Indonesia: অবিবাহিত দম্পতিদের লিভ-ইন নিষিদ্ধ! ইন্দোনেশিয়ার যৌন আইন কি বাধা তৈরি করবে পর্যটনে?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Indonesia: সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় একটি নতুন ফৌজদারি আইন পাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিয়ে না করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে সাজা পেতে হবে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে, নতুন আইনটি ইন্দোনেশিয়ান এবং বিদেশী উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। নতুন আইনে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্কের শাস্তি এক বছর পর্যন্ত জেল। নতুন ফৌজদারি আইন অনুযায়ী, যে দম্পতিরা বৈধভাবে বিয়ে না করে একসঙ্গে বসবাস করছেন, তাঁদেরও জেল হতে হবে। যার ফলে বালিতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছেন। তবে কি নতুন আইন ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন খাতে প্রভাব ফেলতে পারে?

‘ইন্ডিয়া টুডে’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী পর্যটন শিল্পের কর্মকর্তারা মনে করছেন, নতুন ফৌজদারি আইনের দরুন বিদেশীদের বালিতে যাওয়া বন্ধ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আগামী বছর বা তার পরের বছর যাঁরা বালি ঘুরতে যাওয়ার জন্য বুক করেছেন, তাঁরা তা বাতিল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে প্রভাব পড়বে পর্যটন খাতে। যদিও নতুন এই আইন এখনই কার্যকর হচ্ছে না। আইনের বিধান তৈরি করতে আরও তিন বছর লাগতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় ট্যুরিজম গ্রুপ ‘দ্য অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইন্দোনেশিয়ান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সিস’-এর চেয়ারম্যান পুতু উইনাস্ত্রা জানিয়েছেন, ‘আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই আইন বালির পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই প্রতিকূল হতে চলেছে’।

‘প্রথম আলো’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সমস্ত রাজনৈতিক দলের সমর্থনে এই আইনটি পাশ হয়েছে। প্রসঙ্গে আইনপ্রণেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা এই বৈচিত্র্যময় দেশে ‘জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষা’ পূরণের চেষ্টা করছেন। এমনিতেই বিগত দু’বছরে করোনা মহামারীর জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। কারণ সেই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। দেশ জুড়ে ছিল লকডাউন। এমনকি এই কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে বালি দ্বীপ। বালিতে প্রতি মাসে ৫ লাখেরও বেশি পর্যটক ঘুরতে আসেন। কিন্তু করোনাকালে তার সংখ্যা মাত্র ৪৫-এ নেমে এসেছিল।

আর করোনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর পর্যটন খাত থেকে লাভের আশা দেখেছিল সরকার। তাঁদের ধারণা ছিল, এই খাত থেকে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি ফের পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ৫ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিন্তু নতুন ফৌজদারি আইনের কারণে তা বাধা প্রাপ্ত হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। গত নভেম্বরে বালিতে G-20 সম্মেলন হওয়ার পর থেকে পর্যটন শিল্প সঠিক পথেই এগোচ্ছে। কিন্তু নতুন পাশ হওয়া ফৌজদারি আইন সমস্ত আশা-ভরসায় জল ঢেলে দিয়েছে।

আইন অনুযায়ী, বিদেশী নাগরিকরাও যদি কেউ বিয়ে না করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন, তাঁদের এক বছরের কারাদণ্ড হবে। এই প্রসঙ্গে পুতু উইনাস্ত্রা প্রশ্ন করেন, এখন কি পর্যটকরা বিবাহিত কি না তার প্রমাণ চাইতে হবে? কিন্তু এই বিষয়ে জানতে চাওয়া কি আমাদের উচিত হবে? সেক্ষেত্রে বিদেশী পর্যটকরা বালি ভ্রমণের আগে এখন দু’বার চিন্তা করবেন। কারণ তাঁরা আইন ভাঙলে তাঁদেরকে জেলে যেতে হবে, তাঁরা জানছেন। এক কথায় তিনি আইনের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর কথায়, পর্যটকদের ওপর এরমভাবে নজরদারি রাখা কখনোই সম্ভব নয়। আর তাতে পর্যটন খাতে লাভের চেয়ে বেশি লোকসান হবে বলে মনে করছেন তিনি।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version