বিরাট কোহলি হঠাৎ এতটা শান্ত! বদলালেন কীভাবে ? কোন রহস্যময় জায়গায় যান বারবার

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিরাট কোহলির ৫ বছরে বিরাট বদল জীবনে। কোন রহস্যময় জায়গায় বারবার যান বিরাট? ঘটে গেছে এমন কিছু যা তিনি না বললে কেউ জানতেন না। একরোখা বিরাট আর আজকের কোহলির মধ্যে আকাশপাতাল তফাৎ। কীভাবে এতটা পরিবর্তন ঘটে গেল? উগ্র, একরোখা, খিটখিটে সেই বিরাট কোহলি আজ বড় শান্ত। লেট নাইট পার্টি, হুল্লোর এসব পেরিয়ে অন্য পথেই চলছেন তিনি। বয়স যত বাড়ছে পারফরমেন্স যেন শিখর ছুঁচ্ছে। নিজের জন্মদিনের দিন সেঞ্চুরী করে তিনি নিজেকেই দিয়েছেন সেরা উপহার। নেপথ্যে রহস্যটা কি? কিন্তু অনেকেই বলছে পারফরমেন্স আরও চমকে দেওয়ার মতো হলেও বিরাট কোহলির ৫ বছর আগের স্বভাব আর এখনের মধ্যে কার্যত আকাশপাতাল তফাৎ। কে এতটা বদলে দিল বিরাট কোহলিকে? স্ত্রী অনুস্কা, মেয়ে ভামিকা নাকি কোনও অদৃশ্য শক্তি?

কোনও অনুমান বা ইঙ্গিত নয় নিজের মুখে সেই কথা স্বীকার করেছেন বিরাট। ঠিক কিসের সন্ধানে কখনও হৃষিকেশ তো কখন বৃন্দাবনে দেখা গিয়েছে বিরাট কোহলিকে? একটা সাক্ষাতকারে ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান বলেছিলেন একটা সময় শুধু খাওয়া দাওয়া, পার্টি, লেট নাইট এটাই ছিল বিরাট কোহলির জীবন কিন্তু শেষ পাঁচটা বছর নিজেকে একটা আধ্যাত্মিক চিন্তাধারায় মুড়ে ফেলেছেন বিরাট। ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেন কোহলি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এমনটাই একসময় অভিযোগ করেছিলেন সাবেক ইংরেজী ক্রিকেটর কম্পটন। কিন্তু সেই বিরাট কোহলির জীবনে আধ্যাত্মিকতা? সেটা কীভাবে?

এখন সম্পূর্ণ অন্য মানুষ তিনি। এই বিরাট কোহলি বুঝে গিয়েছেন জীবনে টাকা, নাম, যশ ক্ষণস্থায়ী। মানুষ হিসেবে বড় হওয়াটাই বোধহয় আসল। তাই তো কখন তাকে দেখা যায় হৃষীকেশে স্বামী দয়ানন্দ গিরির আশ্রমে কখনও আবার বৃন্দাবনে নিম করোলি বাবার আশ্রমেও যান। বিরাট- অনুস্কা দুজনে মিলে সমাজকল্যাণ মূলক প্রচুর কাজ করেন। বিরাট নিজে এক পডকাস্টে বলেছিলেন অনুষ্কা আমার জীবনদর্শন বদলে দিয়েছে। ওঁর জন্যই আরও ভাল মানুষ হতে পেরেছি। আসলে অনুষ্কাই আমার জীবনের অনুপ্রেরণা। একটা সময় খিটখিটে মেজাজি স্বভাব ছিল তাঁর। নিজের মধ্যেই থাকতে ভালবাসতেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন অনেকের সঙ্গে অনুচিত ব্যবহার করছেন। এই উপলব্ধির পিছনে নাকি অনেকটাই রয়েছেন অনুষ্কাই।

এমনকি তিনি এটাও জানিয়েছেন মেয়ে ভামিকা তাদের জীবনে আসার পর তাদের জীবন বদলে যায় কার্যত। বিরাটের কথা ধার করেই এখানে বলা যায় আসলে যত ক্ষণ তোমার পরিবার তোমাকে ভালবাসছে তুমি যেমন মানুষ সে ভাবে ভালবাসছে। তত ক্ষণ অন্য কিছুর প্রয়োজন পড়ে না। তবে আগের থেকে বিরাট যে এখন অনেক শান্ত সেটা স্বীকার করেছেন অনেকেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version