CAPSICUM GROWING GUIDE: টবেই ফলবে রঙবেরঙের ক্যাপসিকাম, ব্যবহার করুন হাইড্রোপনিক পদ্ধতি

।। প্রথম কলকাতা ।।

CAPSICUM GROWING GUIDE: ছোট্ট ছাদেই ফলবে রঙবেরঙের ক্যাপসিকাম। চোখে দেখতেও যেমন আরাম, তেমনই আপনার থেকে শত হস্তে দূরে থাকবে জটিল রোগ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি এক টুকরো ক্যাপসিকাম যোগ করেন তাহলে দেখবেন শরীর এবং মন দুটোই তরতাজা রয়েছে। বাজারে যে ধরনের সবজি পাওয়া যায় সেগুলিতে মূলত নানান ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। বাড়ির চাষ করার সবজিতে, সেই ভয় থাকে না। আপনি চাইলে আপনার বাড়ির ছাদ বাগানে কিংবা ব্যালকনিতে ছোট্ট টবে বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম ফলাতে পারেন। পদ্ধতি খুব সোজা, পরিশ্রমও কম, তবে প্রয়োজন সামান্য ধৈর্যের।

•ক্যাপসিকামের জনপ্রিয়তা

অন্যান্য সবজির তুলনায় ক্যাপসিকামের দাম একটু বেশি হয়। ক্যাপসিকাম আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। কখনো সালাদ কখনো সবজি আবার কখনো বা রোস্ট। বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম পরিবেশনের পাত্রকে নানা রঙে সাজিয়ে তোলে। বর্তমানে বিশেষ করে স্ট্রিটফুড বা রেস্টুরেন্টে ক্যাপসিকামের ব্যবহার বহুবিধ । রঙিন ক্যাপসিকাম দিয়ে সাজানো খাবারের প্লেট গুলি দেখলে খিদে দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

•ছোট্ট ছাদে ক্যাপসিকাম

হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ছোট্ট ছাদের মধ্যেই আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন রংবেরঙের ক্যাপসিকামের গাছ। শুধু নিজের জন্য নয়, এই পদ্ধতিতে চাষ করে আপনি মাসে মাসে আয় করতে পারবেন হাজার হাজার টাকা। জেনে নিন চাষ করার পদ্ধতি –

•চারা উৎপাদন

একটি পাত্রে খবরের কাগজ বা টিস্যু পেপারের ওপর বীজ ছড়িয়ে, তার উপর জল ছিটিয়ে দিতে হবে। বীজের উপর আরেকটি টিস্যু দিয়ে সব সময়ের জন্য খেয়াল রাখতে হবে যেন বীজ শুকিয়ে না যায়।

বীজ থেকে অঙ্কুর সৃষ্টি হলে সেগুলি স্পঞ্জের ব্লকে রেখে, জলের পাত্রে ভাসিয়ে রাখতে হবে। চারা হওয়ার কুড়ি থেকে পঁচিশ দিন পর চারাগুলি রোপণ করতে হবে। গাছ বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার করতে হবে, এবং গাছের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে গাছের গোড়ায় শক্ত কোন দন্ডদিয়ে গাছটিকে সোজা রাখতে হবে।

•ফল তৈরি

সাধারণত চারা রোপণের পঁচিশ থেকে ত্রিশ দিনের মধ্যে ফুল এবং ছাপান্ন থেকে ষাট দিনের মধ্যে ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপযুক্ত হবে। প্রতিটি গাছ থেকে আপনি গড়ে প্রায় এক কেজি করে ক্যাপসিকাম পাবেন। তাই কতগুলি চারা লাগালেন তার উপর নির্ভর করবে ফলনের পরিমাণ। যদিও আপনার পরিচর্যায় ভূমিকা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রয়োজনের বাইরে উদ্বৃত্ত ক্যাপসিকাম বাজারে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন অনেক অর্থ।

•ক্যাপসিকাম : রোগের দাওয়াই

প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা ক্যাপসিকাম আপনার অজান্তেই মুক্তি দেবে বিভিন্ন জটিল রোগ থেকে।।ক্যাপসিকাম এমন একটি সবজি যা ভরপুর ঔষধি গুণে। পুষ্টির দিক থেকে ক্যাপসিকাম অত্যন্ত দামী একটি সবজি। মাত্র ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে যেগুলি রয়েছে – ক্যালসিয়াম ১১মিলিগ্রাম ,ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি ১৭৫ মিলিগ্রাম। বিভিন্ন ভিটামিনে ভরপুর এই সবজিটির জন্য সহজেই রেহাই পেতে পারেন বিভিন্ন রোগ থেকে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version