Bangladesh: বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা আছে সুইজারল্যান্ডকেও হার মানাবে, সেরা জায়গা গুলো দেখুন

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Bangladesh: আচ্ছা দেশের মধ্যে ভ্রমণ তো অনেক হল। একবার আমাদের পাশের দেশের দিকে তাকালে কেমন হয়? মানে আপনি কি এটা জানেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নিরিখে বাংলাদেশ কিন্তু সেরা একটা জায়গা। বাংলাদেশের এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে সুইজারল্যান্ডকেও ভুলে যাবেন আপনি। পাহাড় থেকে শুরু করে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, দ্বীপ কি নেই বাংলাদেশে। একদিকে যেমন পাহাড়-পর্বত, অন্যদিকে সবুজের সমারোহ। আবার দক্ষিণেই রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে বাংলাদেশ। আজ আমাদের এই ভিডিওর মাধ্যমে চেনা বাংলাদেশের কিছু অচেনা দিক দেখাবো আমাদের দর্শকদের।

 

বাংলাদেশ গেলেই যেখানে যেতেই হবে তা হচ্ছে কক্সবাজার। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এটি। কমবেশি ১৩০ কিমি দীর্ঘ এই সৈকতে বসে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখার আনন্দই আলাদা। বিশেষ করে বর্ষায় সমুদ্র সুন্দরীর রূপ যেন দ্বিগুণ হয়ে ওঠে‌। মোটামুটি সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে কক্সবাজারে। এই বর্ষায় বাংলাদেশ যাওয়ার প্ল্যান থাকলে বাকেট লিস্টে কক্সবাজার অ্যাড করে নিন।

 

কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণেই রয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। এটিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। স্থানীয়রা আবার নায়কেল জিঞ্জিরা বলেও ডাকে। মাত্র ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ক্ষুদ্র এই দ্বীপ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। সারি সারি নারিকেল গাছ আর ঘন নীল সমুদ্রের মাঝে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা আপনার কাছে।

 

এছাড়াও নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে যেতে হবে সাজেকে ভ্যালি। সকাল বিকাল এখানে প্রকৃতি তার রঙ বদলায়। চারপাশে ঘিরে রয়েছে বিস্তীর্ণ পাহাড় সারি, আর তুলোর মতো মেঘ। তার মাঝেই উঁচু করে দাড়িয়ে রয়েছে নৈস্বর্গিক সাজেক ভ্যালি। এখানে একবার গেলে আর ভুলতে পারবেননা।

 

তালিকায় রয়েছে সুন্দরবনও। বাংলাদেশের কিছু অংশ আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ নিয়ে গড়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর সুন্দর সুন্দরবন। বলা হয় সুন্দরবনের আসল সৌন্দর্য রয়েছে বাংলাদেশেই। ইউনেস্কো অবধি বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এই ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলকে। এখানে ঘুরতে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে বন অধিদপ্তর থেকে একটা পারমিশন নিয়ে হবে। আর সাথে নিতে হবে নিরাপত্তারক্ষীদের।

 

বাংলাদেশের কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কথা ভুলি কীভাবে ? এটি “সাগরকন্যা” হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত আপনি দুটোই দেখতে পাবেন। ওদিকে নোয়াখালির নিঝুম দ্বীপ হচ্ছে অন্যতম আকর্ষণ। এই দ্বীপের ইউএসপি হচ্ছে এখানকার চিত্রা হরিণ। এত চিত্রা হরিণ একসাথে আর কোথাও দেখতে পাবেন না।

 

সমুদ্র সৈকত এবং জঙ্গল তো হল। এবার বরং একটু পাহাড় থেকে ঘুরে আসি? আচ্ছা আপনার এটা জানা আছে কি, ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এবং সর্ব প্রথম প্রতিষ্ঠিত চা-বাগানটি রয়েছে ওপার বাংলার সিলেটে। আপনি কি জানতেন এটা? এই চা বাগানের নাম মালনীছড়া চা-বাগান। প্রায় দেড় হাজার একর জায়গার উপর গড়ে উঠেছে বাগানটি। এই বাগানটি তৈরি হয়েছিল ১৮৪৯ সালে। আগে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অনায়াসে বাগান ঘোরা যেত। তবে এখন সেটা যায় কি না, সেটা আমাদের বাংলাদেশের বন্ধুরা ভালো বলতে পারবেন।

 

এছাড়া সিলেট গেলে অবশ্যই ঘুরবেন মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। পাশাপাশি সিলেটের রাতারগুল হয়ে উঠেছে পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। আজকাল তো নাফাখুম ঝর্ণাতেও অনেকেই ট্রেকিং করতে যাচ্ছেন। শোনা যায়, রেমাক্রী নদীতে নাফা মাছ পাওয়া যায়। এ থেকে এই নাকি এই ঝর্ণার নাম দেওয়া হয়েছে নাফাখুম ঝর্ণা।

 

আমাদের আজকের এই উপস্থাপনা কেমন লাগলো জানাবেন কমেন্ট করে। সাথে বাংলাদেশের বন্ধুরা অবশ্যই জানাবেন, আপনাদের দেশে আর কোথায় কোথায় ঘোরা যায়। ততক্ষণে বেড়িয়ে পড়ুন প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে। আপনার ভ্রমণ সুন্দর হোক।

https://fb.watch/sNx21Kejkk/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version