।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh Election: বাংলাদেশে ঘোষণা হয়ে গেল তফসিল। ঘৃণাভরে প্রত্যাখান বিএনপি’র। দিল বড় হুঁশিয়ারি। আরও মারাত্মক হতে চলেছে অগ্নিগর্ভ আন্দোলন। এত অবরোধেও কি কাজ হল না? শত বাধা ঠেলে নির্বাচনের আয়োজন করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। কোনো বড় গন্ডগোল হবে না তো? এবার কোথায় গিয়ে ঠেকবে বিরোধী দলগুলোর সিদ্ধান্ত? শেষমেষ কি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন মেনে নেবে? বেজায় খুশি আওয়ামী লীগ।
বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান একাদশ সংসদের মেয়াদ, যা শেষ হবে ২০২৪ এর ২৯ জানুয়ারি। বাংলাদেশের সংবিধান বলছে, ঠিক এই সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করাটা বাধ্যতামূলক। তাই পরিকল্পনা মাফিক নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করল পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল। সাধারণত তফসিল ঘোষণা থেকে ভোটগ্রহণের মধ্যে পার্থক্য থাকতে হয় অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ দিন। দেশটার নির্বাচন কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন হবে আগামী বছরের ৭ই জানুয়ারি। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩০শে নভেম্বর। মনোনয়ন পত্র বাছাই চলবে ডিসেম্বরের ১ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত। কেউ যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে চান, সেক্ষেত্রে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তা করতে হবেন। নির্বাচন হবে ৩০০ টি আসনে। এর আগে দেশটাতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর। তার আগেরটা অর্থাৎ দশম সংসদ ভোট হয় ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি। হিসেব বলছে, বাংলাদেশের নির্বাচনের অধিকাংশটাই হচ্ছে ডিসেম্বরের শেষ কিংবা জানুয়ারির শুরুতে। নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, নির্বাচনে যদি কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করা হবে।
বুঝতেই পারছেন, বাংলাদেশ সরকার আটঘাট বেঁধে নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছে। বিএনপির দাবি তারা মানেনি। সংবিধান অনুযায়ী হতে চলেছে দেশটার নির্বাচন। ঝামেলা যে হতে চলেছে, গন্ডগোল যে বাঁধবে তারা আঁচ বহুদিন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। আসলে তফসিল ঘোষণা নিয়ে দেশটার মধ্যে কম উত্তেজনার ছিল না। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং বিরোধী দল গুলোর মধ্যে বিরোধ চরমে। যুক্তরাষ্ট্র বারংবার শান্তিপূর্ণ সংলাপে বসার কথা বললেও তা শেষমেষ ব্যর্থ হল।
তবে বিএনপি যে চুপ করে আছে এমনটা কিন্তু এক্কেবারে নয়। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তকে দেগে দিয়েছে একতরফা তামাশা বলে । বিএনপি’র মতে, নির্বাচন কমিশনার মশকরা করছেন। উল্টে হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল গুলো। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে আরো কঠিন থেকে কঠিনতর হতে চলেছে তাদের আন্দোলন। যদি দেশে কোন অচলাবস্থা বা চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় তার পুরো দায়ভার বহন করতে হবে নির্বাচন কমিশন আর আওয়ামী লীগ সরকারকে। নির্বাচন কমিশন সব জেনেশুনেই বাংলাদেশকে গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিল। এমনটাই দাবি বিএনপির। একই সুরে সুর মেলাচ্ছে জামায়েত ইসলামী, তারাও তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। অপরদিকে তফসিল ঘোষণাকে সাদরে স্বাগত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটার কথায়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই।
এখন এটাই দেখার, কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। নির্বাচনের দিন না আসা পর্যন্ত হয়ত এমনটাই চলতে থাকবে। আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। আপনার কি মনে হয়? আওয়ামী লীগ আর বিএনপির ঘাতপ্রতিঘাতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? আপনি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটটা দিতে পারবেন তো?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম