।। প্রথম কলকাতা ।।
Vaikuntha Ekadshi 2023: প্রতিবছর নিয়ম করে প্রতি মাসে দুটি অর্থাৎ বছরে প্রায় ২৪টি একাদশী থাকে। ২০২৩ সালের শুরুতেই পড়েছে বৈকুন্ঠ একাদশী, যাকে বলা হয় পৌষ পুত্রদা একাদশী (Poush Putrada Ekadashi)। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিন কোন ব্যক্তি যদি নিষ্ঠা সহকারে বিষ্ণু এবং মাতা লক্ষ্মীর আরাধনা করেন, তাহলে তিনি পুত্র সন্তান লাভ করেন। বহু মানুষ আছেন যারা বৈকুণ্ঠ একাদশীতে পুত্র সন্তান লাভের আশায় এই একাদশী ব্রতের সমস্ত নিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করেন। পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে এই একাদশী পালন করা হয়। সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই দিনে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করা উচিত নয়।
বৈকুণ্ঠ একাদশী উপবাসের তাৎপর্য
এই একাদশী পুত্রদা একাদশী নামেও পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরকে বলেছিলেন যে পুত্রদা একাদশীর উপবাস করলে শিশুদের জীবনে কোনো সমস্যা হয় না। সেই সঙ্গে সন্তানের কর্মজীবনে উন্নতি হয়। সন্তানের মঙ্গল কামনায় এই ব্রত পালন করতে পারেন। বৈষ্ণবদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই একাদশীতে পূর্ণভক্তি সহকারে মাতা লক্ষ্মী আর ভগবান বিষ্ণুর আরাধনা করলে সন্তান সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার দূর হয়।
বৈকুণ্ঠ একাদশীর শুভ সময়
পৌষ পুত্রদা একাদশী পালিত হবে ২রা জানুয়ারি
শুভ সময় শুরু – ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিট থেকে
সমাপ্ত সময় – পরের দিন অর্থাৎ ২ জানুয়ারি রাত ৮ টা ২৩ মিনিটে
পারণ – ৩ জানুয়ারি, সকাল ৭টা ১২ মিনিট থেকে ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত
পুজো পদ্ধতি
এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ পুজো করা হয়। একাদশীর দিন ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করে শুদ্ধ বসনে গঙ্গাজল, তুলসী, ফুল, দুধ, দই, পঞ্চামৃত দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করতে হবে। এই দিনে নারীরা নির্জলা উপবাস পালন করেন। আপনার স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালানোর পর ফল খেতে পারেন। পরের দিন ব্রাহ্মণ ভোজন এবং দান করতে পারেন। পুত্রদা একাদশী (Putrada Ekadashi) প্রতি বছর দুবার করে পালন করা হয়। একটি পৌষ মাসে এবং অপরটি শ্রাবণ মাসে। সাধারণত সন্তান কামনায় এবং যাদের সন্তান আছে তারা সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য এই একাদশী পালন করে থাকেন। এই দিন বিবাহিত দম্পতিদের দক্ষিণাবর্ত শঙ্খ দিয়ে ভগবান বিষ্ণুকে অভিষেক করানোকে মঙ্গল জনক বলে মনে করা হয়।
একাদশীতে যে কাজ ভুলেও করবেন না
•পুরনো হোক অসুবিধা নেই, কিন্তু নোংরা বা অপরিষ্কার বস্ত্র এই দিন পরবেন না।
•ভুলেও আমিষ খাবার ছোঁবেন না। বিশেষ করে পিঁয়াজ, রসুন, মাংস, মদ, ধূমপান থেকে দূরে থাকবেন।
•ব্রতের সময় আপনি যদি কোন ভুল করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।
•এই দিন বাড়ির দরজা থেকে কাউকে খালি হাতে ফেরাবেন না। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্রদের খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিস দান করবেন।
•উপবাস ভঙ্গ করবেন শুধুমাত্র সাত্ত্বিক খাবার খেয়ে। উপবাস ভাঙার জন্য তৈরি খাবারে তামসিক উপাদান থাকা উচিত নয়।
•এই একাদশীতে কোন ছোট শিশু নিয়ে খারাপ ব্যবহার করবেন না, যাতে তারা কষ্ট পায়। উপরন্তু তাদেরকে আদর করে প্রসাদ খেতে দেবেন।
•ব্রত চলাকালীন কাউকে কটু কথা বলবেন না, যাতে বিপরীত দিকে মানুষকে আপনার ব্যবহারে কষ্ট পায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম