US Govt Fines Air India: যুক্তরাষ্ট্র চাপাল মোটা টাকার জরিমানা! ভারতকে গুনতে হবে কোন ক্ষতির মাশুল?

।। প্রথম কলকাতা ।।
US Govt Fines Air India: যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের ক্ষতির মাশুল দিতে হবে ভারতকে! টাকার পরিমাণ জানলে আঁতকে উঠবেন। এখানে সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের স্বার্থ। এই স্টেপ সারা বিশ্ব জুড়ে এক বড় মাইলস্টোন হতে চলেছে। এর আগে সেভাবে কোন দেশকে এমন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। কিন্তু এত বড় ধাক্কা কেন দিল যুক্তরাষ্ট্র? বিস্তারিত জানুন রিপোর্টে।

টাটা গ্রুপের কোম্পানি এয়ার ইন্ডিয়াকে মোটা টাকা জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে এবার ইন্ডিয়াকে ফেরত দিতে হবে প্রায় ৯৮৮ কোটি টাকা। টাকা ফেরত দিতে দেরি হচ্ছে বলে পুনরায় নতুন করে যোগ হয়েছে ১১.৫০ কোটি টাকার জরিমানা। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রান্সপোর্টেশনের তথ্য অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়াসহ ৫টি এয়ারলাইনকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতিপূরণ যুক্তরাষ্ট্রকে ফেরত দিতে হবে। এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে টিএপি পর্তুগাল (TAP Portugal), ফ্রন্টিয়ার (Frontier), অ্যারো মেক্সিকো (Aero Mexico) এবং অ্যাভিয়ানকা এয়ারলাইন্স (Avianca Airliness) ।

বর্তমানে টাটা গ্রুপের অধীনে মোট পাঁচটি এয়ারলাইন রয়েছে। তার মধ্যে ভিস্তারার ৫১ শতাংশ রয়েছে টাটা গ্রুপের হাতে, বাকি ৪৯ শতাংশে রয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের কাছে। এছাড়াও রয়েছে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়া, এয়ার ইন্ডিয়া এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। সম্প্রতি টাটা গ্রুপ প্রত্যেকটি এয়ারলাইন্সকে একত্র করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠান সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এয়ার ইন্ডিয়া বহর এবং বাজার শেয়ারের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা হয়ে উঠবে। কিন্তু তার মাঝেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল বিশাল ধাক্কা।

কেন এত টাকার জরিমানা?

আসলে মহামারী এসে সব কিছু ওলট-পালট করে দিয়েছে। যার কারণে প্রচুর ফ্লাইট ক্যানসেল হয়। পাশাপাশি বারংবার গাইডলাইন পরিবর্তনের চক্করে বহু মানুষের ফ্লাইট ক্যানসেল হওয়ায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ধরুন যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময় কোথাও পৌঁছানোর ছিল কিন্তু ফ্লাইট ক্যানসেল হওয়ায় সেই কাজটি তিনি করতে পারলেন না, উপরন্তু ক্ষতির মাশুল গুনলেন। যুক্তরাষ্ট্র দেশের সেইসব মানুষের কথা ভেবেই এমন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তি দিয়েছে, তাদের লোকেদের প্রচুর লোকসান হয়েছে। তাই টিকিটের টাকা রিফান্ড করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করা এবং ফেরতের অনুরোধ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য এয়ার ইন্ডিয়া দেয়নি। এছাড়াও এয়ার ইন্ডিয়ার বিবৃত রিফান্ড নীতি থাকা সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়া সময়মত রিফান্ড করেনি। একটি অফিসিয়াল তদন্তে দেখা যায়, এয়ার ইন্ডিয়া পরিবহন বিভাগের দায়ের করা প্রায় ১৯০০ টি অভিযোগের অর্ধেকেরও বেশি নিষ্পত্তি করতে ১০০ দিনের বেশি সময় নিয়েছে।

যাত্রীদের কথা ভেবে যুক্তরাষ্ট্রের এত বড় স্টেপ বিশ্বের অন্যান্য দেশকে নিতে দেখা যায়নি। ফ্লাইট ক্যানসেল হলে টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু তা বহু ঘুর পথে। একের পর এক ইমেল, ফোন তারপর অনেক সময় হাতে এসে পৌঁছায় একটা ভাউচার। যেখানে লেখা থাকে তিনি যখন পরে বিমান যাত্রা করবেন সেক্ষেত্রে তাকে ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে। তবে এইসব ঝামেলার চক্করে আর পড়বে না যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ।

যদিও এই প্রথম নয়, যুক্তরাষ্ট্র বহুবার ভারতের উপর মোটা অঙ্কের জরিমানা চাপিয়েছে। কয়েক মাস আগেই সফটওয়্যার ডেভলপার কোম্পানি টিসিএস এর উপর যুক্তরাষ্ট্রের কোর্ট প্রায় ১৪০মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ চাপায়। এছাড়াও ভারতের একটি প্রাইভেট পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানির উপরেও যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিপূরণ চাপিয়েছিল। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র যা করছে সেই কাজে বহু মানুষের সমর্থন রয়েছে। কারণ এই দেশের সরকার জনগণের ভালোর জন্য করছে। ভারতে ২০১৯ সালের এয়ারলাইন্সের কিছু রুল তৈরি হয়। সে নিয়মের অধীনে কোন ব্যক্তির ফ্লাইট ক্যানসেল হলে সেক্ষেত্রে তিনি টিকিটের টাকা রিফান্ড পাবেন। কিন্তু আজও বহু মানুষকে টিকিটের টাকা ফেরত পেতে কনজিউমার কোর্টে বারংবার ছুটতে হয়। কারোর ক্ষতির পরিমাণ হাজার হাজার টাকা, আবার কারোর বা কয়েক লক্ষে পৌঁছে যায়।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version