৷৷প্রথম কলকাতা৷৷
Russia Ukraine War: ইউক্রেনকে এভাবে ঠকিয়ে দিয়েছে পশ্চিমারা? নাকি এছাড়া আর উপায়ও ছিল না৷ পুতিনবাহিনীকে ঠেকাতে গিয়ে ভাঁড়ারে অস্ত্র কমে যাচ্ছে ইউরোপের৷ কিয়েভের দখল করা খেরসন থেকেই এবার নয়া রূপে খেলা শুরু রাশিয়ার৷ চরম অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ একটা যুদ্ধ আর সেটায় এতটা টার্ন অ্যান্ড টুইস্ট! যে পশ্চিমাদের এতটা ভরসা করেছিল ইউক্রেন তারাই বিশ্বাসঘাতকতা করে দিল৷ যুদ্ধে জয়ের দিকে এগোনোর মাঝপথে পঙ্গু হয়ে গেল ইউক্রেন৷ আর তার জন্য সরাসরি দায়ী ইউরোপ৷ কূটনৈতিক মহল বলছে, বিশ্বকে দেখানো হচ্ছে তারা কত মহান ইউক্রেনের মতো ছোট দেশকে খতরনাক সব অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে তারা৷ কিন্তু আদতে অবস্থা এই? আমেরিকা হিসেব করতে শুরু করে দিয়েছে ইউক্রেনকে দেওয়া অর্থের পরিমাণ৷
লোকের কাঁধে রেখে আর কতদিন বন্ধুক চালাবেন ভ্লাদিমীর জেলেনস্কি? প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই৷ এদিকে রাশিয়া কিছুদিন ধুঁকছিল ঠিকই এবার যেন তারা ফিরছে স্বমহিমায়৷ খেরসন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তাণ্ডব পুতিনবাহিনীর৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইগর কোনাকেঙ্কভর দাবি, ছয়টি সামরিক কমান্ড পোস্ট ধ্বংস করে দিয়েছে রাশিয়া৷ ইউক্রেন এবার খেরসন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে তাদের বাসিন্দাদের৷ প্রশ্ন উঠছে কেন? পাল্টা হামলাও তো কিয়েভ চালাতে পারত৷ কিন্তু কীভাবে চালাবে? ইউক্রেনের বেশিরভাগ যুদ্ধাস্ত্রই তো এখন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে৷ নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট বলছে, পশ্চিমারা ইউক্রেনে ৩৫০টি হাউইটজার কামান পাঠিয়েছে যার এক তৃতীয়াংশ কোনো কাজেই লাগছে না৷
এর মানে একবার কাজ হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো বিকল৷ তাহলে এবার কি করবে ইউক্রেন? কিভাবে জারি রাখবে তাদের যুদ্ধ? আন্তর্জাতিক মহল বলছে, এক্ষেত্রে দোষটা পুরোপুরি পশ্চিমাদেরকেও দেওয়া যাচ্ছে না৷ কারণ, ফ্রান্সের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ল্য মোঁদের তথ্য বলছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার পর এখন পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্রের মজুদ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে৷ ইউক্রেনে যেসব অস্ত্র সহায়তা পাঠানো হয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর বাকিগুলো গেছে ইউরোপের দেশগুলো থেকে৷ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি সংবাদমাধ্যম ল্য মোঁদে করেছে। তারা দাবি করছেন, ইউক্রেনকে লাগাতার সাহায্যর জেরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অস্ত্রের মজুদ এতটাই কমে গেছে যে সেসব অস্ত্রের সামরিক প্রশিক্ষণও এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷
কিন্তু ইউক্রেন বিকল হয়ে যাওয়া অস্ত্রগুলো নিয়ে কি করবে এবার? সেটাও তো বড় প্রশ্ন৷ জানা যাচ্ছে, যুদ্ধের প্রয়োজনীয়তা সাপেক্ষে সরঞ্জামগুলো ঠিক করা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তাই পোল্যান্ডে শীঘ্রই কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে৷ সেখানই সারিয়ে তোলা হবে ইউরোপের হাউইটজার কামান এর মাঝে রাশিয়া, খারকভের পেত্রোপাভলোভকা, লুগানস্ক , তোরস্কয়, ইভানো-এর এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে তাদের৷ তাহলে কি খেরসন ইউক্রেনের থেকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হবে এবার মস্কো?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম