরই বাণিজ্যে চরম ক্ষতি করছে আমেরিকা। আমরা এবার একসঙ্গেই থাকব।

সোজা কথায় ফ্রান্সে তৈরি হচ্ছে ট্রেড ডেফিসিট৷ রপ্তানিতে ৭৭.৭ বিলিয়ন ইউরোর ডেফিসিট ম্যাক্রোর। এছাড়াও কূটনৈতিক মহল বলছে চিনে থাকা ফ্রান্সের কোম্পানিগুলোতে অনেক বেশি দখলদারি চালাচ্ছে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি। তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে চিনের সঙ্গে সাহসী কথাবার্তা ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর৷ অনেকেই বলছেন ফ্রান্স কি ভুলে যাচ্ছে ন্যাটোর ৫০ শতাংশর বেশি টাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া দিল না ফ্রান্সের এত বড় পদক্ষেপে৷ বরং বলে দিল ফ্রান্সের সঙ্গে তাদের দারুণ সম্পর্ক৷

কূটনৈতিক মহল বলছে প্রথমত বন্ধুর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হলে, বিশ্বের কাছে তাকে মজবুত দেখানোটাই বুদ্ধিমানের। আমেরিকা ফ্রান্সকে দেখিয়েই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অকাস বানালো আমেরিকা। আর এখানেই ফ্রান্স কোনওভাবেই চাইছে না আমেরিকা-চিন দ্বন্দ্বে পড়ে তাদের দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ুক। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের টপ কোম্পানির ম্যানুফ্যাকচার হয় চিনে। তাই ইউরোপ বিশেষ করে ফ্রান্স যে আমেরিকার জন্য এমূহুর্তে চিনকে চটাবে না তা একপ্রকার পরিস্কার হয়েই যাচ্ছে৷ তবে লম্বা দৌড়ে ঘোড়া ফ্রান্সকে হতে গেলে এখনও অনেক খেলা বাকি। মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version