Turkish Drone: বিশ্বের কোন দেশের কাছে আছে সবচেয়ে শক্তিশালী ড্রোনগুলো? সবাই চুপ

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Turkish Drone: গোটা বিশ্বজুড়ে তুরস্কের দাপট। প্রায় ৪০টি দেশের আকাশে দাপট দেখাচ্ছে তুর্কী ড্রোন। শত্রুদের ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। পুরো বিষয়টি জানতে ভিডিওতে বলা প্রতিটি তথ্য মন দিয়ে শুনুন। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান থেকে শুরু করে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ, সবেতেই তাণ্ডব দেখাচ্ছে তুরস্কের সামরিক ড্রোন। কী এই ড্রোনের বিশেষত্ব? কোন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হচ্ছে তুরস্কের এই চমকপ্রদ ড্রোন? পাশাপাশি বন্ধুদের সাহায্যতেও হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে তুরস্ক।

 

বিশ্বের তাবড় তাবড় কূটনীতিকরা বলছেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। আর এই যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিটা দেশই এখন নিজেদের টেকনোলজিতে শান দিতে ব্যস্ত। কারণ আধুনিক যুদ্ধ মানেই টেকনোলজির খেলা। আর রণক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার এক নতুন সম্ভাবনার পথ দেখিয়েছে। ইতিমধ্যেই যার একটা ছোট্ট ট্রেলার দেখিয়েছে তুরস্ক। সম্প্রতি দেশটি এমন কিছু ড্রোন আবিস্কার করেছে যা ব্যাপক সাড়া ফেলেছে গোটা বিশ্বে।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে শুরু করে ইরাক সীমান্তে বিদ্রোহী দমন, সব ক্ষেত্রেই তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তুরস্কের এই সামরিক ড্রোনগুলি। কেবল যে যুদ্ধক্ষেত্রেই দাপট দেখাচ্ছে তাই নয়, বিভিন্ন ভালো কাজেও অবদান রাখছে এই তূর্কী ড্রোনগুলি। যার সর্বশেষ নজির দেখা গেছে ইব্রাহিম রাইসির বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারকাজে।

 

আর এখন তো বন্ধু থেকে শত্রু, সব দেশেরই আগ্রহ তুরস্কের এই ড্রোনের প্রতি। ইদানিং কম করে হলেও ৪০টি দেশের সুরক্ষায় মোতায়েন করা হয়েছে এই ড্রোন। তবে প্রশ্ন হল, তুরস্কের এই বাড়বাড়ন্ত কি কোনোভাবেই নয়া দিল্লির উপর প্রভাব ফেলবে? ভারতের কি ভয় পাওয়ার কোনও কারণ রয়েছে?

 

হ্যাঁ, এখনও সরাসরি প্রভাব না পড়লেও প্রতক্ষ্য প্রভাব তো পড়ছেই। এই যেমন মাস কয়েক আগেই তুরস্ক থেকে লক্ষাধিক টাকার ড্রোন কিনেছে মালদ্বীপ। অথচ এতদিন গভীর সমুদ্রে টহলদারির জন্য এই ড্রোন ভারতের থেকেই কিনত তারা। আচ্ছা এত কথা তো হচ্ছে। আপনার এটা জানতে ইচ্ছে করছেনা যে, ড্রোন নিয়ে মানুষের এত উৎসাহ কেন? ঠিক কোন কাজে লাগে এই ড্রোন?

 

তাহলে বলি, বর্তমান দিনের আধুনিক যুদ্ধের পুরো নকশাই বদলে দিতে পারে এই অত্যাধুনিক ড্রোনগুলি। আজকের দিনে যুদ্ধ খাতে ব্যবহৃত কয়েকটা বিখ্যাত ড্রোন হল MQ-9b Sky, Sukhoi S-70 Okhotnik-B ইত্যাদি। ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি মানুষের জীবনের ঝুঁকি কমায়। বহুদূর থেকেই শত্রুপক্ষের হালহকিকত বুঝে নিতে সক্ষম এই ড্রোন।‌ ফলে পরিস্থিতি বুঝে সৈন সাজাতে পারেন দলের কম্যান্ডাররা। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, যে দেশের কাছে যত শক্তিশালী ড্রোন রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে সেই দেশ ততটাই এগিয়ে। শত্রুপক্ষকে শনাক্ত করে তার উপর নির্ভুলভাবে অ্যাটাক করতে ড্রোনের জুড়ি মেলা ভার।

 

আর এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে রাশিয়া ও আমেরিকা। তবে এবার এই দুই দেশকে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে তুরস্কও। তবে মজার বিষয় হল, একদা এই তুরস্কই ড্রোনের জন্য হাত পেতেছিল আমেরিকার কাছে। তবে সেবার মার্কিন সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। আর তারপরই তুরস্ক ঠিক করে নিজেদের চাহিদা তারা নিজেরাই মিটিয়ে নেবে। শুরু হয় ড্রোন তৈরির কাজ। এক ধাক্কায় বিপুল বিনিয়োগও করে দেশটি। আর ফলস্বরূপ ড্রোন শিল্পে নতুন পরাশক্তি হিসেবে বিশ্বে আবির্ভূত হয়েছে তুরস্ক।

 

তবে প্রশ্ন আসতে পারে, হঠাৎ করে রাশিয়া আমেরিকা ছেড়ে তুর্কী ড্রোনের প্রতি কেন এত আগ্রহ দেখাচ্ছে মানুষ? এই বিষয়ে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে এর কম দাম এবং বিক্রির প্রক্রিয়াও সহজ। তুর্কি ড্রোনগুলো মার্কিন বা রাশিয়ান ড্রোনের তুলনায় বেশ সস্তা। এককথায় অনেকটা চাইনিজ প্রোডাক্টের মত। কম টাকায় ঠিকঠাক সার্ভিস। পাশাপাশি তুর্কী ড্রোন কিনতে খুব একটা ঝামেলাও পোহাতে হয়না। মূলত এই দুই কারণেই গোটা বিশ্বের বাজারে দাপট দেখাচ্ছে তুরস্কের ড্রোন।

 

https://www.facebook.com/share/v/SMZfQYbCyD7YvGUS/?mibextid=qi2Omg

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

Exit mobile version