মোদীর আমেরিকায় বিশেষ সফরে কেন উদ্বেগ বাড়ছে পাকিস্তানের? বাংলাদেশ ইস্যুতে তৈরি হতে পারে সংকট!

।। প্রথম কলকাতা ।।

নরেন্দ্র মোদীর এবারের আমেরিকা সফরে কেন আতঙ্কে পাকিস্তান? শাহবাজ সরকার কোন অনিষ্ঠর ভয়ে কাঁপছে? এবারের মোদীর যুক্তরাষ্ট্র সফর আগের থেকে অনেক বেশি স্পেশাল। আর সেখানেই লুকিয়ে আসল কারণ, গোটা দুনিয়ার চোখ থাকবে। তবে বাংলাদেশ ইস্যু পথের কাঁটা হতে পারে ভারতের জন্য। নমোর সফরের আগে প্রথমবার প্রতিক্রিয়া দিল ভারত।

১৯-২৪ জুন৷ মারাত্মক একটা ভাইটাল টাইম৷ না শুধু ভারত-আমেরিকার জন্য নয়। সমানভাবে পাকিস্তানের জন্যেও। কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই এই বিশেষ আমন্ত্রণ করা হল? পাকিস্তানের কাছে কোনও ক্লু নেই। ইসলামাবাদে থাকা তাবড় তাবড় আমেরিকা বিশেষজ্ঞদের কাছে রীতিমত কারণ জানতে চাইছে শাহবাজ সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন ভারতে এসে কোন প্ল্যান করে গেলেন?

পাকিস্তানের উদ্বেগ, ব্লাডপ্রেসার একেই বাড়ছে আর সেটা আরও বাড়িয়ে দিল নমো সেদেশ পা রাখার আগেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা বড়সড় মন্তব্য ভারতের স্তুতি শোন যাচ্ছে আমেরিকার মুখে অনেকেই বলছেন। বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ ভারতকে এত সম্মান কেন দিচ্ছে? যা পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারকও হতে পারে।

এবারের সফরে বাংলাদেশ কি গলার কাঁটা হতে পারে?

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে কয়েকবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন কিন্তু নিজের ৯ বছরের কার্যকালে প্রথমবার যাচ্ছে স্টেট ভিজিটে। সেটাই স্পেশালিটি কারণ। রাজকীয় সফর বা স্টেট ভিজিট কোনও দেশের শীর্ষ প্রধান, অন্য দেশের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী বা রাজশাহী কোনও পদাধিকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে অফিসিয়ালি যাত্রার জন্য আমন্ত্রণ করেন। রাজকীয় যাত্রার বিশেষত্ব হল যে তার মধ্যে যে দেশের ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাকে তাঁর সম্মানে নৈশ ভোজ এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। যাত্রায় হওয়া সমস্ত খরচ আমেরিকা বহন করবে এবং রাষ্ট্রপতি অতিথিকে হোয়াইট হাউজের নিজস্ব গেস্ট হাউসে রাখেন। এর নাম ব্লেয়ার হাউস। ২১ তোপের সেলামি দেওয়া হবে নমোকে সম্মান জানাতে।

বাংলাদেশ নয়া ভিসানীতি নিয়ে যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষুব্ধ তাতে বাংলাদেশ কি এমূহুর্তে চাইছে না ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কাছাকাছি আসুক? কূটনীতিবিদরা বলছেন ঐতিহাসিকভাবেই যুক্তরাষ্ট্র–বাংলাদেশ সম্পর্ক খুব একটা মাখো–মাখো কোনোকালে ছিল না। শেখ হাসিনার সঙ্গে তো একেবারেই নয়। শেখ হাসিনার বরাবরের ধারণা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মদত ছিল। এমনকি বাংলাদেশের দাবি আমেরিকা শেখ হাসিনা সরকারকে সরাতে চায় সেজন্যই সেখানকার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে নয়া ভিসানীতি তৈরি করেছে। এবার সেই আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবার আরও ঘনিষ্ঠ হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ কি এর বদলা নেবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে পাকিস্তানের অবস্থাটা বলি৷ পাকিস্তানে হইচই পড়ে গেছে তার কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শাসক এবং বিরোধী কোনও সরকারই পাকিস্তানের শাহবাজ সরকারকে সেভাবে সমর্থন করে না। তার ওপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এধরণের একটা সফর। বাইডেন সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কর্তা জন কারবি বলছেন ভারত প্রাণবন্ত গণতান্ত্রিক দেশ যে কেউ নয়াদিল্লি গেলেই নিজের চোখে সেটা দেখতে পাবেন। এ ধরনের মন্তব্য ভারতের গনতন্ত্র নিয়ে মন্তব্য। পাকিস্তানের কূটনৈতিক মহলে মারাত্মক উত্তেজনা তৈরি করে দিয়েছে অলরেডি। ভারতের কূটনীতি ও বিদেশনীতি গত কয়েক বছরে যেভাবে ছক্কা হাঁকিয়েছে। তাতে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে নাড়াঘাটা করা ব্যক্তিরা বলছেন বাংলাদেশের ভিসা নীতি নিয়ে এতদিন ভারত চুপ থাকলেও এবার তারা প্রতিক্রিয়া দিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের কথায় ভারত সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে চলেছে।

বাংলাদেশের শাসক ও বিরোধী দুই শিবিরই এই সিদ্ধান্তকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে ব্যস্ত। যদিও বা এর থেকে বেশি কোনও কিছু বলা হয়নি দেশের তরফ থেকে। বাকীটা সময় আসলেই বোঝা যাবে ভারত ফের কোন কূটনীতিতে বাজিমাত করে। তবে মোদীর আমেরিকায় পা রাখলেই পাকিস্তানে যে একটা বড় ঝড় উঠবে সেটা ধারণা করাই যাচ্ছে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version