Bean cultivation : কম সময়ে ভালো লাভ করতে চান? এই পদ্ধতিতে শিম চাষ করুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Bean cultivation : এ রাজ্যের অন্যতম অর্থকরী সবজি শিম। প্রথাগত চাষের বদলে শিমের চাষ করে ভালো লাভ পাওয়া যায়। শ্রাবণ-ভাদ্র মাস থেকে এই সবজির বীজ পুঁততে শুরু করেন কৃষকেরা। তবে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত বীজ লাগানো যায়। লতানো জাতের শিম বীজ বিঘা প্রতি তিন থেকে পাঁচ কিলোগ্রাম আর ঝোপালো জাতের জন্য পাঁচ থেকে সাত কিলোগ্রাম পর্যন্ত বীজ লাগানো যেতে পারে। এগুলি নির্দিষ্ট দূরত্বে সারিবদ্ধভাবে লাগানো দরকার। লতানো জাতের গাছগুলি পাঁচ ফুট বাই তিন ফুট দূরত্বে এবং ঝোপ বা বেঁটে জাতের জন্য কম দূরত্বে লাগানো দরকার। তার মাপ আড়াই ফুট বাই আড়াই ফুট দূরত্ব হলেই চলবে।

জমি তৈরির সময় প্রাথমিক সার হিসেবে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ কুইন্টাল গোবর সার এবং ৪০ থেকে ৫০ কিলোগ্রাম নিম খোলের সঙ্গে দু’কিলোগ্রাম অ্যাজোফস জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। বীজ লাগানোর আগে ১০ : ২৬ : ২৬ অনুপাতে ১২ থেকে ১৫ কিলোগ্রাম সার হিসেবে মাটিতে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। পরে গাছ বের হওয়ার পর তিন সপ্তাহ বয়সে ও ছ’সপ্তাহ বয়সে চাপান সার হিসেবে পাঁচ কিলোগ্রাম ইউরিয়া, তিন কিলোগ্রাম পটাশ সার জমিতে দিয়ে সেচ দিতে হবে। এর সঙ্গে অনুখাদ্য হিসেবে বোরোন, জিংক, মিক্সচার দেড় থেকে দু’গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে গাছের পাতায় সরাসরি স্প্রে করে দিতে হবে। প্রয়োজন মতো জল সেচ ও রোগ পোকা নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধও দেওয়া যেতে পারে। মাঝে মধ্যে প্রয়োজন বুঝে জমিতে হালকা জলসেচ দিতে হবে।

ছত্রাকঘটিত রোগ যেমন পাউডারি মাইল্ড, ফাইটোপথোরা পোড্রট-এর আক্রমণ বেশি দেখা যায়। এছাড়া, ছত্রাক জাতীয় হলদে দাগ লাগার আক্রমণের ফলে ফসলের ক্ষতি হয়। আর পোকার মধ্যে থাকে স্টেমফ্লাই, থ্রিপস এবং মাইটের আক্রমণ। যেগুলি সুসংহত প্রক্রিয়ায় রোগ পোকা দমনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

বীজ বোনার ৪৫ থেকে ৫০ দিন পর ফসল তোলা শুরু করা যেতে পারে। গাছে ফুল আসার পর ৭ থেকে ১২ দিনের মাথায় শিম সবুজ ফসল হিসেবে তোলা যায়। লতানো জাতের শিম বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ কুইন্টাল আর হাইব্রিড বা ঝোপ ধরনের গাছে ৪০ থেকে ৪৫ কুইন্টাল পর্যন্ত শিম পাওয়া যায়। সময় মতো বাজার ধরতে পারলে কৃষকেরা এক এক বিঘা জমির উৎপাদিত শিম থেকে সমস্ত খরচ খরচা বাদ দিয়ে বীজ বোনার তিনমাসের মধ্যেই ১৮ থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version