World’s Oldest Primary School Pupil: প্রয়াত বিশ্বের প্রবীণতম প্রাথমিক শিক্ষার্থী! শোকজ্ঞাপন ইউনেস্কোর

।। প্রথম কলকাতা ।।

World’s Oldest Primary School Pupil: শেখার কোন বয়স হয় না। যে কোনো বয়সেই কেউ স্কুলের চার দেয়ালে বসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। যদিও কথাটা যতটা বলার সহজ, কাজে করে দেখানো ততটা সহজ নয়। কারণ এই কাজে চারিদিক থেকে ছুটে আসবে নানান সামাজিক বাধা। সেই সমস্ত বাধাকে অতিক্রম করে ৮৭ বছর বয়সে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন কেনিয়ার প্রিসিলা। তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাথমিক শিক্ষার্থী। প্রিসিলা আর নেই। গত বুধবার কেনিয়ায় নিজ বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই খবর নিশ্চিত করেছে তাঁর নাতি।

প্রিসিলা সিতিনেইয়ের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। গত বুধবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সম্প্রতি তিনি তার ১২ বছর বয়সী সহপাঠীদের সঙ্গে ফাইনাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। পরীক্ষা হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহে। চলতি সপ্তাহের বুধবার তিনি শেষ স্কুলে যান। তাঁর মৃত্যুর পর শোকজ্ঞাপন করেছেন করেছে কেনিয়া সরকার। এছাড়াও শোকবার্তা প্রেরণ করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা ইউনেস্কো।

প্রিসিলা সবার কাছে পরিচিত ‘গোগো’ নামে। কালেজিন ভাষায় এটির স্থানীয় অর্থ দাদি। তিনি প্রায় টানা ৬৫ বছর ধরে নিজ এলাকায় ধাত্রী হিসেবে কাজ করেছেন। ছোটবেলায় পড়াশোনা করার স্বপ্ন থাকলেও সুযোগ পাননি। আশ্চর্য বিষয় হল, স্কুলে যারা সহপাঠী ছিলেন তাদের জন্ম প্রিসিলার হাতে। বিশেষ করে যেসব শিশুরা স্কুলে যেতে অসন্তুষ্ট কিংবা যেতে চায় না, তাদেরকে তিনি স্কুলে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করতেন। তিনি ছিলেন সারা বিশ্বের কাছে এক অনুপ্রেরণা। কারণ বহু শিশু একটু বয়স বেশি হলে স্কুলে যেত না। তিনি তাদেরকে বলতেন, এত বয়সে তিনি যখন স্কুলে যেতে পারছেন তাহলে তাদেরও স্কুলে যাওয়া উচিত।

এই বয়সে এসে শুধুমাত্র অক্ষর চিনতে এবং পড়তে তাঁর সময় লেগেছিল প্রায় ৫ বছর। ২০১৫ সাল থেকে তিনি শুদ্ধভাবে বলতে এবং পড়তে শেখেন। তাঁর নতুন যে কোন জিনিস শেখার বা জানার প্রতি দারুণ আগ্রহ ছিল। ৮০ বছর পেরোলেও একদম ক্লাস মিস করতে চাইতেন না। তিনি সারা বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ তৈরি করে গিয়েছেন। তাঁর মতে, শিক্ষিত না হলে একটি মেয়ে এবং মুরগির মাংসের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকে না। তখন নারী শুধু ভোগের বস্তু হয়ে ওঠে। কয়েক বছর আগেই তাঁর জীবন নিয়ে বায়োপিক তৈরি করেছিলেন ফরাসি চিত্র পরিচালক। এই ছবিটি গ্রিসে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ছবিটি গোটা ইউরোপে সাড়া ফেলে দিয়েছিল।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version