ফিলিস্তিন-ইসরাইলের যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান কী ? ভারতের মতোই, কী স্টেপ !

।। প্রথম কলকাতা ।।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের যুদ্ধে বড় স্টেপ বাংলাদেশের। ভাইটাল মুহুর্তে কী চাইছে দেশটা? দু খন্ড হয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পর এত বড় ধাক্কা। কীভাবে সামলাবে গোটা বিশ্ব? ভেঙে পড়বে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক চেইন। হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। সহিংসতা কোন সমাধান নয়। তীব্র নিন্দা ভারত-বাংলাদেশের।

হঠাৎ করেই হামাসের নেতৃত্বে প্রায় ৫০০০ রকেট বৃষ্টি হয় ইসরায়েলের উপর। যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বাতাসে এখন গোলা বারুদের গন্ধ। তীব্র শব্দে কান পাতা দায়। শোনা যাচ্ছে কান্নার হাহাকার। উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। চলছে পাল্টা আক্রমণের রেষারেষি। ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের সংঘর্ষ কিন্তু আজকের নয়। গোলাগুলি বর্ষণ থেকে শুরু করে রকেট হামলা চলতেই থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি এবার অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। হামাসের হামলায় ক্ষতবিক্ষত ইসরায়েল। ভাগ হয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব। কেউ নিচ্ছে ইসরায়েলের পক্ষ, কেউ নিচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষ।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণে পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় নাগরিকদের সতর্ক করে দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। স্পষ্ট জানিয়েছে, যেখানে যেখানে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে সেখানেই চলবে নতুন হামলা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সতর্ক বলেন, এর আগেও শত্রুদের সতর্ক করা হয়েছিল। তারা শত শত বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করেছে। তাদের অপরাধের জন্য শহীদ হয়েছেন শত শত মানুষ। শত্রুদের এর চূড়ান্ত মূল্য দিতে হবে। এই যুদ্ধের কারণে মারা পড়ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে দুপক্ষেরই। আহতের সংখ্যা হাজার হাজার। আপাতত এই যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। যতক্ষণ না সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং আলোচনার মাধ্যমে তারা সঠিক সিদ্ধান্তে আসতে পারছে। ইতিমধ্যেই হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হামলার খবরে ইসরায়েলের প্রতি সমবেদনা এবং পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাজ্য ফ্রান্স জার্মানি। তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইউরোপিয়ান কমিশনও।

স্পষ্টত এই সংঘর্ষের জেরে আতঙ্কে গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশের বহু মানুষ কর্মসূত্রে, আবার কেউবা পড়াশোনার জন্য ইসরায়েলে রয়েছেন। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে মারাত্মক ফল ভুগছে গোটা বিশ্বকে। আবার নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে, বড়সড় ধাক্কা খাবে বিশ্ব বাণিজ্যিক চেইন। শুরু হয়ে যাবে দলাদলি। যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ততই বাড়বে সমস্যা।

ইতিমধ্যেই যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ। মানুষের প্রাণহানি এবং হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, এই সংঘাত বন্ধে অবিলম্বে জরুরি যুদ্ধ বিরতির দরকার। একমাত্র সুষ্ঠু আলোচনা এবং সংলাপই পারে সংঘাতের স্থায়ী সমাধান করতে। সংঘাত আর সহিংসা যতই বৃদ্ধি হোক না কেন, কোন পক্ষেই লাভবান হবে না। উভয় পক্ষের নিরাপরাধ প্রাণহানি এড়াতে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলকে জাতিসংঘের রেজুলেশন নম্বর 242 এবং 338 অনুসরণ করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি বসবাসের সমর্থন করে বাংলাদেশ। যা এই অঞ্চলের স্থায়ী শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারবে। শুধু বাংলাদেশ নয় ভারত সহ বিশ্বের বহু দেশেই এই যুদ্ধ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। ভারতও গভীরভাবে মর্মাহত। যুদ্ধে আক্রান্ত এবং তার পরিবারবর্গের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুদ্ধ মানেই রক্তক্ষয়। যা শান্তিপূর্ণ সভ্যতা এবং সমাজের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version